অবশেষে ঘোরা শেষ হোল। বাগডোগরা এয়ারপোর্টে বসে আছি। কাল থেকে আবার যে যার জীবনে ফিরে যাব। মাঝের এই সময়টুকুই স্বপ্নের মতো থেকে যাবে। যখনই একঘেঁয়ে লাগবে টাইম-লাইন থেকে পড়ব।
আজ সকাল বেলায় সিতং-এর অতিথি হোম স্টে থেকে রীতিমতো উত্তরীয় পরিয়ে বিদায় জানানো হলো। এখানে রোমানের আতিথিয়েতা কোনো দিন ভুলব না। সদা হাস্যময় ছেলেটি প্রায় প্রতি ঘণ্টায় জিজ্ঞেস করেছেন কিছু দরকার কিনা। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা খুব অল্প সময়ে অপরকে আত্মীয় করে নিতে পারেন। রোমান তেমন একজন।
তেমনই একজন আমাদের ড্রাইভার শিবম। পাহাড়ে বেড়াতে এসে ড্রাইভার যদি মনোমত হয়, তাহলে সেই ঘোরা অন্য মাত্রা পায়।
ফেরার পথেও যেমন আমরা নানা জায়গায় দাঁড়াতে দাঁড়াতে এলাম। চেচাডোঙ্গা ভিউ পয়েন্ট, সুন্দরী তিস্তার ধারে অনেকক্ষণ কাটালাম। পাহাড়কে বিদায় জানানোর আগে মোমো খেলাম। অবশেষে যখন বাগডোগরা পৌঁছালাম তখন ঘড়ির কাঁটা দুটো পেরিয়েছে।
আমি বেড়াতে খুব কমই গেছি। হাতে গুনেই হয়তো বলে দেওয়া যায়। প্রায় চার বছর আগে ২০১৮ সালে ত্রিপুরা গেছিলাম। তারপর আবার কোথাও যাওয়া। দার্জিলিঙে এবারের ঘোরা সারাজীবন স্মৃতিতে থেকে যাবে।
শেষে আমার স্কুলের বন্ধু সৌভিকের কথা না বললে অন্যায় হবে। হোটেল, গাড়ি, পুরো ঘোরার দায়িত্ব এমন ভাবে নিয়ে নিয়েছিল আমাকে কোনো রকম দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। শুধু মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়েছি। ধন্যবাদ ভাই।