২৩ বছরের এক মেডিক্যাল ছাত্র আর তার এক ২৯ বছরের গবেষক বন্ধু, দু জনে মিলে মোটর সাইকেল নিয়ে দাবড়ে বেড়াতে বেরিয়ে ছিল। সেই বেড়ানোর অদ্ভুত গল্পের ছবি উঠে আসে সেই ছাত্রটির লেখা ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির পাতা ওল্টাতে গিয়ে একজায়গায় চোখ আটকে যায়। জানতে পারি যে দুজনে গিয়ে পরে পেরুর এক হাসপাতালে। কুষ্ঠ রোগের হাসপাতাল। সেখানে কিছুদিন তাদের সেবা করার পর যখন তারা বিদায় নেয় তখন সেই কুষ্ঠ রোগীরা অসম্ভব শ্রদ্ধা ভালোবাসায় তাদের বিদায় জানায়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে সেই তরুণ মোটর সাইক্লিষ্ট লিখেছেন, ” Their appriciation sprang from the fact that we never wore overalls or gloves, that we shook their hands as we would shake anybody’s, that we sat with them, that we played football with them – treating them as normal human beings intead of animals”.
কুষ্ঠ রোগীদের ইতর প্রাণী না ভেবে মানুষ ভাবা, তাদের সাথে দস্তানা ছাড়াই হাত মেলানোর সাহসিকতা ও মানবিকতা দেখানো এই ছাত্রটির খুব ইচ্ছে ছিল পরে কোনো এক সময়ে কুষ্ঠরোগ নিয়ে গবেষণা করা। ইতিহাসের গতি বড়ই অদ্ভুত। মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। গুটিকয় কুষ্ঠ রোগীর সেবা করার চেয়েও বৃহত্তর কর্তব্যের টানে ছাত্রটি ডাক্তারি পাশ করার পর হয়ে যায় বিপ্লবী। দিন বদলের, সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখা ছাত্রটি আর কোনোদিন সেই কুষ্ঠ হাসপাতালে ফিরে আসতে পারেনি। প্রতিবিপ্লবী ষড়যন্ত্রে নৃশংস ভাবে তার মৃত্যু হয়। যাকে একদিন পেরুর সেই কুষ্ঠ রোগীরা চোখের জলে বিদায় জানিয়ে ছিল সেই ডা: আর্নেস্ট চে গেভারার আজ জন্মদিন।
কুষ্ঠরোগের এক সামান্য স্বাস্থ্যকর্মীর শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রণাম। পর জন্ম বলে কিছু থাকলে দুজনে মিলে ফিরে যাবো পেরুর সেই হাসপাতালে। লজ্জা ঘৃণা ভয় বিসর্জন দিয়ে দুজনে মিলে খুব সেবা করবো। দিনের শেষে সেই ফুটবল ম্যাচ হবে। ম্যাচের পরে সবাই সবাইকে গলা জড়িয়ে ধরবো। তার পরে আপনার মোটর সাইকেলের পেছনে বসে আমাদের অনন্ত যাত্রা দিন বদলের দিকে…
শার্টের বাম দিকের বুকপকেটের ঠিক তলায় বেঁচে থাকুন চে।