আজ দার্জিলিং ঘুরতে যাব। হোম স্টের সব জানলাই কাঁচের। ফলে ভোর ভোর উঠে পর্দা সরাতেই সারা ঘর আলো ঝলমল করে উঠলো। আমরা সবে ভাবছি এই বুঝি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাবে, এমন সময় হানা দিল মেঘের দল।
অত্যুৎসাহী কেউ কেউ আমাদের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। জানলা বন্ধ করে আটকালাম। সকাল ন’টায় মেঘ-মাখানো রাস্তায় বের হলাম।
প্রথমে লেপচা জগৎ। পাইন গাছের জঙ্গল। এতো উঁচু উঁচু গাছ, ঘাড় ব্যথা হয়ে গেল। আমার মতো তুচ্ছ লোকের সে বিশালতা বর্ণনা করার ক্ষমতা নেই। সত্যজিৎ রায় কিছুটা পেরেছেন।
এ যে দৃশ্য দেখি অন্য
এ যে বন্য এ অরণ্য।
হেথা দিনেতে অন্ধকার
হেথা নিঝুম চারিধার।
হেথা উর্ধে উঁচায়ে মাথা দিলো ঘুম
যত আদিম মহা দ্রুম।
তারপর ঘুম। ট্রয়টেন দেখতে দেখতে ঘুম মনেস্ট্রিতে ঢুকলাম। এখানে লোকজন দিব্যি বুদ্ধদেবের বিশাল মূর্তির সাথে সেলফি তুলছে। সেখান থেকে বাতাসিয়া লুপ।
আপাতত দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় যাচ্ছি। রাস্তায় জটিল জ্যাম।
সব শেষে লেপচা জগতে রুপালীর একটা ছবি দিলাম। ছবিটা বড়ো করে দেখবেন। নাহলে প্রাগৈতিহাসিক গাছতলায় রুপালীকে দেখাই যাবে না।