Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ১৮

IMG_20210603_231353
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • June 4, 2021
  • 7:08 am
  • No Comments
মন ভালো করার গল্প
প্রায় সব রোগীই পজিটিভ। কিন্তু এতো পজিটিভ রোগীর মধ্যে বসেও নিজে পজিটিভ থাকতে পারছিলাম না। দ্বিতীয় ঢেউয়ের দিন যত গড়াচ্ছে, তত মুড়ির মতো মিইয়ে যাচ্ছিলাম। রোগী দেখতে হয় বলে দেখছি, কিন্তু আনন্দ পাচ্ছি না। লেখালিখির ইচ্ছেটাও চলে গেছে। একটু যে ভাবনা চিন্তা করে লিখব, সে সময়টুকুও পাচ্ছি না। রাত সাড়ে ন’টা, দশটা নাগাদ রোগী দেখা শেষ করে ফোন খোলা মাত্র ফোন। একটা ফোনে দুমিনিট কথা বলতে বলতে তিনটে মিসকল। শ’খানেক ফোন ধরে স্নান করতে করতে রাত বারোটা বাজছে।
এর মধ্যে কারা আবার ফেসবুকে ভারতীয় সেনাদের সাথে চিকিৎসকদের তুলনা করে একটা পোস্ট করেছে। সেই পোস্ট একেবারে শেয়ারিং লাইক হট কচুরিজ। সেসব দেখে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না। সেনারা যে কাজ করেন একজন চিকিৎসক হাজার চেষ্টা করেও করে উঠতে পারবেন না। আমার হাতে একটা বন্দুক ধরিয়ে দিলে আর সামনে পৃথিবীর পাঁচজন কুখ্যাত অপরাধীকে দাঁড় করিয়ে দিলে একজনকেও গুলি করে মারতে পারব না। বরঞ্চ তারা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাণে বাঁচিয়ে পৃথিবীর ক্ষতি সাধন করতে পারি।
মোদ্দা কথা চল্লিশ ওয়াটের ফিলামেন্টের বাল্বের মতো টিম টিম করে জ্বলছিলাম। অনেক দিন ধরে একনাগাড়ে জ্বলে আছি। যেকোনো সময়ে কেটে যেতে পারি।
তবে রাত সাড়ে দশটায় একটা মাত্র ফোন সমস্ত পরিস্থিতিটাকে পাল্টে দিল। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এক ডাক্তারদাদার ফোন। -হ্যালো, ঐন্দ্রিল, গুরু… কেমন আছো?
এই ডাক্তার ভদ্রলোককে আমি হেব্বি হিংসে করি। লোকটা সারাদিন রোগী দেখার নামে বাইকে ঘুরে বেড়ায় আর ফেসবুকে দারুণ দারুণ ছবি দেয়। আমি ছোট্ট খুপরিতে বসে সেসব ছবিতে দুঃখের ইমোজি দিই।
বললাম, -আর যা আছি। সব পজিটিভ লোকজনের মাঝখানে একমাত্র নেগেটিভ ব্যক্তি। ভাবছি এবার তোমার শরণাপন্ন হবো।
দাদা সাইক্রিয়াট্রিস্ট। ডিপ্রেশনে থাকা মানুষজনকে দিব্যি সুস্থ করে দেয়। দাদা বলল, ‘লাভ নেই। আমি আমার স্পেশালাইজেশন পাল্টে ফেলেছি। আমি এখন করোনার ডাক্তার। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে করোনা রোগী দেখে বেড়াচ্ছি।’
বললাম, ‘যাহ্‌, তুমি আবার স্পেশালাইজেশন পাল্টালে কেনো। এখন তো সাইক্রিয়াট্রির ভালো রমরমা। প্যানিক ডিজওর্ডার, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিউওর্ডার, ডিপ্রেশনের রোগীদের ছড়াছড়ি।’
দাদা বলল, ‘এই তোরা এতো বদনাম করতিস, বলতিস পাগলের ডাক্তার।’
-বদনাম কবে করলুম?
-সজ্ঞানে না হলেও মনে মনে নির্ঘাত করেছিস। আমার টেলিপ্যাথির জোর আছে, লোকজনের মনের কথা টের পেয়ে যাই।
-আমি মধ্যমগ্রামে আর তুমি বেলুড়ে। তোমার টেলিপ্যাথি কী ফাইভ জি নাকি?
-মনের মিল থাকলে ফোর জি- ফাইভ জি কিচ্ছু লাগেনা বৎস। বহু দূরে বসেই মনের মানুষের চিন্তা ভাবনা টের পাওয়া যায়।
-বাবারে, বিলেত ফেরত ডাক্তার শেষে বাংলা সিনেমা দেখছে নাকি?
-শোনো ভাই, বেশি কথা বলা যাবে না। দু একটা কাজের কথা সেরে নি। রোগীর বাড়িতে রয়েছি। যাকে দেখতে এসেছি এতক্ষণ ধরে ফোনে কথা বললে অসন্তুষ্ট হবেন। আমি না হয় ডাক্তার। ডিনার রাত দেড়টায় করলেও চলে। কিন্তু এনারা তো ডাক্তার নন।
-এখনও রোগীর বাড়িতে?
-চমকানোর কী আছে। আজ তো তাও তাড়াতাড়ি শেষ হবে। এটাই শেষ রোগী। কাল রাত দেড়টায় বাড়ি ফিরেছি। কাল সারা দিনে ৫২টি হোম কলে রোগী দেখেছি। সব করোনা রোগী। মোট ১৭৪ কিলোমিটার বাইক চালিয়েছি।
-সব্বনাশ, এজন্য লোকজন ডাক্তারদের গালি দেয়!
-আর বৎস নিজে যখন খুপরিতে একশো পেশেন্ট দেখো, তখন খেয়াল থাকে না। বুঝলি, আজ একজনের মুখাগ্নিও করলাম। ভদ্রলোকের দুই মেয়ে। একটু দূরে থাকে। লকডাউনের অজুহাতে কেউ এলো না। বলল, আমরা আসতে পারব না, আপনারা যা পারেন, করেন। যেন বাপটা আমার। পাড়ার ছেলেদের নিয়ে ভদ্রলোককে পুড়িয়ে এলাম।
-গুরুদেব, তোমার খুরে খুরে প্রণাম।
-কীসব অভিজ্ঞতা হচ্ছে। মাঝরাতে এক ভদ্রলোক ফোন করেছেন। ঘুম চোখে ফোন ধরে বললাম, ডাক্তারবাবু মারা গেছেন। আমি ওনার অ্যাসিস্ট্যান্ট বলছি। ভদ্রলোক বিশ্বাসই করতে চান না। বলছেন, পরশুদিনই দেখলাম, ডাক্তারবাবু বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন। বললাম, ঐদিন রাতেই হার্টফেল করে মারা গেছেন। ভদ্রলোক বললেন, যা কী হবে? আমার বাড়িতে একজন করোনা রোগী আছে। অবস্থা সুবিধার না। ডাক্তারবাবুকে দেখাবো ভাবছিলাম। বললাম, তাহলে প্ল্যানচেট করে ডাক্তারবাবুর প্রেতাত্মাকে ডাকুন। সবে মরেছেন তো, একটু ডাকাডাকি করলেই চলে আসবেন।
ডাক্তারদাদার সাথে কথা বলার পর হতাশা পুরোটাই কেটে গেলো। একজন মানসিক রোগের ডাক্তার, যিনি দিব্যি এই সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দিতে পারতেন, তিনি স্বেচ্ছায় সারাদিন ঘুরে ঘুরে করোনা রোগীদের বাড়ী গিয়ে দেখে আসছেন। সেই তুলনায় আমার কাজ তো নস্যি।
তবে শুধু চিকিৎসকরাই নন, বহু সাধারণ মানুষ মাঝে মাঝেই অসাধারণ কাজ করে ফেলছেন। এক মহিলা বাড়ি বাড়ি বাসন মাজা, ঘর মোছার কাজ করেন। আমাদের পাড়াতেও এক বাড়ি কাজ করেন। আমি ওনার মুখটা চিনি। এক বয়স্ক মহিলাকে ধরে ধরে খুপরিতে ঢোকালেন।
জিজ্ঞাসা করলাম,’তোমার মা?’
উনি বললেন, ‘না, খালপাড়ে আমাদের পাশেই থাকে। ভিক্ষা করে খায়। সাতকুলে কেউ নেই। দুই দিন ধরে জ্বরে ঘরে পরে রয়েছে। দুমুঠো ফুটিয়ে খাওয়ারও ক্ষমতা নাই। তুমি বলো ডাক্তারবাবু, একটা মানুষকে চোখের সামনে না খেয়ে, বিনে চিকিচ্ছেয় মরতে দেওয়া যায়?’
ঘাড় নাড়লাম, একদম যায় না। আর এনাদের মতো বহু মানুষ আছেন বলেই এ যাত্রা মহামারীতে আরো অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচবে।
ডাক্তারদাদা আর ওই মহিলা কারোরই নাম লিখলাম না। দাদার ফুটেজ খেতে ভয়ানক অপছন্দ। আর ঐ মহিলার লকডাউনে এমনিতেই একটা কাজ চলে গেছে। পরোপকারী কাজের মাসি অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।
মোদ্দা কথা হলো হতাশা ক্লান্তি এরাও বেশিক্ষণ সুবিধা করতে পারছে না। আশেপাশের কিছু মানুষ এমন সব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন, ঠিক পজিটিভ হয়ে যাচ্ছি।
PrevPreviousভিডিও কনসালটেশন
Nextকোভিড ১৯ঃ শরীর থেকে মনে, মিথ থেকে বাস্তবেNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

মনোরোগ এবং টাকার জোর

August 14, 2022 No Comments

প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য কলমটা তুলে নিতেই টেবিলের ওদিকে বসা রোগী প্রায় দমবন্ধভাবে বলে উঠল, “স্যার, ওষুধ কি আবার বাড়াবেন?” আমি করুণ চোখে তার দিকে চেয়ে

চেম্বার কড়চা

August 14, 2022 No Comments

আজ তিনি আবার এলেন। চেম্বারে ঢুকলেন। আমার ঘরের চড়া আলোগুলো আদিখ্যেতা করে একটু ঝিমিয়ে পড়ল। চেয়ার টেবিলগুলোও একটু গা ঝাড়া দিয়ে নিল, যাতে একটুও ধুলোর

মা মাটি মানুষ

August 14, 2022 No Comments

মামাটি মানুষ ছিল, নাম গণতন্ত্র। বাতাসে উড়েছে খুব শয়তানি মন্ত্র। মামা চায় সকলের খাদ্য ও বস্ত্র ভাগ্নেভাগ্নি কয়… ধর্মই অস্ত্র। মাসতুতো ভাইবোন দু’জনই দুরন্ত পেট

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত‍্যুদর্শন ও একটি ডাক্তারের মৃত্যু ।

August 13, 2022 No Comments

বিধান রায় ভগবান ছিলেন না। সামান্য মানুষ মাত্র। কবির প্রস্টেট গ্ল‍্যান্ডের জন্য ইউরিন সম্পূর্ণ আটকে কিডনি ফেইলিওর হচ্ছিল (high urea level)। এবং উনি ভয়ানক ইউরিন

পত্র সাহিত্য (অণুগল্প অথবা, একটা আকুল চিঠির মুসাবিদা)

August 13, 2022 No Comments

শ্রীচরণকমলেষু, আমার এক এবং একমাত্র মেরুদণ্ডমশাই, শারীরিক আর মানসিক উৎপীড়নের আশঙ্কায় আপনাকে সদাসর্বদা দুচ্ছাই করেছি। বলতে কী একরকম তাড়িয়েই দিয়েছি। যদিও নির্দ্বিধায় আজ স্বীকার করি

সাম্প্রতিক পোস্ট

মনোরোগ এবং টাকার জোর

Dr. Aniruddha Deb August 14, 2022

চেম্বার কড়চা

Dr. Sarmistha Das August 14, 2022

মা মাটি মানুষ

Dr. Arunachal Datta Choudhury August 14, 2022

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত‍্যুদর্শন ও একটি ডাক্তারের মৃত্যু ।

Dr. Dipankar Ghosh August 13, 2022

পত্র সাহিত্য (অণুগল্প অথবা, একটা আকুল চিঠির মুসাবিদা)

Dr. Arunachal Datta Choudhury August 13, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

403885
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।