An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

ফেসবুকে স্মৃতিকথা ডিসেম্বর

IMG_20201206_231207
Dr. Parthapratim Gupta

Dr. Parthapratim Gupta

General physician. Clinical associate in a corporate hospital.
My Other Posts
  • December 7, 2020
  • 7:04 am
  • No Comments

জর্জ মাইকেলের সেই বিখ্যাত ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গানটা মনে আছে নিশ্চয়ই। এই গানটা যখন প্রথম শুনি সেইবার সদ্য মাধ্যমিক পাস করেছি।

ডিসেম্বর মাস চলছে তখন, শীতকাল। এগারো ক্লাসে পড়ি,ভোরবেলার কুয়াশার মধ্যে দিয়ে সকালের ইস্কুলে যেতে হয়। একটু খানি গোঁফ গজানোর মতোই বেশ বড় বড় ভাব এসেছে। গানটি আমাদের সদ্য তরুণ মনকে খুব আলোড়িত করে ছিল। নতুন পাওয়া ওয়াক ম্যানের হেডফোন কানে গুঁজে খুব কায়দা করে শুনতাম সেই গান। বব ডিলান আর জন লেননকে টপকে,তখন মাইকেল জ্যাকসন, স্টিভ ওয়ান্ডার আর লায়নাল রিচি-দের যুগ চলছে।

গানটা শুনলেই এখনো আমার পুরনো দিনের একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে। আমাদের পাশের পাড়ায় একটি সুন্দরী মেয়ে ছিল। আর কে না জানে সুন্দরী মেয়েরা সব সময় অন্য পাড়ায় থাকে! ঐ বয়সে যে রকম হয় আর কি! যাতায়াতের পথে আমাদের মতো উঠতি বয়সীদের দেখা হতো তার সাথে। আর মনের মধ্যে বেশ একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি হতো সকলের। কি হয় কি হয়! কিন্তু আচমকাই খবর পেলাম আমাদের এক সিনিয়ার দাদা সেই মেয়েটিকে সোজা প্রেমপত্র দিয়ে ফেলেছে আর তার সাথে জর্জ মাইকেলের সেই ‘লাস্ট ক্রিসমাস’গান টির ক্যাসেট……..গিফট হিসেবে।

আমাদের তো মাথায় হাত। ছোকরারা যারা লাইনে ছিল তাদের মনমরা ভাব কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল বেশ কিছুদিন। কিন্তু সে যে কারণেই হোক দাদাটির মেয়েটির প্রতি সেই অনুরাগ পূর্ণতা পায়নি। কালের অমোঘ নিয়মেই কচি বয়সের সেই মাধুরীর পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটে অচিরেই।

যাক সে কথা। মূল কাহিনী থেকে কিভাবে সরে গেলাম দেখলেন তো? আসলে এই হয়! মাঝ বয়সে এসে পুরনো দিনের কথা একবার বলতে শুরু করলে সময় সারণীগুলো নিয়ম মেনে চলে না কিছুতেই। খামখেয়ালী আর ভুলে যাওয়া মনের মধ্যে ক্রমাগত তৈরি হতে থাকবে স্মৃতি কথা,কোলাজের মত। আসলে এই গানটি শুনলেই সেই সময়টা চলতে শুরু করে ছায়াছবির মতো! তাই এসে পড়ে এতসব প্রসঙ্গের অবতারণা।

আর ডিসেম্বর মানেই তো কলকাতার আদুরে শীতকাল। স্বল্প দিনের মেহমান,তবু…….। ডিসেম্বরেই যার শুরু আর জানুয়ারিতেই শেষ। তার মধ্যেই আলমারি আর ট্রাংকের সারা বছরের অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে শীতকালের সমস্ত পোশাক আশাক। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে ন্যাপথলিনের গন্ধ মাখা সোয়েটারগুলো।লাল, নীল, সবুজ রঙের। আর বেরোবে মাফলার। শীতের শুরুতেই জড়িয়ে দেওয়া হবে গলায়, কানে বা মাথায়। ওতে ঠান্ডা কতটা আটকাতো জানিনা, কিন্তু চামড়া কুটকুট করতো খুব।

আর ডিসেম্বর মাসের মূল আকর্ষণ ছিল পার্কস্ট্রিট। শীতকালে এই রাস্তা টার চেহারাই অন্যরকম। চেনা কলকাতার বাইরে যেন এক টুকরো বিদেশ…..

দুপুরে হালকা রোদে বিদেশি টুরিস্টের ভিড়ে জমজমাট। ফুটপাতে হাজারো সওয়ারির মেলা। সওদা হচ্ছে আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট। হালকা পাশ্চাত্য সঙ্গীতের বাতাবরণ…. আর সন্ধ্যার আলোতে অথবা রাতের গভীরতায় মোহময়ী পার্কস্ট্রিট।

শরীর থেকে পিছলে যাচ্ছে নিওনের আলো! ক্রিসমাসের সেই মৃদু কুয়াশাচ্ছন্ন, রহস্যময়ী, অভিজাত পার্ক স্ট্রিটের সে আবেশ এখনো অক্ষুণ্ন। মনে পড়ে পিটার ক্যাট রেস্তোরাঁয় এক বোতল বিয়ার খেয়ে আমাদের প্রথম তারুণ্যের সেই সেলিব্রেশন। বন্ধুদের সাথেই কোন একটা হুল্লোড়ে মেতে, গলা জড়াজড়ি করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরা….. হেঁড়ে গলায় হ্যারি বেলা ফন্তের ‘জ্যামাইকা ফেয়ারওয়েল ‘ গাইতে গাইতে…..।
কিছু কিছু রেস্তোরাঁতে লাইভ মিউজিক চলত তখন। ক্যাবারেও হতো বেশ কিছু জায়গায়। যদিও মধ্যবিত্ত পরিবারের লক্ষণ রেখা এড়িয়ে দেখা বা শোনার সৌভাগ্য হয়নি কখনো।

কাঁটা চামচের টুং টাং,বাড়িগুলি থেকে ভেসে আসা গান বাজনায় ডুবে থাকতো সেই সাহেব পাড়ার অলিন্দ গুলি। ফ্লুরিস,ম্যাগনোলিয়া, কোয়ালিটি, ট্রিংকাস কত নাম তাদের আর ঘড়ি ধরে বদলে যাওয়া কত রকম রূপ।

এইটাই ছিল আমাদের ছোটবেলার শীতের কলকাতা। সবার আনন্দে মিশে যেতে পারা। ঈদের বিরিয়ানি আর ক্রিসমাসের কেক সবার মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার কলকাতা। আমার শহর।

তবু একটা কাঁটার মতো খচখচ করে সেই ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৯২ সাল। ডাক্তারি ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে আমাদের। আচমকাই ঘটে গেল অযোধ্যকান্ড। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হল।

দুদিন সব চুপচাপ। ১৪৪ ধারা উঠতেই শুরু হল তান্ডব।
এখনো মনে আছে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখছিলাম। এলাকায় গন্ডগোলের আভাসে বেরিয়ে আসতে হল। কারো নির্দেশে হঠাৎ যেন রাস্তাঘাট খালি হয়ে গেছে। এলাকার দোকানে দ্রুত একটার পর একটা শাটার পড়ে যাচ্ছে। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে হঠাই ফাঁকা হয়ে যাওয়া চেনা লোকালয় ভুতুড়ে চেহারা নিয়েছে।

শুনলাম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়াচ্ছে শহরে। ‘রায়ট’……. কথা টা শুনেছি বাবা মায়ের কাছে অনেকবার কিন্তু প্রত্যক্ষ করছি সেইবার প্রথম। গন্ডগোল যতটা না ছড়াচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে তার বহুগুণ। দাউ দাউ আগুনের মত।

সেই দু:স্বপ্নের হিমেল রাতে হৈ হৈ চীৎকার আর যুযুধান ধর্মীয় জিগীরে প্রথম প্রত্যক্ষ করলাম উন্মুক্ত তলোয়ার,আগ্নেয়াস্ত্র। এত হিংসা যে লুকিয়ে ছিল আমার পাড়ার অলিগলিতে কে জানতো? সারা রাত ধরে ভয়ের যে রূপ দেখেছিলাম তা কোনদিন ভুলতে পারব না। মানুষে মানুষে অবিশ্বাস যে প্রতিবেশীকেও হার্মাদ বানিয়ে তুলতে পারে তা আমার স্বচক্ষে দেখা। দেখেছি তথাকথিত উদারমনা মানুষকে সুযোগসন্ধানী মন্তব্য করতে।

আমরা ওই সময় মহল্লাগুলিতে বাহিনী তৈরি করেছিলাম দুষ্কৃতকারিদের নজরদারির জন্যে। এলাকায় অন্ততপক্ষে কোন দাঙ্গা ছড়াতে পারেনি। বেশ কয়েক দিনের কারফিউ চলেছিল শহরে। তারপর সৈন্য নামার পর সব শান্ত হয়।

ওই কদিনের অভিজ্ঞতা ভোলা যাবে না। সেই শহরটাকে আমি চিনতে পারছিলাম না।

এখন সময়টা আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। অসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে। আমি সেই ৬ই ডিসেম্বরের কলকাতাকে মনে রাখতে চাই না।

শীতকাল মানেই আমার কাছে ক্রীসমাসের পার্ক স্ট্রিট, প্রেমিক মানুষের ভিক্টোরিয়া, পিকনিকের আলিপুর জু আর ক্রিকেটের ইডেন গার্ডেন্স। কুয়াশার ময়দানে প্রাতঃভ্রমণ। আর রবিবারের সকালে পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচ।
ব্যাট হাতে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রেসার কুকারের সিটিতে মাংস রান্নার গন্ধ আর রেডিওতে শ্রাবন্তী মজুমদারের কন্ঠে বোরোলিনের সংসার। এইগুলোই থাকুক আমার হৃদয় জুড়ে।

আর আশা রাখবো ,ওই কলঙ্কের দিনগুলো যেন শহরের বুকে আর কোনদিন ফিরে না আসে।

এমনিতেই অনেক দুঃখ কষ্টে জড়িয়ে থাকে আমাদের জীবন। থাক না সবাই যে যার মতন। সব ধর্ম আর মতের মানুষের কাছে এটাই আমার প্রার্থনা। একমাত্র।

PrevPreviousঅরুণাচল
Nextসমসাময়িকঃ নয়া কৃষি বিল (২০২০) – বিশ্বপুঁজির পথে অতল যাত্রা?Next

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

রাজনৈতিক খুন

April 16, 2021 No Comments

রাজনৈতিক খুন গানটি একটা নিরপেক্ষ জায়গা থেকে লেখা। সারাক্ষণ কোন না কোন দলের রাজনৈতিক কর্মী খুন হচ্ছেন। তারা সবাই প্রান্তিক মানুষ। রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতা ভোগ

জানালা

April 16, 2021 No Comments

কতো ছোট ছিলাম? এখন দাদাদের কাউকে জিজ্ঞেস করলে সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারবে না নিশ্চয়ই। আমার বয়স তখন বছর চারেকের বেশী ছিল না সম্ভবত। আমাদের

বিভাজন

April 16, 2021 No Comments

। বিভাজন। রাস্তায় বাধা এলে মানুষ বা গাছ হোক, কাটা প্রয়োজন। বলি ছাড়া ক্ষমতার হয়না বোধন, আহুতি দিতেই হবে কিছু নাগরিক, গণতান্ত্রিক দেশে লাশ ছাড়া

লকডাউন হবে কিনা?

April 15, 2021 No Comments

লকডাউন হবে নাকি দাদা? প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলো যে লোকটা স্বরে ভয় মেখে, তার মুখে মাস্ক ছিলো না। কালো বাদুরের মতো ঝুলছিলো একটা কান থেকে, কাকতাড়ুয়ার

দিনলিপিঃ নববর্ষ

April 15, 2021 No Comments

সময়টা সত্যিই খুব খারাপ। পশ্চিমবঙ্গে কোভিডের দু নম্বর ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা। আর দফায় দফায় বাড়ছে ভোটের হিংসা। কাকে

সাম্প্রতিক পোস্ট

রাজনৈতিক খুন

Doctors' Dialogue April 16, 2021

জানালা

Dr. Dayalbandhu Majumdar April 16, 2021

বিভাজন

Arya Tirtha April 16, 2021

লকডাউন হবে কিনা?

Arya Tirtha April 15, 2021

দিনলিপিঃ নববর্ষ

Dr. Parthapratim Gupta April 15, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

311490
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।