প্রখ্যাত জনস্বাস্থ্যবিদ ডা: স্মরজিৎ জানা, আমাদের স্মরজিৎদা আর রইলেন না। কোভিড ১৯-এর শিকার হয়েছেন তিনি।
আমরা, যে চিকিৎসকরা ৭০-৮০-র দশকে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনে যুক্ত হই, তাদের যাঁরা এই আন্দোলনে যুক্ত হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন স্মরজিৎদা।
স্মরজিৎদা ন্যাশানাল মেডিকাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করলেও এমডি করার সময় থাকতেন মেডিকাল কলেজের হস্টেলে। সেই সূত্রে আমাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা।
সেই সময় থেকেই তাঁকে দেখেছি উৎসমানুষ পত্রিকার লেখক ও সংগঠক হিসাবে, ড্রাগ একশন ফোরাম ওয়েস্ট বেঙ্গল-এ, ভোপালের গ্যাসপীড়িতদের আন্দোলনের সমর্থনে।
আর নব্বইয়ের দশকে শুরু করা সোনাগাছির যৌনকর্মীদের নিয়ে তাঁর কাজ তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়। এইচআইভি-এডস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এক অগ্রণী সেনাপতি ছিলেন তিনি। যৌনকর্মীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তাঁর উদ্যোগে গড়ে ওঠা দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি ইতিহাস রচনা করে। এই পর্যায়ে স্মরজিৎদার সঙ্গে তাঁর পুরানো বন্ধুদের কিছুজনের মতপার্থক্যও হয়। সে সব নিয়ে ভবিষ্যতে আরো বিচার-বিশ্লেষণের সুযোগ থাকবে।
বেশ কয়েক বছর বাদে স্মরজিৎদার সঙ্গে আবার যোগাযোগ ডা বিনায়ক সেনের মুক্তির আন্দোলনে, সোনি সোরির মুক্তির আন্দোলনে। তারপর সম্পর্ক অটুট ছিল। একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছি–ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের, সিলিকোসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আর কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা তাঁর সহযোদ্ধা ছিলাম।
স্মরজিৎদা, তোমায় আমরা ভুলব না।
দুরগাপুরে দুর্বার এর এক অনুষ্ঠানে আলাপ হয়ে ছিল।ভালো মানুষ ও স্্গ্ঠক।পরিবারের প্রতি সমবেদনা র ইল