যতক্ষণ না কেউ নিজে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা থাকে না। যেমন সবাই ধরে নেয় সন্তানধারণ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। চাইলেই কেউ মা কিংবা বাবা হতে পারেন। কিন্তু যখন এই চাহিদা যথাসময়ে পূরণ হয়না তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ভেঙে পড়েন।
ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব কী?
বিবাহিত জীবনে বছরখানেক কোনোরকম গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা না নিয়ে স্বাভাবিক যৌনজীবন যাপন করার পরেও যদি কেউ সন্তানধারণ করতে না পারে তাহলে ধরা হয় বন্ধ্যাত্বের সমস্যা আছে। আর ৩৫ এর বেশি বয়সী কোনো মহিলা বা সন্তান ধারণ করতে অসুবিধা হবে এমন রোগ আগে থেকে ধরা পড়লে এই সময়সীমা ধরা হয় ৬ মাস। তার আগে ডাক্তার দেখানো উচিত নয়।
বন্ধ্যাত্বের জন্য শুধু মেয়েরাই নয়, নারী-পুরুষ যে কেউই দায়ী হতে পারে।
সমস্যা যখন নারীর
- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস- বন্ধ্যাত্বের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী এই সমস্যা। উপসর্গ হিসাবে ওজন বেড়ে যাওয়া, ঘনঘন মুড বদলানো, মুখে রোমের আধিক্য, ব্রণও হতে পারে। পিরিয়ড অনিয়মিত কিংবা অনিয়ন্ত্রিত হলে ও ওভ্যুলেশন ঠিকমতো না হওয়ার কারণে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
- ফ্যালোপিয়ান টিউবের ব্লকেজ- বিশেষ ধরনের সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস কিংবা গঠনগত ত্রুটির জন্য ফ্যালোপিয়ান টিউবের ব্লকেজ হতে পারে। ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন সম্ভব হয় না। তাই বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
- জরায়ুর ফাইব্রয়েড- সহজভাবে বলা যায়, জরায়ুর মধ্যে থাকা এক বা একাধিক টিউমার। বেশিরভাগ সময়েই এগুলোর কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে কখনো কখনো আপাত নিরীহ এই টিউমার সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- এন্ডোমেট্রিওসিস- জরায়ুর ভেতরের দিকে যে লাইনিং বা দেওয়াল থাকে তাকে বলে এন্ডোমেট্রিয়াম। এই এন্ডোমেট্রিয়াম টিস্যু বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে বলা হয় এন্ডোমেট্রিওসিস। এন্ডোমেট্রিওসিস জরায়ু ছাড়াও থাকতে পারে ফ্যালোপিয়ান টিউব এমনকী ওভারিতে।
দায় পুরুষেরও
শুক্রাণু বা স্পার্মের সমস্যা- পুরুষদের শুক্রাণুর নানান সমস্যা থাকতে পারে। কারো একেবারেই শুক্রাণু না থাকতে পারে(অ্যাজুস্পারমিয়া), কারো কম থাকতে পারে(অলিগোস্পারমিয়া), কারো আবার শুক্রাণুর চলাচলে ত্রুটি থাকতে পারে(অ্যাস্থেনোস্পারমিয়া)কিংবা শুক্রাণুর গঠনগত ত্রুটি(টেরাটোস্পারমিয়া)থাকা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময়েই এগুলোর কারণ জানা যায় না। এ ছাড়া অন্য কারণগুলি হলো
- মাম্পস- বয়ঃসন্ধির সময় বা পরে মাম্পস হলে পুরুষের অন্ডকোষে শুক্রাণু উৎপাদনকারী কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে কোনো পুরুষ আজীবন বীর্যহীনতায় ভুগতে পারে।
- ভ্যারাইকোসেল-অণ্ডথলিতে শিরাঘটিত সমস্যা। ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে পারে না বলে অণ্ডকোষে শুক্রাণুও কম তৈরি হয়।
- অস্ত্রোপচার বা ক্ষত- কোনোভাবে অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত লাগলে বা কোনো ক্ষত তৈরি হলে শুক্রাণু তৈরিতে প্রভাব পড়ে।
- গরম পরিবেশ- যেসব ব্যক্তি খুব গরম পরিবেশে অনেকদিন ধরে কাজ করে তাদেরও শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়।
উভয়ের সমস্যা
- সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ-এই সমস্যা স্বামী ও স্ত্রী দুজনেরই হতে পারে। একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। সংক্রমণ থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউবে কিংবা জরায়ুতে সমস্যা হতে পারে। দেখা দিতে পারে একটোপিক প্রেগন্যান্সির মতো সমস্যা।
- অতিরিক্ত ওজন- সন্তানধারণের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে মাত্রাতিরিক্ত ওজন। আবার বেশি রোগা হলেও সমস্যা হতে পারে।
- মানসিক চাপ, ধূমপান ও মদ্যপান- এ সবের জন্য ঠিকমতো সহবাস না হলেও বন্ধ্যাত্বর সমস্যা হতে পারে।
তবে সমস্যা যাই হোক না কেনো, সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা হলে যে কোনো সমস্যারই সমাধান সম্ভব।
আমার বয়স 28 বছর. 1 বছর হলো বিয়ে হয়েছে . প্রেগন্যান্সির 10সপ্তাহে bleeding শুরু হয়. USG তে জানতে পারি miscarriage হয়ে গেছে.. ডাক্তারবাবু বললেন হয়তো জেনেটিক ডিফেক্ট ছিল.. পরবর্তী আবার planning করার আগে কি কি বিষয় মাথায় রাখবো যাতে এমন আর না হয়…
অসাধারণ লাগলো মানুষ কে ভয়ের হাতথেকে বাঁচালেন
ধন্যবাদ
Like!! I blog frequently and I really thank you for your content. The article has truly peaked my interest.
A big thank you for your article.
Thank you ever so for you article post.
Hi there, after reading this amazing paragraph i am as well delighted to share my knowledge here with friends.