১৮ই মে, ২০২৫
গান, আবৃত্তি, নাচের মতো নাটকও মানুষের সভ্যতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চিন্তার জগৎকে বিকশিত করার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মানুষ কাজ করে, খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে, বিশ্রাম নেয়।আবার উন্নত মস্তিষ্ক আছে বলেই গান গায়,কবিতা লেখে,ছবি আঁকে,নাটক করে–এ তো স্বাভাবিক বিষয়। আবার এই সবকিছুই প্রতিবাদের হাতিয়ারও হয়। নাটক তো বটেই। সফদার হাসমি নাটক করতে গিয়েই তো শহীদ হন। কল্লোল,তীর, নবান্ন তো জীবনের জয়গান গেয়েছিল। নাট্যাচার্য শিশির ভাদুড়ীর নাম তো শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয় আজও। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও নাটক করতেন। এত কথা লিখলাম এই জন্য যে, ফিরহাদ হাকিম গতকাল বলেছে নাটক করছে কাজহারা শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।এতে সবাই রে রে করে উঠেছে।
আমার বক্তব্য, জীবনের যন্ত্রণা যদি ওরা বিকাশ ভবনের সামনে মঞ্চস্থ করে, অসুবিধা কোথায়? আর ববি হাকিম ভুল কী বলেছে? নাটক বলার জন্য মোটেই রে রে করা উচিত হয়নি।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। যদিও ববি হাকিম কর্পোরেশনের মেয়র। আরো তিনটে দপ্তরের মন্ত্রী। অভিষেকের রোষ বাঁচিয়ে এখনো টিকে আছে। তবে, ববি হাকিম কি জানে নাটক কাহারে কয়? ববি হাকিম কি বোঝে নাটকের মর্মার্থ ?
কিন্তু ববি হাকিম কী বোঝে ? বোঝে নমিনেশন না পেলে মমতার বাড়ি ভাঙচুর করতে। বোঝে নারদ কেলেঙ্কারিতে তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে ।
ওর সময় কোথায় নাটকের মানে বুঝবে? ফলে যার যে রকম বুদ্ধি, সে সেরকম বলবে। এতে অসুবিধা কোথায়?
এই কিছুদিন আগে ববি হাকিম টিভির সামনে ভীষন উত্তেজিত হয়ে বলছে, “আমরা কি চোর?”
কী দরকার এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করার ?
শেষ করি, ববি হাকিম আন্দোলনকারীদের যা বলেছে,তার উত্তর দিয়ে মিছে শরীর খারাপ করার কি প্রয়োজন আছে?
নিজেদের মতো করে চলুন না।










