কারো ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করলে তার কৃমি হয়েছেঃ
একেবারে ভুল ধারণা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
দেখা গেছে যারা নাক ডাকেন, যাঁদের ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যায় (স্লিপ অ্যাপনিয়া), যারা মানসিক অবসাদ বা উত্তেজনায় ভোগেন তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু কৃমির সাথে এর কোনো যোগাযোগ নেই।
অতএব দাঁত কিড়মিড় করলে কৃমির ওষুধ খাইয়ে কোনো লাভ নেই। নানা রকম মুখের ব্যায়াম আছে সেসব করলে কিছুটা উন্নতি হতে পারে। ওজন কমালে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে উন্নতি হতে পারে। অনেকে ঘুমের মধ্যে এত দাঁত কিড়মিড় করেন যে তাঁদের দাঁত ক্ষয়ে যায়। তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময় রবারের দাঁতের আচ্ছাদন ব্যবহার করা উচিৎ।
চকলেট, চিনি বা মিষ্টি বেশি খেলে কৃমি হয়ঃ
এটাও ভুল ধারণা। কৃমি একপ্রকারের প্রাণী, যা মুখগহ্বরের মাধ্যমে আমাদের খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে। মিষ্টি খাওয়ার সাথে কৃমির সম্পর্ক নেই।
যে সব কারণে কৃমি হতে পারেঃ
১) দুষিত জল।
২) না ধোওয়া শাকসবজি, স্যালাড, ফল
৩) খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা।
৪) মলদ্বারে হাত দিয়ে সে হাত মুখে দেওয়া।
৩) বিভিন্ন জন্তুর অর্ধ সেদ্ধ মাংস।
মলদ্বারে চুলকাচ্ছে মানে তার কৃমি হয়েছেঃ
ছোটো বাচ্চাদের কৃমির কারণে মলদ্বারে চুলকাতে পারে। তবে এর আরও অসংখ্য কারণ আছে।
১) ফাঙ্গাস সংক্রমণ (যেমন ইস্ট)
২) পাইলস, অর্শ।
৩) একজিমা, সোরিয়াসিস বিভিন্ন চর্মরোগ।
৪) ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ।
৫) ডায়াবেটিস।
৬) যৌনরোগ ইত্যাদি।
যদি দীর্ঘদিন ধরে চুলকানি থাকে এবং ব্যথা, রক্তপাত, কোনো র্যাশ হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ। বারবার কৃমির ট্যাবলেট খেয়ে লাভ হবে না।











এভাবে ভুল ভাঙার কাজ চলুক। একজন চিকিৎসকের পক্ষে সমস্যার বাস্তবতা যেভাবে বোঝা সম্ভব অন্য কারো পক্ষেই তা কখনোই সম্ভব নয়।