প্রথমে সেগুলোকে ধরো যেগুলো তাগড়াই,
ছপটি পড়লে বেগড়বাঁই করে ঢুঁসো মারতে আসে।
সেই জেদিগুলোর শিং ভেঙে দাও,
পারলে কাঁটাতারে ঘেরো ,
দরকারে খোজা ও বন্ধ্যা করে দাও,
প্রজন্মে যেন বীর্য বা ডিম না যায়।
তবে সবচেয়ে ভালো হয়
অন্য খামারে বা কসাইয়ের কাছে পাঠাতে পারলে।
এইবারে পড়ে রইলো বাধ্য নিরীহের দল।
ছপটি বা চাবুক থামিও না তাই বলে,
নয়তো ওরই মধ্যে
কয়েকটা শিং গজিয়ে সর্দার হয়ে উঠবে,
আর হ্যাঁ, ন্যায্য খড়বিচালিও এমন ভাবে দাও,
যেন দয়া করছো।
বিনিময়ে দুধ পাচ্ছো, তোমার সংসার চলে যা দিয়ে
এসব প্রশ্নের আভাস কারো না-বেঁকা ঘাড়ে টের পেলে,
এক নম্বর পরিচ্ছেদ দেখো।
অন্য খামারে বা কসাইয়ের কাছে পাঠাও।
তুমি চাইছো সাদার সাথে মিশবে সাদা,
কালোর সাথে কালো,
বাদামীর সাথে বাদামী।
সেই মতো মদ্দা মাদী জোড়ো।
কোনো সাদার সাথে কালোর ভাব হলে,
বা কোনো বাদামী সাদার কাছাকাছি ঘেঁষলে,
প্রথমে ছপটি, তারপর খড়বিচালি বন্ধ।
তাতেও না বুঝলে প্রথম পরিচ্ছেদ দেখো।
অন্য খামারে বা কসাইয়ের কাছে,
তবে জোড়ায় নয়,মাদীটাকে রেখে।
ঠিক রঙের সাথে জুটিতে জুড়ে দিলে পাপ কেটে যাবে।
এইভাবে, ক্রমশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রজনন করো।
বাধ্য হলে রাখো,
ঝামেলা বাঁধানো শিংওলা বা ল্যাজ ঝটকানো কাউকে দেখলেই..
হ্যাঁ ঠিক ধরেছো,
অন্য খামারে বা কসাইয়ের কাছে
চালান করো।
ব্যাস , আর কি! দুধের নদী বইবে তোমার ঘরে।
খামারের বাইরে বাহারের নামটা লিখো স্পষ্ট করে,
যেন দূউউউউর থেকে দেখা যায়
পারলে বাইশখানা ভাষাতেই ফেলো লিখে,
যেন রোজ বিজ্ঞাপন বেরোতে থাকে প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে।
দেখবে, ‘ গণতন্ত্র খামার’এর নাম,
কেমন ছড়াবে দিকে দিকে।