ক্লাস সেভেনে পড়ি। কোনো একদিন জীবনবিজ্ঞান ক্লাসের হোমওয়র্ক ছিল হৃদপিন্ডের রক্তপ্রবাহ পদ্ধতি পড়ে খাতায় লিখে আনতে হবে। স্কুলে গিয়ে দেখলাম দুই সহপাঠী হোমওয়ার্ক করে আনেনি। তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে বই খুলে খাতায় টুকে নিচ্ছে। তাদের খাতায় উঁকি মেরে আমার চক্ষু চড়কগাছ। শিরা- অলিন্দ – নিলয় – ধমনী এই পর্যায়ক্রম নয়, নিলয় – অলিন্দ – শিরা – ধমনী এই পর্যায়ক্রমে সহপাঠীদের খাতায় রক্তপ্রবাহ ঘটছে।অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এরকম লিখেছিস কেন। তাদের উত্তর আরো চমকপ্রদ। বইতে দেওয়া পরপর ঘটনাক্রম লিখলে শিক্ষিকা নাকি বুঝে যাবেন হোমওয়ার্ক বই দেখে টোকা। হায় মাছিমারা কেরানি।
আজকাল মিডিয়াও অবিকল এভাবেই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সিডিসি অর্থাৎ সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। গবেষণার বিষয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে করোনার সংক্রমণ পদ্ধতি। তাঁরা আইসিইউ এবং জেনারেল করোনা ওয়ার্ডে নানারকম ভাবে স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে হাসপাতালে করোনা রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিস যেমন ডাস্টবিন, কম্পিউটারের মাউস, দরজার হাতল, বিছানার রেলিং প্রভৃতির গায়েও ভাইরাস লেগে থাকছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের এই বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। এ ছাড়াও চিকিৎসার প্রয়োজনে এরোসল তৈরি হলে সেই এরোসলে সওয়ার হয়ে ভাইরাস রোগীর থেকে ৪ মিটার বা ১৩ ফুট দূরত্ব অবধিও যেতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত প্রটেকশন নিতে হবে।
এবার আসি মিডিয়ার প্রচার করা খবরে। খবরে যথেচ্ছ ভাবে বলে দেওয়া হলো যে করোনা ভাইরাস বায়ুতে ১৩ ফুট ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও তাঁরা এরোসলের কথা বললেনই না।
এখানে বুঝতে হবে যে এরোসলটা কি বস্তু। এরোসল বাতাসে ভাসমান অতি ক্ষুদ্র কঠিন অথবা জলীয় পদার্থ। চিকিৎসাক্ষেত্রে নেবুলাইজেশন দেওয়ার সময় এরোসল তৈরি হয়, তাই করোনা রোগীকে শ্বাসকষ্টজনিত কষ্টের উপশম করার সময় নেবুলাইজেশন দিলে সেইসময় তৈরি হওয়া এরোসলে সওয়ার হয়ে ভাইরাস ১৩ ফুট অবধি যেতে পারে। হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলার সময় মুখ থেকে যে থুতু ছিটিয়ে পড়ে তা কোনোভাবেই এরোসল নয়। সেই থুতুর কণা ভারী হয়, তাই মাটিতে থিতিয়ে পড়ে। সেই মাটিতে আপনি হাঁটাচলা করলে আপনার পায়ের তলায়, সেই মাটিতে হাত দিলে আপনার হাতে ভাইরাস লেগে থাকতেই পারে। এইখানেই বারবার হাত ধুতে বলা এবং হাত না ধুয়ে চোখে, মুখে, নাকে হাত দিতে বারণ করার সার্থকতা। তাই আপনি হাসপাতালে এরোসল তৈরি হওয়া উৎসের কাছে না থাকলে ১৩ ফুট দূরত্ব নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা থাকার কথা নয়।
কিন্তু আপনি ভয় না পেলে যে বাজারী মিডিয়ার লোকসান। তাই হোক অপপ্রচার। হোক প্যানিক অ্যাটাক। জনসাধারণ ডাক্তারদের থেকে মিডিয়ার কথা বেশি বিশ্বাস করেন। তাই বাজারে hydroxychloroquine অমিল। সবাই মুঠো মুঠো hydroxychloroquine খেয়ে করোনা প্রতিরোধের জন্য বালির বাঁধ দিচ্ছেন। কিন্তু সেই বাঁধের ছিদ্র দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের মত মরণব্যাধি গুটিগুটি এগিয়ে আসছে। তাই ভাবুন,ভাবতে শিখুন। সারাদিন খবরের চ্যানেল দেখে তাদের কথাকে বেদবাক্য না ভেবে পাড়ার ‘পাতি’ এমবিবিএস ডাক্তারকেও জিজ্ঞাসা করে দেখুন। তাঁরা আপনার মঙ্গল চান, ক্ষতি না।
নিচে সিডিসির গবেষণাপত্র র লিংক দিলাম ও সেখান থেকে নির্বাচিত অংশ তুলে দিলাম :
১)on the basis of the positive detection result from site 3, the maximum transmission distance of SARS-CoV-2 aerosol might be 4 m.
২) the SARS-CoV-2 aerosol distribution characteristics in the GW indicate that the transmission distance of SARS-CoV-2 might be 4 ম
https://wwwnc.cdc.gov/eid/article/26/7/20-0885_article
Mam I found a paper article
Turbulent Gas Clouds and Respiratory Pathogen Emissions
Potential Implications for Reducing Transmission of COVID-19 (https://jamanetwork.com/journals/jama/fullarticle/2763852)
It is saying that COVID 19 can propagate 27 feet in air for an hour by making Droplets or small droplets rather than droplet neuclei or aerosol…
She also showed that
“Multiphase Turbulent Gas Cloud From a Human Sneeze” for those small droplets and it can propagate 7-8 meters!
Could you please explain me… Because according to my perception on this paper. It is terrible.. And USA already started working on it
Agreed. The lady got extremely excited against a certain news agency. And, eventually missed to note that WHO along with the US Health Department have modified the precautionary measures based on those findings. One must learn to read between the lines to understand what’s told and what’s meant.
https://www.webmd.com/lung/news/20200414/cdc-covid-19-can-spread-13-feet-travel-on-shoes …… That’s a 14th April 2020 Webmed paper.
আপনার পাঠানো গবেষণাপত্রটি মার্চের শেষ সপ্তাহ নাগাদ প্রকাশিত।এটি এবং জাপানের করা আরো একটি গবেষণা সম্বন্ধে আমি পড়েছি।এই দুটি ই মাইক্রো ড্রপলট র বিস্তারপথ সম্পর্কিত।এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত সিডিসি র গবেষণাপত্র এই পর্যবেক্ষণ কে অ্যাকসেপ্ট ও করছে না, রিজেক্ট ও করছে না।তাঁরা বলছেন যে মাইক্রো ড্রপলট যদিও ওই দূরত্ব যেতে পারে,তবুও তাতে থাকা ভাইরাস র পরিমাণ কম থাকার সম্ভাবনা।সেই অল্প পরিমাণ ভাইরাস দ্বারা কেউ আক্রান্ত হতে পারেন কিনা সেটা পরীক্ষা সাপেক্ষ।যেহেতু নতুন এই ভাইরাস সম্বন্ধে এই মুহূর্তে জোর কেউ ই কিছু বলতে পারছেন না,তাই রিসেন্ট গবেষণাপত্র র ওপর ভরসা করে নির্ণয় করা ছাড়া কোনো পথ নেই।রইলো কথা আমার লেখা নিয়ে, তো আমি আমার ডিফেন্স এ এটাই বলতে পারি যে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে হটাত খবরে ১৩ ফুট দূরত্ব নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পিছনে বোধহয় সিডিসি র রিপোর্ট টির ই অপব্যাখ্যা ছিল।
What is the science to cover nose and mouth by face mask leaving eyes open, if talk to someone within 1meter distance ? Doctors are suggesting not to touch even eyes without sterilization of hands first.
There is a slender chance of getting the infection through the eyes. But that’s not the usual route. However, if you have itchy eyes then you probably suffering from allergy and not Coronavirus. If you want to cover eys too use a shield instead of a mask. Although, Mask will protect you better.