#ReliefAndMedicalAssistance
#WBDF_SSU_Initiatives
আজ একাধিক জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়, তার একটা – নোনাডাঙা ক্যাম্প।
WBDF-SSU চিকিৎসক আর ভলান্টিয়ার্স টিম আজ ক্যাম্প করলো ফোর্টিস হাসপাতাল সংলগ্ন অস্থায়ী বস্তিতে – পোড়া বস্তি বলে বেশি পরিচিত। ১৭০ পরিবারের প্রায় ৭৫০ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই, ২০০৮ এ পঞ্চান্নগ্রাম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া পর থেকে।
#ManasiTheHealingTouch এর পক্ষ থেকে লিপিকা যোগাযোগ করে এইখানে মেডিক্যাল ত্রাণের জন্য।
ঝাঁ চকচকে পাঁচতারা মাল্টিস্পেশাশিটি হাসপাতাল ও বিশাল সরকারি, বেসরকারি অফিসের লাগোয়া এখানে এখনো পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। অপুষ্টির অভাব চোখে লাগে বড্ড বেশি।
আমাদের চিকিৎসক আর ভলান্টিয়ার্স টিম মিলেমিশে রোগী দেখা আর মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউশন করে ফেললো চটপট, দেখা হলো ৮৫ জন রোগীকে।
এর মধ্যেই কয়েকজন স্থানীয় ছেলেদের সাথে কথা বলা হলো, তাদের প্রত্যেকেই যথেষ্ট সচেতন। লকডাউন চলাকালীন বস্তিবাসীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করেছে, যতটা সম্ভব পাশে থেকেছে একে অপরের, কমিউনের মতন। একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ জানালেন মার্চের শেষ থেকে তার রোজগার শূন্য, সাইকেলে করে বাজারে বাজারে মুরগি পৌঁছে দিনে শখানেক রোজগার হতো, পাঁচজনের পরিবার! স্থানীয় ছেলেদের সাথে কথা বলে জানলাম এরা কিছু চাঁদা আর খাবার দিয়ে চালাচ্ছে।
এর মাঝে কিছু বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সাথেও কথা হলো। পানীয় জলের ব্যাপারে পুণ্যদার লেখাটা মুখস্থ করেছিলাম, কাজে লাগলো।
আজ অনেক মাস পর WBDF এর সহযোদ্ধাদের অনেকের সাথে দেখা হলো, কিছুক্ষণ প্রান খুলে আড্ডা, আগামী ক্যাম্প আর কোভিড ও অন্যান্য কিছু কাজের কথাও আলোচনা হলো। রাজিব নদীয়ার কোভিড হাসপাতালের ডাক্তারদের জন্য পি পি ই কিট, N95, Faceshield নিয়ে রওনা দিলো। আমরাও চললাম, লাঞ্চ যে যার বাড়িতেই!
স্মরণজিৎ, বিশ্বজিৎ, সুব্রত, সৌরভ, পবিত্র, শোভন, কুমার রাজ, সঞ্জয়, দিয়া, সুরজিত, সৌগত, লিপিকা সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আর বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ পোরা-বস্তিতে ওই ছেলেগুলোকে যারা জীবন ও জীবিকার এই সন্ধিক্ষণে সব ছেড়ে জানকবুল লড়ে যাচ্ছে অঞ্চলের মানুষের জন্য।
ভাই, তোদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করার সাধ্য মতো চেষ্টা করবো, যেভাবে হোক।
বহ্নিদি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাই আমরা জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দি। উনি এখন সুস্থ আছেন।