সার্স: কি রে নাতি, এত তাড়াতাড়ি চলে এলি যে! কত সখ করে এদেশ-ওদেশ করে ইন্ডিয়া গেলি! আমি ভাবলাম, তুই-ই বংশের মান রাখবি। শেষ পর্যন্ত তুইও রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে চলে এলি!
কোভিড: শোনো দাদু, এখন ক্লোনিং এর যুগ। আমার ক্লোন ছেড়ে এসেছি ওখানে- দলে, দলে। ওরা সহজে হাল ছাড়বে না।
সার্স: তাই নাকি? ঈশশ্। আমাদের সময়! কদিন যেতেই চীনে, কোরিয়ান, জাপানীরা মাস্ক পরে অ্যায়সান মুখ ঢেকে ফেলল যে, বিশ্বভ্রমণের সুযোগই পেলাম না। তোর বাবা মার্সও তাই! আরবের বালিতে মুখ গুঁজে মরল।
কোভিড: আরে আমি তো ভালই খেলছিলাম। ইন্ডিয়াতে গেঁড়ে বসেওছিলাম। কিন্তু সব দিল মাটি করে বাঙালি।
সার্স: বাঙালি?
কোভিড: হ্যাঁ। সুযোগ পেয়ে ঢুকেছিলাম এক কর্পোরেট বসের নাকে। লকডাউনে ঘরে সারাদিনই কম্পিউটার এর সামনে। অল্প বয়েস। সুবিধা করতে পারছিলাম না।
সার্স: তারপর?
কোভিড: কাজের নামে কম্পিউটারে যে মামনি-টার সাথে ফস্টিনষ্টি করত, অফিস খুলতেই তাকে ধরে চকাস্ চুমু। আমিও এক লাফে সুন্দরীর ভিজে টাকরায়।
সার্স: ওফফ্…বলিস কি?
কোভিড: যা ভাবছ তা নয়। সে মেয়ে খালি চকোলেট খায়। আর আমি সারাক্ষণ চকোলেটে মাখামাখি। কি গেরো! দুদিন বাদে সুন্দরী মদের দোকানের দেড় মাইল লাইনে, আর আমি সুযোগ পেয়েই এক মাঝবয়সি গুঁফোর গলায় গেলাম সেঁধিয়ে। ভাবলাম, এবার ক’দিন আরামে থাকা যাবে। কিন্তু বিধি বাম। অত সুখ কি কপালে সয়?
সার্স: কেন? আবার কি হল?
কোভিড: আর বোলো না! তুমি তো আর দেখার সুযোগ পাও নি দাদু- এ হল টিপিক্যাল বাঙালি। মুখে সিগারেট। থুতনির কাছে মাস্ক। ইয়ার বন্ধু দের সাথে চার পেগ মেরে বাড়ি ফেরার পথে কার্নিক খেয়ে সোজা ড্রেনে। বাপরে! কি পচা গন্ধ! গুঁফোটা ভোররাত অবধি ওই অবস্থায় পড়ে থাকার পরে টলতে টলতে বাড়ি ফিরে বৌয়ের হাতে খেল হাটুরে মার।
সার্স: সে কি! তারপর?
কোভিড: বাবু সকাল সকাল চান করে ভালো ছেলের মত মাছের ঝোল ভাত খেয়ে সোজা অফিসে।
সার্স: অফিস?
কোভিড: আনলক হচ্ছে না? এদিকে লোকটার ভিতরে ভিতরে জ্বর। দু-ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বাদুড় ঝোলা হয়ে বাসে। আমি বুঝলাম, এবার পালাতে হবে। কারণ, হিরো এবার টসকাবে। সামনেই এক লবঙ্গলতাকে টার্গেট করেছিলাম। লাল লিপস্টিক। গলায় ঝুলছে মাস্ক, মালার মত। কিন্তু গাদাগাদি ভিড়ে, বাজখাঁই গলায় ‘পেছন দিকে এগিয়ে যান’ চিৎকার শুনে এমন চমকে গেলাম যে, গুঁফোর নাক থেকে লবঙ্গলতা-র নাকে লাফাতে গিয়ে ভুল করে গুঁফোরই অন্য নাকে ঢুকে পড়লাম!
সার্স: অ্যাঃ, বাজে মিস। তারপর আর চান্স পেলি না?
কোভিড: নাঃ। বিকেল থেকে কাশি, হাঁফ ধরা। টেস্ট। হাসপাতালে ভর্তি।
সার্স: ডাক্তার-নার্স দের একটাকেও পেলি না?
কোভিড: আরে না, না। ওরা হেব্বি সেয়ানা। পি পি ই পরে রোগীর কাছে আসে। হল না! তিন দিন পরে গুঁফো টসকালো। আমিও সটান সগ্গে। তোমাদের কাাাএছচ