ঘটনা-১
৪৪ বছরের স্বামী তার ৩৪ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে। ১৮ বছর বিয়ে হয়েছে, এখনও বাচ্চা হয়নি। কিছু পরীক্ষার পর জানা গেল, স্ত্রীর প্রিম্যাচিওর মেনোপজ হয়েছে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর সংখ্যা খুব কমে গেছে। সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
মেয়েটিকে এগিয়ে চলার জন্য, মনোবল বাড়ানোর জন্য অনেকক্ষণ বোঝানো হল এবং ওর স্বামীও এতে সঙ্গ দিল। কথা শেষে সে তার স্ত্রীর হাত ধরে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেল। এই ভেবে আশ্বস্ত হলাম যে, মেয়েটির পাশে ওর স্বামী আছে। এই মুহুর্তে মেয়েটির যা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল।
ঠিক দু মিনিট পরে মেয়েটির স্বামী তার শুক্রাণু পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে নিয়ে একা চেম্বারে ঢুকলো। “স্যর আমার রিপোর্ট কি ঠিক আছে? আমি এরপর বিয়ে করলে বাবা হতে পারবো তো?” ডাক্তার পড়লো ধর্ম সংকটে- কী উত্তর দেবে এখনও ভেবে চলছে।
ঘটনা-২
অভিজাত নার্সিংহোমে মা তার বাচ্চাকে নিয়ে এসেছে। ওর ডেলিভারি আমি করিয়েছিলাম। ওই মহিলা গৃহবধূ কিন্তু নানারকম সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। এক বছরের বাচ্চা অন্য এক ভদ্রমহিলার কোলে। বাচ্চার স্বাস্থ্য বয়সের তুলনায় ভালোই।
ভদ্রমহিলার অভিযোগ, “ডাক্তারবাবু ছেলে কিছুই খায় না আর রোজ রাত্তিরে ঘুমনোর সময় খুব কাঁদে।”
ভাবলাম, আমি শিশুবিশেষজ্ঞ নই বলে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাই। তাও কৌতূহলবশত জিজ্ঞাসা করলা্ম, “ও সারাদিন কী কী খায়?”
পাশে বসা মহিলাকে শিশুর মা জিজ্ঞাসা করলো- “মাসি, বাবু সারাদিন কী কী খায়?”
তখন আমার মুখে হয়তো এমন কোনো অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছিল যাতে বোঝা যায় আমি এই প্রশ্ন শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তাই তিনি তড়িঘড়ি বললেন, “বুঝতেই পারছেন সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকি তো, তাই অত খেয়াল রাখতে পারিনা”।
মাসি বাচ্চার সারাদিনের লম্বা খাবার মেনু গড়গড় করে বলতে বলতে গুলিয়ে ফেলে বলল, “আসলে পেরথম থেকে ছেলে আমার কোলি বড় হইচ্ছে তো, তাই বাবু আমায় ছাড়া একদম থাকতি পারে না।” বুঝলাম রাত্তিরে শোবার সময় বাবু হয়তো তার মাসিকে না পেয়ে কাঁদে।
মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি- এটা মনে হয় আজকাল অনেক পরিবারেই সত্যি।
Hasyorosh er moroke kothin bastob