দুই এক কুড়ি একুশ।
এখন করোনাকাল- বাস ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। অথচ অফিস যেতেই হবে। আজও ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে কাকলি অপেক্ষা করছে। যদি কোনও রিজার্ভ অটো বা ট্যাক্সি পায়, কিন্তু কোথাও কিচ্ছু নেই। আরও দু একজন অপেক্ষা করছে। প্রায় প্রত্যেকেই মুখচেনা। একজনের সঙ্গে তো ট্রেনে প্রতিদিনই দ্যাখা হতো। নিত্যযাত্রী হিসেবে জানে ভদ্রলোক কোনও একটা প্রাইভেট ফার্মে সামান্য কিছু একটা চাকরি করেন। নাম দেবাশিস– সবাই দেবাশিসদা, দেবাশিসদা বলে ডাকতো। এমন সময় একটা হলুদ নম্বর প্লেটের সাদা প্রাইভেট দ্যাখা গেল। কাকলি মরিয়া হয়ে হাত দ্যাখাতেই গাড়িটা দাঁড়িয়ে পড়লো।
ড্রাইভার যখন শুনলো কাকলি মাকড়দহ যাবে তখন বললো “উঠুন ম্যাডাম, আমি এই রাস্তাতেই যাচ্ছি। আমি… ওখানে হার্বাল ইন্ডিয়া অফিস আছে… ওটাতে মাস হিসেবে ভাড়া খাটাই…”
হার্বাল ইন্ডিয়ার অফিস কাকলির অফিসের কাছেই, ও সীটে বসতে বসতে বলে “আপনি প্রতিদিনই যান?”
ড্রাইভার ঘাড় নাড়ে। গাড়ি নড়ে ওঠে। দেবাশিস তখনও দাঁড়িয়ে, কাকলি ড্রাইভারকে বলে “একটু দাঁড়ান তো ভাই…. আর একজনকে তুলে নিই …এই যে দেবাশিসবাবু- এইযে …. এদিকে…. যাবেন নাকি?”
অচেনা ড্রাইভার…. একা যাওয়াটাও রিস্কি।
দেবাশিস একটু ইতস্ততঃ করে উঠে এলো। একটু সঙ্কুচিত ভাবে জানালার ধার ঘেঁষে বসলো।
“আপনি তো পেট্রোল পাম্প মোড়ে নামবেন?”
দেবাশিস অত্যন্ত নিচু গলায় বলে “হ্যাঁ মানে আমি আপনাকে যে কি বলবো… গত তিন দিন ফেরৎ গেছি – জানেনই তো প্রাইভেট মাড়োয়ারি কোম্পানি…. এই বাজারে …..”
“আরে না না আমাকে তো যেতেই হতো … ভাই আপনি কতো নেবেন?”
লোকটি হাসে “ম্যাডাম আমি তো রোজ এই রাস্তায়ই যাই – শাটল প্যাসেঞ্জার নিলে একটু বাড়তি ইনকাম হয় আর কি .… আপনারা আমাকে দুজনে পঞ্চাশ পঞ্চাশ একশোটা টাকা দেবেন…. আমি সাড়ে পাঁচটার সময় ডিউটি শেষ করে ফিরবো ….দরকারে একটা ফোন করে দেবেন ….আমারও একটা ফিক্সড প্যাসেঞ্জার পেলে ভালো হয় …”
এটা ট্যাক্সি ভাড়ার পক্ষে খুবই কম অথচ করোনায় দূরত্ব বজায় রেখে যাওয়া যাচ্ছে। কাকলি খুশিই হয় “আপনি প্রতিদিনই যাবেন? আপনার নামটা কি ভাই?” শ্যামাপদের নাম আর নাম্বারটা কাকলি নিজের ফোনে সেইভ করে ন্যায়।
নামার পরে দেবাশিস কাঁচুমাচু মুখে বললো “আপনি একা পেমেন্ট করছেন এটা আমার খুব ইয়ে লাগছে …”
কাকলি হেসে এড়িয়ে যায়। “আপনার নম্বরটা দিন … আমি ফোন করে আপনাকে খবর দেবো …ফিরবেন তো?”
শত হলেও প্রায় দশ বছরের নিত্যযাত্রার পরিচয় আর লোকটা ভদ্র এবং উপকারী। দেবাশিস ঘাড় নাড়ে।
ফিরিঙ্গিবাজার থেকে কাকলি টুকটাক কেনাকাটা করে বাড়ির দিকে হাঁটা দ্যায়। বড় রাস্তা থেকে একটা গলিতে ঢুকতে হয়। ওদের বাড়ির এই সরু রাস্তায় আলো নেই। শহরতলী এলাকা – গাছপালা ছাওয়া ছোট ছোট একতলা দোতলা বাড়ির গলি। বর্ষায় সাপখোপ ছাড়া আর কোনও ভয় নেই। কাকলির আবার সাপের খুব ভয়।
শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আসার পরে এক জায়গায় ভাড়া নিয়ে থাকতো। ওর বাবা স্বামীকে ছেড়ে আসাটা কোনোদিন মেনে নিতে পারেন নি – কাকলি এক মাত্র সন্তান হলেও না। বাবা বেঁচে থাকতে ঘরে ওর ঠাঁই হয় নি। অথচ কেবল কাকলির বড়ো চাকরিটা দেখেই ওকে শ্বশুরবাড়িতে পছন্দ করেছিলো। বিয়ের পর বহুদিন ঘরে খাবার পায়নি। রাতে বাড়িতে ঢুকতে পারে নি- সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঢুকেও খাবার পায়নি। চব্বিশ বছর বয়সে সন্তান হওয়া– তাকে আঠেরোর করে তারপর বেরিয়ে আসা। মামলা চলছে। ওরা টাকা চুরি আর লোক দিয়ে ভয় দ্যাখানোর মিথ্যে অভিযোগে পুলিশ কেস করেছে। ওর মাইনের টাকা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে থাকতো – সব তুলে নিয়েছে। কাকলি অনন্ত সব মামলায় জড়িয়ে আছে। ও জানে এটা মেটার নয়। ওর মৃত্যুর পর ও বাড়ির লোকজনই ওর সব সম্পত্তির মালিক হবে। মাঝে মাঝে হতাশ লাগে – মরে যেতে ইচ্ছে হয়। শুধু চাকরিটাই যা ভরসা।
বাবার মৃত্যুর পরে এখন এ বাড়িতেই এসে থাকছে। রাতগুলো কাটতে চায় না। কাজের মেয়েটা না এলে শুধু নিজের পেটের জন্য রান্না করতেও ইচ্ছে হয়না। তখন অগত্যা চিঁড়ে মুড়ি ছাতুই সম্বল। তবে পাড়ার সবাই এই খারাপ সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজের মেয়েটা এসেছে কিনা খোঁজ নেওয়া– না এলে ঘরে যা রান্না হয়েছে সেটা দিয়ে যাওয়া বা ডেকে খাওয়ানো। জীবন এভাবেই কাটে তবে নিঃসঙ্গতা তো আর কাটে না। হয়তো শুধু লড়ার সাহসটুকু আর উৎসাহটুকুই পাওয়া যায়। বিশেষতঃ এই করোনাকালে।
আজও ফেরার সময় এক কাকিমা ডেকে একটা টিফিন কৌটো ধরিয়ে দিলো। কাকলি বিনিময়ে কিছুই দিতে পারে না। খুব খারাপ লাগে। এখন প্রায় প্রতিদিনই দেবাশিস ওর নীরব যাত্রাসঙ্গী হয়। যাইহোক রাস্তায় একটা চেনা সঙ্গী তো থাকে। তাছাড়া কাকলির কনভেয়েন্স অ্যালাওয়েন্স আছে। ভাড়ার টাকাটা গায়ে লাগে না।
হঠাৎ এরমধ্যে একদিন কাকলীর গায়ে ব্যথা আর নাকের গন্ধবোধ চলে গ্যালো। ও ওদের পাড়ার ডাক্তারকাকুর কাছে গ্যালো।
“দ্যাখ্ কাকলি, এই যে রোগটা এসেছে এটা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় নি। কিন্তু তুই টেস্টটা করিয়ে নে…”
যার কপাল পোড়া হয় তার সবই খারাপ হয়। ওর করোনা পজিটিভ এলো। রিপোর্ট পেয়ে কাকলির পায়ের জোর কমে গ্যালো। আর কী বাকি রইলো? এখন চলবে কি করে? কাজের মেয়েটাও আসছে না। পরের দিন মিউনিসিপ্যাল অফিস থেকে লোক এসে ঘর স্যানিটাইজ করে কিছু ওষুধও দিয়ে গ্যালো।
কাকলির একমাত্র ভরসা ঐ ডাক্তারকাকু … ও কাকুকে ফোন করলো। কাকু বললো “এখন কদিন বাইরে বেরোস না। আমি লিখে সব ওষুধগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছি …. না খাওয়ার কোনো বারণ টারণ নেই …”
কাকু একটা অক্সিমিটার সমেত কিছু ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছে। শরীরটা বড্ড ভারি লাগছে। ঘরে কয়েকদিনের খাবার আছে, তারপর? ওর আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না। অনেক ক্ষণ পর উঠে দ্যাখে ফোনে কয়েকটা মিসকল। কয়েকটা অফিসের। একটা দেবাশিসের।
সবাইকে অসুখের খবরটা জানিয়ে ফোন মিউট করে শুয়ে পড়লো। দুপুরে অনেক ব্যালায় ক্ষিধেয় ঘুম ভাঙলো। উঠে একটু মুড়ি আর চানাচুর নিয়ে বসলো। অসম্ভব দুর্বল লাগছে। মানসিক না শারীরিক? একবার দরজা খুলে বেরিয়ে দেখেছে – কেউ ওর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। অন্য দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্ছে। সত্যিই তো। কে’ই বা এই ভয়ানক অসুখ জেনেও কাছে আসবে? কিন্তু..… ও ঘরে ঢুকে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে পড়লো।
চোখের জল পড়ছিলো কিনা সেটা কাকলি ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। হঠাৎ দরজা ধাক্কানোর শব্দে ধড়ফড় করে উঠলো। এই দুঃসময়ে কে আবার এলো? মাস্ক পরে দরজা খুলে স্তব্ধ দাঁড়িয়ে পড়লো। পিঠে একটা ব্যাগ নিয়ে দেবাশিস।
“আপনি? আমার তো .… আমার….?” নিত্যযাত্রীরা অনেকেই স্বাভাবিক ভাবেই ওর ফ্যামিলি লাইফের অবস্থা জানে সুতরাং ….
দেবাশিস একটা আকর্ণ হাসি দিলো “ম্যাডাম আমি কি ভেতরে যেতে পারি?”
কাকলি সরে জায়গা দিয়ে ভেতরের ঘরে গিয়ে বসলো।
“আপনার ফোনে ডাক্তারবাবুর নামটা জেনে ওনার থেকে ঠিকানা নিয়ে… আপনি চিকেন খান তো?”
কাকলি স্থাণুবৎ বসে থাকে।
“আপনার দরজায় খাবার দিয়ে আসবো … আপনি বাসন বাইরে বার করে দেবেন …..”
রং চটা পুরোনো বাড়িটা য্যানো আবার আলো ঝলমল করে উঠলো। তাহলে হয়তো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা মানুষকে পাশে পেলো। কাকলি জানে দেবাশিসের আসা নিয়ে পাড়ায় গুঞ্জন হবে – বদনাম … তবু এইটুকু বাঁচতে ইচ্ছে তো সবারই হয় …
“আপনার যদি করোনা হয়ে যায়…?”
উত্তর আসে না। বিকেল হয়ে গেছে, চুপচাপ গলিটা আরও চুপচাপ লাগছে। ঘুগনিওয়ালা ঘন্টা ঠুং ঠুং করতে করতে চলে যায়।
“দরজার সামনে চা রাখলাম”
“আপনি আবার এ্যাতো কিছু…”
“অভ্যেস আছে ম্যাডাম -গরীব বাড়ির ছেলে … সব পারি। আমি তো নিজেই রান্না করি … মা বাবা যখন অথর্ব পড়ে ছিলো তখন থেকেই…… ”
কাকলি এসব কথা ট্রেনেই শুনেছে। মনে আছে প্রায় আট বছর আগে ওর মা বাবা কাছাকাছি সময়েই মারা যান। এরপর কাকলির অক্সিজেন সিলিন্ডার , স্যুপ, ওষুধ বিষুধ এবং তারপর অবশেষে রিপোর্ট নেগেটিভ রিপোর্ট এলো। ততদিনে একমাস পেরিয়ে গ্যাছে।
কোথায় বাজার- কোথা থেকে কি হচ্ছে কাকলি কিছুই ভাবে নি। ওর মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো সেই ছোটোবেলার মতোই আরামে রয়েছে। দেবাশিস বিনা অনুমতিতে এ বাড়িতেই রয়ে গ্যাছে। কাকলি এটাকে ভাগ্যের দান বলেই ধরে নিয়েছে। কে কি ভাবছে সেটা ভাবার অবকাশ পায়নি। আর এই সময়ে তো কারো অন্য কিছু ভাবাও উচিত নয় তবে লোকেরা তো ভাববেই। এরমধ্যে কাকলি দুর্বল পায়ে একবার বেরিয়েছিলো। কথা বলতে গেছিলো – এক বৌদি বললো “ভালোই তো রাসলীলা বসিয়েছিস……..এখন ঐ নিয়েই থাক ..…”
কাকিমা দায়সারা উত্তর দিয়ে কাটিয়ে দিলো।
এক দূর সম্পর্কের বৌদি ফোনে শোনালো “ডিভোর্সটা পাওয়া পর্যন্ত অন্তত অপেক্ষা করতে পারতে…”
গুমোট মুখ নিয়ে কাকলি ঘরে ফিরলো – এ্যাতো পুরোনো সব সম্পর্কগুলো এ্যাতোটাই ভঙ্গুর? নিজের বিছানায় বসে জানালায় তাকিয়ে রইলো।
দেবাশিস দরজায় এসে দাঁড়ালো “কি হলো ম্যাডাম? মুখখানি তেলাহাঁড়ির মতো হয়ে রয়েছে ক্যানো?”
কাকলি সোজা ওর চোখে তাকিয়ে বললো “আমার দোষটা কোথায়? আপনি আছেন বলে সবাই আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে ক্যানো?”
দেবাশিস কিছু না বলে অন্য ঘরে গিয়ে দুকাপ চা বানিয়ে নিয়ে এলো। “আমি কি আপনার বিছানায় একটু বসতে পারি?”
কাকলি অপ্রয়োজনীয় বোধে উত্তর দিলো না।
চায়ে চুমুক দিয়ে কাকলির মুখ পার হয়ে মাধবীলতা গাছের একটা নাম না জানা পাখির দিকে তাকিয়ে দেবাশিস বললো “আমাদের মনের জন্য শরৎচন্দ্রই একদম আদর্শ মানুষ ….”
কাকলি বিষ্মিত হয়ে বললো “বুঝলাম না তো… ”
দেবাশিস হাসলো। “ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন”
তারপর পকেট হাৎড়ে একটা সিগারেটের প্যাকেট বার করে ধরালো। কাকলির ভুরু একটু কুঁচকে গ্যালো।
“ম্যাডাম অনেক দিনের অভ্যেস তো … ছাড়তে পারবো না .… বাদ দিন ….আসলে বাঙালি দুঃখী মানুষকে দয়া করতে ভালবাসে … শরৎবাবু এটা ঠিক ঠাক বুঝেছিলেন .. তাই দুঃখ নিয়েই সারাটা জীবন খেলে গ্যাছেন …. মান্নার হাহাকার ভরা গান – ক ফোঁটা চোখের জল ফেলেছো যে তুমি … ইত্যাদি ইত্যাদি” দেবাশিস ধোঁয়া ছাড়ে “যে মুহূর্তে আপনি সুখ খুঁজে নেবেন – ব্যস ফ্যুস করে সব ভালবাসা মিলিয়ে যাবে”
“আপনি সাহিত্যের ছাত্র?”
দেবাশিস হাসে “না না কেমিস্ট্রি অনার্স …. ঊচ্চাকাঙ্খাহীন একজন মানুষ … অল্পেই সুখী থাকি….”
“আসলে আমার কাছে পুরুষ মানেই একটা নারীলোলুপ …. পারলে চোখ দিয়েই ছিঁড়ে খেয়ে ন্যায় … আমি তাই বড্ড ভয় পাই”
“তাই?” দেবাশিস হাসে। সিগারেটে টান দ্যায়।
“ম্যাডাম সুন্দর সুপুরুষ দারুণ স্বাস্থ্যবান কাউকে দেখলে আপনি ফিরে তাকান না? সবাই বিপরীত ইয়েতে আকৃষ্ট হয়। তবে মেয়েদের ভোগ করাটা সহজ ….অনেক কারণেই … একটা শারীরিক ক্ষমতা আর দ্বিতীয়টা পুরুষের জন্মগত সামাজিক সুরক্ষা…..”
কাকলি চুপ করে রইলো।
দেবাশিস সিগারেটের শেষ ধোঁয়াটুকু টেনে একটা ভাঙা কাপে স্টাম্পটা ফেলে দ্যায়। “শুনুন ম্যাডাম যে মানুষটা সমাজকে না মেনে অসবর্ণে বিয়ে করেছে সেও এখন সামাজিক রীতির বাইরে আপনি কিছু করলে মুখ ঘোরাবে। আপনি যতদিন সবার গুডবুকে থাকবেন ততদিনই… আর প্রগতি? ঈশ্বরবাবু তো কবেই স্বর্গীয় হয়েছেন আজও কটা বিধবা বিবাহ হয়? মেয়েরাই সাতপাকের বাঁধনকে নিগড় ভাবতে শিখেছে …. সহমরণও কিছু কিছু হয় …রাজস্থানের রূপ কানোয়ার … সেখানে আপনি একজন সেপারেটেড মহিলা…. সে আপনি মরে যাচ্ছেন কিনা কেউ ভাববে না কিন্তু মরণ থেকে বাঁচার জন্য কখন কার হাত ধরলেন … সেটাই বিচার করবে ….” দেবাশিস উত্তেজিত হয়ে আরেকটা সিগারেট ধরায়।
কাকলির সব পুরোনো বিশ্বাসে ভাঙন ধরছে। একটা গানের কথা মনে পড়ে তুমি কোন ভাঙনের পথে এলে ….। ওর এখন একটা চওড়া বুক দরকার – মাথা গুঁজে কাঁদার জন্য।