বহু টালবাহনা করে যে চিহ্নিত দাগীদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি তা আংশিক। তারা কারা সেটাও স্পষ্ট নয়। শুধু নাম দিয়ে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা মুশকিল, তাই এই সকল দাগীদের বাঁচাতে তালিকাতেও ধোঁয়াশা তৈরী করে রেখেছে এসএসসি। এসব নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের ধাতানি অবশ্যম্ভাবী। তৃণমূল দলটা তাদের মালকিনের মতই এতটাই নির্লজ্জ আর মিথ্যেবাদী যে তার মুখপাত্ররা এরপরেও চ্যানেলে চ্যানেলে অন্য রাজ্যের কিংবা বাম আমলের কোনো দুর্নীতির দোহাই পেড়ে প্রবল চিৎকারে দাগীদের আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কেউ কেউ বলে চলেছে এই নিয়োগ দুর্নীতি, এসব নাকি অভিযোগ। কোনোটাই প্রমাণিত হয়নি।
এরপর জল কোনদিকে গড়াবে জানি না। যে সত্যিকারের যোগ্যরা চাকরিহারা হলেন তাদের চোখের জল আদৌ কোনোদিন জাস্টিস পাবেন কিনা জানি না, কিন্তু অন্য একটা ভাবনা মাথায় আসছে।
এবার এই চিহ্নিত দাগীদের এ যাবৎ পাওয়া মাইনের টাকা সুদসহ ফেরৎ দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের আদেশটি সামনে আসবে। এদেরকে মাথাপিছু ২৪, ২৫ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে হবে। আমার ধারনা যদি এই পরিস্থিতি তৈরী হয় তাহলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা সরকার কোনো না কোনোভাবে এই দাগীদের দিয়ে দেবে, যাতে তারা বিপদে না পড়ে।
কথাটা মিলিয়ে নেবেন।
কারণ চুরি করেছেন মহারাণী।










