Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

জুনিয়র ডাক্তার ও ডাক্তারদের আন্দোলন এবং সরকারের প্রত্যাঘাত

Justice for Abhaya
Dr. Jayanta Bhattacharya

Dr. Jayanta Bhattacharya

General physician
My Other Posts
  • December 5, 2024
  • 7:50 am
  • 8 Comments

১৮৭৪ সালে প্রকাশিত বসুর সেকাল আর একাল গ্রন্থে রাজনারায়ণ ভারতীয়দের তরফে ইংরেজদের “হনুকরণ”-কে তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করে লিখেছিলেন, “হিন্দু”দের প্রাতঃস্মরণীয়া নারীদের নিয়ে যে শ্লোক চালু ছিল, সে শ্লোক পরিবর্তিত হয়ে সেকালে নকল শ্লোক তৈরি হয়েছিল –

হেয়ার কল্বিন্ পামরশ্চৈব কেরি মার্শমেনস্থতা।

পঞ্চ গোরা স্মরেন্নিত্যং মহাপাতক নাশনং।।

আজকের এই জাল ওষুধ থেকে টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি, মেধাবী ছেলেদের পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রেশন… ইত্যাদি প্রতি পদে “অদৃশ্য, সন্ত্রাস ও হুমকি সংস্কৃতি-নির্ভর” যে মেডিক্যাল সাম্রাজ্য চলছে (রাজধানী – আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ), প্রতিটি আনাচে-কানাচে নকলের যে সাম্রাজ্য চলছে সেখানে হেয়ার, কেরি, মার্শম্যান প্রভৃতিদের সরিয়ে “প্রাতঃস্মরণীয়” অভীক, বিরুপাক্ষ, সন্দীপ এবং সুদীপ্তদ্বয়দের নাম স্বচ্ছন্দে বসিয়ে দেওয়া যায়! এ বলে আমায় দ্যাখো, ও বলে আমায় দ্যাখো।

(ছবিতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার – অর্ণব মুখার্জি – হাত জোড় করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলছে)

সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ, ২০২৪। বৃষ্টিস্নাত কলকাতার সে রাতের কথা মনে পড়ে? সে রাতের ছবি ওপরে। “দিদি” হিসেবে আমাদের মাননীয়া চলে গিয়েছিলেন ১০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের মাঝে। “ভাই”দেরকে অবস্থান তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিতে বলেছিলেন। সে সন্ধেতেই জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁর ডাকে কালীঘাটের বাসভবনে যায় আলোচনার জন্য। আমাদের ভাইদের দাবী ছিল, সমগ্র আলোচনা লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অজুহাতে পরিষ্কার না করে দেওয়া হয়। “দিদি”র “ভাইয়েরা” দিদির বাড়িতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যখ্যান করে আবার অবস্থান মঞ্চে ফিরে আসে – কেউ কেউ চোখের জল নিয়ে।

যৌক্তিকভাবেই, এসমস্ত দুর্নীতির নিয়ামক সরকারের তরফে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের সেক্রেটারির পদত্যাগের দাবীতে “ওরা বীর, ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়”-এর বাহিনী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছিল, যেমনটা তার আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে তাঁর পদত্যাগের দাবীপত্র এবং একটি সবল, ঋজু শিরদাঁড়া উপহার দিয়ে এসেছিল খোদ লালবাজারে।

একদল মেধাবী, মানুষের চিকিৎসা করার স্বপ্ন-মাখা চোখ নিয়ে তাদেরই সাথী আরেক স্বপ্ন দেখা সাথী “অভয়া”র নৃশংস খুন এবং নৃশংসতম হত্যার (বিশেষণদুটোর স্থান বদলও হতে পারে) বিচার (সুবিচার অনেক দূর গ্রহের কোন ছায়াময় অস্তিত্ব!) এবং সরকার ও রাষ্ট্রের তরফে সযত্নে তৈরি করা “আইনসিদ্ধ আইনহীনতা” (legalized lawlessness)-এর বিরুদ্ধে তখন দীর্ঘ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে, একটি সিস্টেমের মধ্যেকার নীরব “সন্ত্রাস সিন্ডিকেট”, সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের পাস-ফেল করানো বা নম্বর বাড়ানো, মর্গের মৃতদেহ বিক্রী থেকে নিম্ন মানের ওষুধ (কোন কোন ক্ষেত্রে ওষুধই নয়, গায়ে দেবার পাউডার) সরবরাহের ঠিকাদারি থেকে কয়েক শ’ কোটি টাকা কামানো, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং মেডিক্যাল শিক্ষাবিভাগের অভ্যন্তরের অবর্ণনীয় দুর্নীতি – সমস্ত কিছুর ক্লেদাক্ত আবরণকে একটানে খুলে ফেলে দিচ্ছে আমজনতার সামনে।

অনুসন্ধান চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ. ৪ দিনে কেটে যাবার পরে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে – কলকাতা পুলিসের তরফে তদন্ত চলাকালীন – কী কী প্রমাণ মুছে গেছে তার হদিশ পাওয়া মুশকিল। এরপরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মাননীয় প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৩ জন বিচারপতির বেঞ্চ সুও মোটো মামলা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। পরবর্তী অগ্রগতি শ্লথ – অনেকটা হিমঘরে প্রবেশের মতো। আসলে আমাদের মতো ভীরু মানুষ সিঁদূ্রে মেঘে ডরায়।

তদুপরি সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া! সে যে কী চায়, কিভাবে এগোতে চায় – সে কেবল “ভগায় জানে”! এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাসভাবিক নিয়মেই কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী চলবে। এবং আমরাতো দেখেছি, সর্বশক্তিমান কেন্দ্রের রাজারা আরজি কর নিয়ে কী ধরনের হিরণ্ময় নীরবতা পালন করছেন।

আমাদের আইনি পথগুলো কণ্টকাকীর্ণ। এর শেষ কোথায় আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। অনেকটা আবু সৈয়দ আয়ুবের রবিঠাকুরকে নিয়ে লেখা “পথের শেষ কোথায়?”। ফলে পথেই হবে আমাদের নতুন করে এবং বারেবারে পথ চেনা। আমরা পথ ছাড়িনি। পথ ছেড়ে দিচ্ছি না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করব, হরিয়ানার নির্বাচনের আগে ধর্ষক বলে সুপরিচিত রাম রহিমের দীর্ঘ সময়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়া। আমাদের স্মৃতিতে তাড়া করে ফেরে পেশাদার ধর্ষক “বাবা” রাম রহিম ২০ বার প্যারোলে ছাড়া পেলেও, বিলকিস বানুর খুনিদের বেকসুর খালাসের পরে মালা পরিয়ে বরন করা হলেও (এরকম হাত-ভরা দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়) জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনারত স্কলার উমর খালিদ “দেশদ্রোহিতা”র অভিযোগে এখনও মুক্তি পাননি। এছাড়া অশীতিপর বৃদ্ধ খ্রিস্টান যাজক ফাদার স্ট্যান স্বামী বা জি এন সাইবাবার মতো মানুষদের এক বিশেষ পদ্ধতিতে “প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা”র কথাতো আমরা জানিই।

প্রসঙ্গত উলেখযোগ্য, ১৯৪৮ সালে যখন খসরা সংবিধান নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলছে তখন সংবিধান রচনা কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ার বলেছিলেন যে, সংবিধানে বলা কথা এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিতে পারে তার অন্যতম কারণ হবে “ব্যক্তি বিচারকের নিজস্ব স্বভাব বৈশিষ্ট্য (ইডিওসিনক্রেসিজ) এবং পক্ষপাত (প্রেজুডিস)।” এরকম কথা বর্তমান প্রধান বিচারপতির পিতৃদেব সুপ্রিম কোর্টের ১৬তম প্রধান বিচারপতি যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়-ও ভিন্ন প্রসঙ্গে ইঙ্গিতাকারে বলেছিলেন। (দ্রষ্টব্যঃ জন হ্যারিস, লিবার্টিঃ দ্য ইন্ডিয়ান স্টোরি)।

আরও কথা

এ আন্দোলনের ফলে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে শাসকদল এবং সরকারকে এর প্রতিক্রিয়ায় নিত্যনতুন কৌশল ভাবতে হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের proactive movement সরকারকে reactive position-এ ঠেলে দিয়েছে। এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এরা বিভিন্ন স্তরে গণ অংশগ্রহণের flood gate খুলে দিল।

শুধু এটুকুই নয়, এ আন্দোলনের অভিঘাতে নারীরা সামাজিক সুরক্ষা এবং ব্যক্তি নারীর স্বাতন্ত্র্যচিহ্ন খুঁজে পেয়েছে। সমস্ত নাগরিক সমাজ – সবরকমের দলীয় প্রভাবকে দূরে সরিয়ে রেখে – একটি নতুন পরিসর তৈরি করেছে। এরকম তৃতীয় পরিসর বা নাগরিক পরিসর স্মরণীয় কালের মধ্যে উন্মোচিত হয়নি।

রাজনৈতিক দল এবং ঝান্ডা ছাড়া মানুষের বিশুদ্ধ আবেগ এবং পবিত্র ক্রোধকে রাষ্ট্র সবসময় ভয় পায়। চায়, একে বারংবার সহিংস হবার পথে ঠেলে দিতে। সফল না হলে একে প্রশমিত করার জন্য গণতন্ত্রের তথাকথিত চারটি স্তম্ভই কাজ করে – বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন মাত্রায়। সে কাজ করা শুরু হয়েছে, এবং করবেও। আমাদের রাস্তা ধর্ণায় বসে থাকা, পথে নেমে বন্ধু এবং সাথীকে চিনে নেওয়া। নাগরিক সমাজের বিপুল অংশগ্রহণ আমাদের নতুন ‘Human Bondage’ তৈরি করেছে। অজানা অচেনা প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ এ আন্দোলনের সাথে জুড়ে যাচ্ছে। আড়ে-বহরে “অভয়া”-র জন্য বিচার চাওয়ার অবয়ব ক্রমাগত বড়ো হচ্ছে।, দীর্ঘ হচ্ছে। আরও গভীরতায় প্রবেশ করছে।

আমাদের কাছে অজানা শিশু-কিশোর-কিশোরী-যুবক-যুবতী-মাস্টার মশাই-দিদিমণি-দাদা-বৌদি-ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরছি – যেন আরও বেঁধে বেঁধে থাকতে পারি আমরা।

কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হল – (১) আমাদের সন্তানসম জুনিয়র ডাক্তারেরা একটি অতি শীলিত, দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী সামজিক যুক্তিবোধের জন্ম দিয়েছে, যুক্তি এবং শিষ্ট বিতর্কের সীমানা কোন সময়েই অতিক্রম করেনি, (২) এর পরিণতিতে অগণন মানুষের অংশগ্রহণের মাঝেও নিঃসারে এই শিষ্ট যুক্তির প্রয়োগ ও পরিণতিতে অনুশীলনের সূচনা করেছে। আজকের অশিষ্ট, কদর্য, ক্লেদাক্ত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিবেশে এ এক জীবন্ত সামাজিক যুক্তির প্রতিরোধ।

এটুকু প্রাপ্তি আমাদের ইতিহাসের মহাফেজখানায় চিরকালীন স্থান করে নেবে – এ আমাদের বিশ্বাস। তবে একটি প্ররোচনার ব্যাপারে সয়াবিকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অপ্রাপ্তি পূরণের ক্ষেত্র হিসেবে যেন আমরা এদের আন্দোলনকে বেছে না নিই। তেমনি এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোন রাজনৈতিক দল তৈরি করার স্বপ্নবিলাসকে আমরা যেন আমল না দিই। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন অব্দি ওদের ওপরে আরও জানা-অজানা নানা পথে বিভিন্ন আক্রমণ নেমে আসবে। নাগরিক সমাজের দায়িত্ব ওদেরকে আগলে রাখার।

রাষ্ট্রের প্রত্যাঘাত

একটি প্রশ্ন তো করাই যায় – দিদি এবং দিদিগিরির মাঝে দূরত্ব কতটুকু? অর্বাচীন, অর্ধশিক্ষিত, অশিষ্ট বিধায়ক এবং “সফরি ফরফরায়তে” নেতাদের দিয়ে ডাক্তারদের ওপরে ভাষগত, দৈহিক (কিছুক্ষেত্রে) এবং সন্ত্রাসের আক্রমণ প্রায় মাস দুয়েক ধরে শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের ভাটার সময় এটা কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো নিঃসাড়ে চলতে থাকবে।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মিটিং চলবার সময়ে মিটিং চলাকালীন আমরা দেখেছি, ঘটনার সত্যতা জানানোর জন্য কিভাবে কলেজের অধ্যক্ষকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। একটি সংবাদপত্রের খবরের শিরোনামও হয়েছে “‘না জানিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড, এটা থ্রেট কালচার নয়?’ আর জি করের অধ্যক্ষের কাছে জবাব চাইলেন মমতা”। ছাত্রদের সামনে অধ্যক্ষের এরকম অপমান কোথায় বাজতে পারে, ভেবে দেখুন? প্রকৃতপক্ষে “হুমকি সংস্কৃতি”র গর্ভগৃহে বসেই আমরা ঠাণ্ডা গলায় হুমকি শুনলাম।

চেষ্টা থাকবে আমাদের যুক্তির এবং চলনের ধরনের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ আসতে থাকবে এবং আমাদের সাথে বিপুল জনতার যে গাঢ় সংযোগ তৈরি হয়েছিল, সেটাকে ছিঁড়ে দেবার। কারণ সামাজিক আন্দোলনের অনিবার্য dynamics-এই আন্দোলনে এখন আপাত ভাটার সময় চলছে। রাষ্ট্রের আক্রমণের এটাই মোক্ষম সময়।

আপাতত এরই চূড়ান্ত পরিণতি হল “প্রাতঃস্মরণীয়” অভীক ও বিরুপাক্ষের পুনঃস্থাপন। জীবন্ত বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হল মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সামনে আরও অনেক আক্রমণ একে একে আসবে। ডাক্তাররা বুঝতে পারছেন। এবং মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন।

কিন্তু রাষ্ট্র হৃদয়হীন, হিংস্র, প্রতিশোধস্পৃহ, মুখ এবং মুখোশ একাকার হয়ে যাওয়া একটি যান্ত্রিক ব্যবস্থা। এর সঙ্গে আমাদের লড়াই এককথায় অসম লড়াই। এ লড়াইয়ে মাটি, জল, ভূমি, বাতাস, পুষ্টি দিতে পারে নাগরিক ও প্রান্তিক সমাজের অস্নগখ্য মানুষের অপরিমেয় শক্তি। এজন্য আমাদের অন্তহীন সামাজিক সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতেই হবে। আর কী কোন পন্থা খোলা আছে আমাদের সামনে?

PrevPreviousকেমন আছি আমরা?
Nextরাজপথে ফেরার সময় এসেছে।Next
4.3 4 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
8 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
ওয়ালিউল ইসলাম
ওয়ালিউল ইসলাম
7 months ago

সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুক এই লেখা, বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত করুক।
অসাধারণ, জয়ন্ত দা।🙏🙏

0
Reply
সুকুমার ভট্টাচার্য‍্য
সুকুমার ভট্টাচার্য‍্য
7 months ago

যথাযথ লিখেছেন। সরকারের চোখের সামনে যে দুর্নীতিগুলো এই আন্দোলনের ফলে প্রকট হল, তা দূর করে স্বচ্ছ প্রশাসন তৈরী করার সুযোগ নিলে একটা দৃষ্টান্ত তৈরী হতে পারত। সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করার সাহস বোধহয় আমরা হারিয়ে ফেলেছি ।

0
Reply
Dr. Amal Bhattacharya
Dr. Amal Bhattacharya
7 months ago

এই পঙ্কিল অন্ধকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা কে আলোয় ফেরান এই জমানায় পরশপাথর খুঁজে পাওয়ার মতোই ব্যাপার।

0
Reply
Sukumar Chanda
Sukumar Chanda
7 months ago

গণ আন্দোলন এবং একটা ন্যায্য দাবি কে রাষ্ট্র যখন সন্মান dei না, বোঝা যাচ্ছে আমরা কোন দিকে egochchi.

0
Reply
স্বপন ঘোষ
স্বপন ঘোষ
7 months ago

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী লেখাটি যথাযথ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোন বিদ্রোহই ন্যায়সঙ্গত। তারপরও জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি ও ভবিষ্যত নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। দেখা হলে আলোচনা করা যাবে।

0
Reply
স্বপন ঘোষ
স্বপন ঘোষ
7 months ago

অনেক বলার আছে।এক কথায় বলার মতন নয়। দেখা হলে বলবো।

0
Reply
SAMRAT BAKSHI
SAMRAT BAKSHI
7 months ago

আন্দোলন চলছে কিন্তু আন্দোলন র সঠিক ভিত্তি বলতে পারছে না কেউ।
আর হ্যাঁ মারের পরিবর্তে মারতে হবেই গান্ধী মতবাদ হলে এই আন্দোলন এমনি চলবে যার কোনোদিন শিলান্যাস হবে না। এরকম অভয়ার মতো প্রতিদিন হয়তো হাজারো হাজারো মেয়ের জীবন বলি হচ্ছে সকল কে বলা হচ্ছে এক হন। এখনো যদি আপনেরা যদি এক না হন তাহলে হয়তো রাতের অন্ধকারে আমার বা আপনার মেয়ে মা বোনেরা বিলীন হয়ে যাবে।

So, Everyone will Request to stand up&Stop this nonsence Things. Go To jastise with cause.
Jai Hind Banda mataram🙏

0
Reply
Prakash Thapa
Prakash Thapa
7 months ago

সত্যি ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে আগামী দিনে কি হবে. কোন পথে আমরা অগ্রসর হচ্ছি

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

July 8, 2025 No Comments

For me Odisha is a land of contradictions, and the story starts from a rainy day when I came to Bhawanipatna, Kalahandi, Odisha from Chattisgarh.My

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

July 8, 2025 No Comments

৭ জুলাই, ২০২৫ ২০২৪ এর ৯ আগষ্ট, কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয় এই কলকাতায়,এই বাংলায়। মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পি জি

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 2: Chhattisgarh: Where Red Dust Meets Red-Green Flags

July 7, 2025 No Comments

When I first scanned the list of centres offered through the travel fellowship, one name leapt out at me: Shaheed Hospital—a Martyrs’ Hospital. There was

অভয়া আন্দোলন: রাজপথ থেকে এবার ছড়িয়ে পড়ুক আল পথে

July 7, 2025 No Comments

৫ই জুলাই

July 7, 2025 No Comments

তেরো বছর আগে এইরকমই এক বর্ষাদিনে শত শত বাঙালির হাত একটি শবদেহ স্পর্শ করে শপথ নিয়েছিল — পশ্চিমবঙ্গকে নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া থেকে প্রতিহত করতে

সাম্প্রতিক পোস্ট

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

Dr. Avani Unni July 8, 2025

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

Abhaya Mancha July 8, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 2: Chhattisgarh: Where Red Dust Meets Red-Green Flags

Dr. Avani Unni July 7, 2025

অভয়া আন্দোলন: রাজপথ থেকে এবার ছড়িয়ে পড়ুক আল পথে

Abhaya Mancha July 7, 2025

৫ই জুলাই

Dr. Sukanya Bandopadhyay July 7, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

566023
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]