ধন্দে ভারত, দ্বন্দে ভারত, কোন দিশাতে যাচ্ছে দেশ,
অতীত শোধন কবচ তাবিজ এই সমকাল খাচ্ছে বেশ।
এই খেয়েছে, তাবিজ তো না, আরবি যে আজ অচ্ছ্যুতে,
বল মাদুলি, নয়তো বুলি কাড়বে কোনো বদ-ভূতে।
ছন্দে ভারত আবার কবে, ধরবে সবাই এক ধুয়ো,
যায় না শোনা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙে, ব্যাঙরা ভাবে দেশ কুয়ো।
গন্ধে ভারত যাচ্ছে বুঝে কোন বারুদে লাভের গুড়,
দাঙ্গাকারীর নাঙ্গা-রেহাই, সঙ্গে যখন ভোট প্রচুর।
খন্দে ভারত খুঁড়িয়ে চলে, সব সূচকেই হোঁচট-চোট,
বন্ধু তবু বন্দুকই তার, কিনতে দেদার খরচা নোট।
নন্দে ভারত ভর্তি নাকি, ঘোষ পদবী তাদের নয়,
দোষ সবই সেই আলমগীরের, অন্য কোনো কাঁধের নয়।
বন্ধে ভারত খুঁজছে কেবল, কোথায় খোলে কারখানা,
দশটাকাতে আদানি ছয়, আম্বানি পায় চারখানা।
কাজ হারানো আজ না খবর, সেনসেক্স তো জবরদস্ত,
বাঁচার সময় কেউ না এলেও , পাবেই চিতা-কবর-দোস্ত।
বোন দে ভারত, বলছে এ যুগ, সব মা বাবা পুত্র চায়,
ভ্রুণের থেকেই খুন শুরু মেয়ে, কোথায় চেনার সূত্র পায়?
একটা দেশের আধখানা লোক সমান হতে খুব লড়ে,
‘পড়াও’ ভাবে ‘পোড়াও’ যারা, দূর উড়ে যাক সেই ঝড়ে।
অন্ধে ভারত ভর্তি হলে, কায়েম তখন অন্ধকার,
ভরাট করার মানুষ আসুক , বন্ধ খোঁড়া খন্দ আর।
মন দে ভারত অতীত ফেলে উন্নত-শির ভাবীর দিক,
অ-জ্ঞানে নয়, বিজ্ঞানে খোঁজ সামনে যাওয়ার পথ, পথিক।
বন্দে ভারত বিশ্বগলায় শুনতে পাবো তখন ঠিক।