জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে না হয়ে বইমেলা হতে চলছে ২৮শে ফেব্রুয়ারী থেকে। কিভাবে নিরাপদে বইমেলার আয়োজন করা যায়, বললেন ডা সমুদ্র সেনগুপ্ত।
উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি। “নিউ নর্মাল” মেনে নিয়েই বইমেলার আয়োজন করা যেতে পারে তবে খরচাপাতি আছে আগেই বলে রাখছি। যে যে ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে তা এই রকম
(১) মেলায় ঢোকার জন্য ক্রেতা বিক্রেতা সহ সবার জন্য দু ডোজ কোভিভ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করতে হবে।
(২) মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে সংগ্রহের জন্য মাস্ক বিক্রি বা বিলির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৩) থার্মাল স্ক্যানার রাখতে হবে সব গেটে। সবটা না হলেও কিছুটা সুরক্ষা দেবেই।
(৪) মেলার স্টলের লে আউট এর সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন স্টলগুলির সামনে দীর্ঘ লাইন পরে। সে গুলিকে এমন লোকেশন দিতে হবে যাতে ওই লাইনটা মেন্টেন করা যায় যে লাইনে একজনের থেকে আরেকজনের ছয়ফুট দূরত্ব মেনে দাঁড়াতে পারেন ক্রেতারা। সেই লাইন দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোক দিতে হবে।
(৫) প্রতিটি স্টলের আশেপাশে ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে বায়ু চলাচলের জন্য। দরকার হলে স্টলের সংখ্যা কমাতে হবে। একই স্টলে দুজন ছোট প্রকাশকও বসতে পারেন।
(৬) ছোট হোক বা বড়, প্রতিটি স্টলে ঢোকা বেরোনোর আলাদা গেট থাকতে হবে যাতে জটলা না হয়। স্টলের আয়তন অনুযায়ী ঠিক করে দিতে হবে একসাথে কতজন ক্রেতা ওই স্টলের ভেতরে থাকতে পারেন।
(৭) প্রচুর বাতাস যাতে খেলে এমন ডিজাইন করতে হবে স্টলগুলির জন্য। কাপড় দিয়ে চারদিক মুড়ে বদ্ধ পরিবেশ তৈরি করা যাবে না।
(৮) বইমেলার চত্বরে বা বাইরে অপ্রয়োজনে মুখ খোলা নিষেধ থাকবে। কোনও খাদ্য পানীয় এর স্টল থাকবে না। পানীয় জল কেবল থাকবে। কোনোও গান বাজনার আসর বসানো যাবে না। যারা খিদে সহ্য করতে পারেন না তারা আসবেন না। কোনো ধরনের সো যেমন কুইজ শো ইত্যাদি করা যাবে না যাতে কোনো স্টলের সামনে ভিড় হয়।
(৯) যদিও ফোমাইট দিয়ে কোভিড ছড়ানোর তেমন প্রমাণ নেই, তবুও প্রতিটা বইকে প্লাস্টিক কভার দিয়ে রাখতে হবে যাতে সেগুলি স্যানিটাইজ করা যায়। প্রতিটি স্টলে ঢোকার আগে আর বেরোনোর পর হাত স্যানিটাইজ করার পেডেসটাল স্ট্যান্ড রাখতে হবে। টাকা পয়সার লেনদেন সব ডিজিটাল করতে হবে। অসংখ্য এপ আছে। অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
(১০) মেলায় যাতায়াতের জন্য প্রচুর অতিরিক্ত বাস ট্রেন ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে ভিড় এড়ানো যায়।
(১১) বইমেলা চত্বরে মাইকে ঘনঘন কোভিভবিধি মেনে চলার আবেদন করতে হবে।
(১২) কোনো বিক্রেতা বা তার কর্মচারী বা পরিবহন শ্রমিক বা অন্য শ্রমিক যারা মেলার সাথে যুক্ত তারা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পরলে সরকারের তরফে সম্পূর্ণ বিনা খরচে তা ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য তাদের গিল্ডের পরিচয়পত্রদের চিকিৎসারই যথেষ্ট হবে।
ঠিক কখন করা যাবে সেই সময়টা বেছে নেয়াও গুরুত্বপূর্ন। অবশ্যই এক্ষুনি নয়, সংক্রমণের হার কিছুটা কম হলে তারপর।
আপাততঃ এই একডজন সুপারিশ। ভেবে দেখুন।