হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী সারা পৃথিবী জুড়ে। মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সারা পৃথিবীর, সারা দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে আটকানো যায় এই মারণরোগকে। হতাশায় ঘন কালো পৃথিবীতে উল্কা পাতের মত কখনও কখনও কোন বিজ্ঞানী শোনাচ্ছেন কিছু আশার কথা। করোনা প্রতিরোধে বিসিজি ভ্যাকসিন তার অন্যতম।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তাঁদের গবেষণায় জানিয়েছেন ভারত, জাপান ও অন্যান্য দেশ যেখানে বিসিজি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে নিয়মিত ভাবে এবং যে দেশের ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের মধ্যে বিসিজি ভ্যাকসিন আছে, সেই সব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃত ভাবে অনেক কম ।
বিসিজি (Bacillus Calmette Guerin) এমন একটি ভ্যাকসিন যা সাধারণত নবজাতককে দেওয়া হয় টিবি মেনিনজাইটিস ও ডিসেমিনেটেড টিবি আটকানোর জন্যে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে যেমন ইতালি -স্পেন -ফ্রান্স-আমেরিকা -নেদারল্যান্ড-এ এই ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয় না বা দেওয়া বাধ্যতমূলক নয়। কিন্তু ভারতবর্ষ-চীন-জাপানে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচীর মধ্যেই বিসিজি পড়ে।
করোনা ইনফেকশনে কিভাবে কাজ করে বিসিজি?
পরীক্ষায় দেখা গেছে বিসিজি ভ্যাকসিন টিবি রোগ ছাড়াও হেটেরোজেনাস ইমিউন ইফেক্ট-এর মাধ্যমে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণ করে এমন কিছু ভাইরাস থেকেও আমাদের বাঁচায়।
পরীক্ষামূলক ভাবে যখন ইঁদুরকে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, দেখা যায় ইঁদুরটি গুটি বসন্তর আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারছে। আসলে যখনই কোনো ভাইরাসের আক্রমণ হয় তখন আমাদের শরীরের CD4 কোষ থেকে বেশী বেশী ইন্টারফেরন গামা তৈরি হয় যা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় বিশেষত, ভাইরাস এর বিরুদ্ধে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে বেড়ে যায় CD4 টি লিম্ফোসাইটের পরিমাণ। এটাও দেখা গেছে বিসিজি ভ্যাকসিন ইন্টারলিউকিন-1B নামে একধরনের সাইটকাইন বাড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
এই সব তথ্যের উপর ভিত্তি করে অষ্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় ৪১৭০ জন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই ভ্যাকসিন দিয়ে চলছে খুব বড় এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়াল নিয়ে বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী। তাঁদের ধারণা এই ভ্যাকসিন সব ক্ষেত্রে করোনাকে আটকাতে না পারলেও এই রোগের তীব্রতা এবং এই রোগের সঙ্গে হাওয়া অন্য জীবাণুর সংক্রমণ থেকে মানব শরীরকে অনেকাংশেই রক্ষা করতে পারবে। যদি তাই হয়,তবে আমাদের দেশে মৃত্যুহার অবশ্যই কম হবে।
কিন্তু তা বলে এই আশা যেন আমাদের মনোবল বাড়িয়ে অসাবধানী না করে ফেলে।
Doctor , excecent research work. Hope & pray for their earliest success. Again I am thanking the whole Medical fraternity for relentless fight against this unseen foe of the mankind. Wish you all my heartful of gratitude.
Wonderful Article Dr.Ghatak.?????
This topic will enrich us.
Like!! I blog quite often and I genuinely thank you for your information. The article has truly peaked my interest.
A big thank you for your article.
I like the valuable information you provide in your articles.
Thanks so much for the blog post.