নানান কারণে অকারণে আজ চিকিৎসকদের ঘোর দুর্নাম, বিশেষ করে সরকারি চিকিৎসকদের। তারা নাকি কাজে চরম ফাঁকি দেন, ভালো করে রুগী দেখেন না। তাদের নাকি কড়া শাস্তির দরকার। শাস্তি হলে অনেকেই বেশ খুশীই হন এটাই দেখছি। আমি সামান্য জনস্বাস্থ্যের কর্মী। ক্লিনিক্যাল মেডিসিন নিয়ে লিখতে ভয়ই পাই। আজ সাহস করে সেইটা নিয়ে দুলাইন লিখে ফেললাম। নির্জলা সত্যি, কোনো তথ্যের কারিকুরি নেই।
বনগাঁ জীবন রতন ধর হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৃষ্ণচন্দ্র বারাই এর নেতৃত্বে মেডিসিন বিভাগের ডাঃ মজুমদার, জয়ন্ত মল্লিক, রজত শুভ্র সাহা, শান্তনু কুন্ডু, অভিষেক মল্লিক, তমোনাশ মন্ডল; পেডিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগের ডাঃ মতিলাল সাউ, কল্যাণ ভট্টাচার্য, দীপঙ্কর বালা, অতীন সরকার, সন্দীপন সেন, সুদীপ্ত পাল, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের ডাঃ জীবন কৃষ্ণ মন্ডল, শান্তনু সরকার, মৃণাল কান্তি বৈদ্য, রঞ্জন হাজরা, সৌরভ নন্দি এরা সিস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের সহায়তায় দুটো রেকর্ড তৈরি করেছেন। রাজ্যের মহকুমা স্তরের হাসপাতালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যায় ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা করেছেন এবং গত একবছর ধরে কেস ফ্যাটালিটি রেট জিরো, শূন্য। একজন ডেঙ্গু রুগী ও মারা জান নি। শেষ মৃত্যু গতবছর এর দোসরা জানুয়ারি।
ওয়ার্ডে একজন রুগী খারাপ থাকলে তার বেড ইনচার্জ এর মনে কি বিক্রিয়া হয় একটি ক্রিটিক্যাল রুগী ভালো হয়ে ডিসচার্জ হলে তার বেড ইন চার্জ এর মনে কতটা আনন্দ হয় সেটা কোনো সাধারন মানুষ, বা প্রশাসক এর উপলব্ধির বাইরে। এই দুঃখ বেদনা আনন্দ কোনোটারই ভাগ হয় না। ক্লিনিক্যাল মেডিসিন এর সেই ডাক্তার কে একাই ভোগ করতে হয় সারাটা জীবন। কোনো ক্ষমতার রক্ত চক্ষু না পারে সেই বেদনা কমাতে, না পারে আনন্দ বাড়াতে
এদের কারুর এক পয়সা উপকার করার ক্ষমতা নেই, সাসপেন্ড সহ অপকার করার ক্ষমতা অবশ্য আমার আছে। তাই নিজের দেওয়ালেই এনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে রাখি, ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি। কবে কি হয়ে যায়, হ্য়তো আর সেই সুযোগ পাবো না। তাই সময় থাকতেই আমার এই সব সহকর্মীদের আরেকবার অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা। ভরা দুর্দিনের বাজারে, দুর্নামের বাজারে আমার মনে অন্তত উজ্জ্বল হয়ে থাকবে আপনাদের নাম।
আরেবাবাস্!!এই কবে কি হয় এইসব বলো না তো।
এখনই তো পড়লাম পুরো টা।কাজের চাপে হয়রানি মেজাজে পড়া হয়ে ওঠে না। এই কবে কী হয় এই তাড়াতেই এক একটা বই নির্বাচন করে উপহার পাঠানো আমার আর হয়ে উঠছে না।ভীষণ ভাবে বেঁচে থাকার মতো এসব তাড়া আর ঝুলিও না।
তোমার গৃহের ঠিকানা সেভ করে রেখেছি।
ভালোবাসার গ্রহনীয়তার সঙ্গে উপহার মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ উদাসীনতায় বেখেয়াল হয়ে পার্সেল সমূহের মধ্যে পার্সোনাল কে আলাদা করার মনোযোগ তোমার আছে ।এই আশায়
পাঠাবো।🩵🙏ভালো থেকো,সুস্থ থেকো।
শুভ জন্মদিন সমুদ্র। 💕💖
অনেক দিন বিন্দাস বাঁচো তো এমন।
আর তেমনই সুন্দর সুন্দর তোমার লেখনীও বাঁচুক।
💕💐🩵🥳🌿🌲🎂
বই পাঠাবো কিন্ত শিওর💖 । এই ঠিকানায়। খেয়ালে রেখো।অগুন্তি অনেক পার্সেলের মাঝে আমার টা যেন হারিয়ে না যায়।ঠিকানা কিন্ত এটাই দেবো ।
তোমার সঙ্গে আর অন্য পার্সোনাল যোগাযোগের যেহেতু কোনো মাধ্যম নেই। তাই এইখানেই জানালাম।এই ঠিকানায় পাঠাবো।