যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দেখতে পাই , অনেকেই জেগে আছেন।
কলমে শব্দের হুঙ্কার জানান দেয়,
এত টুকরো করেও হৃৎপিণ্ডগুলোকে বশ করা যায়নি,
কোথাও নরক দেখলে ধর্ম দেশ জাতির কাঁটাতার পার করে
মানুষের ভেতর থেকে মানুষ কথা বলে ওঠে,
বোঝা যায়, ঢেউয়ের বহর কিছু কম হতে পারে,
বিপরীতে বওয়া স্রোত এখনো ফুরায়নি।
হাওয়া মোরগের দল সর্বত্র আছে,
প্রয়োজন অনুযায়ী গরম হাওয়ার দিকে ঘোরে,
তাই বলে তারাই তো সব নন।
প্রতি নৃশংসতায় এমন লোকের থেকে প্রতিবাদ পাওয়া যায়,
যাদের পতাকা নেই,
দল বা প্রতীক নেই,
সেইভাবে নির্দিষ্ট ঈশ্বরও অনুপস্থিত।
তার চেয়েও বড় যা, তা হলো,
সেই ভয়ানক ঘটনাগুলো তাঁদের প্রত্যক্ষভাবে স্পর্শ করেনি।
তবু তারা ভেবেছেন দায় বর্তায়।
যারা প্রতিবাদ করেন কবিতা কাহিনী নিবন্ধে
গনগনে কথা ভরে সবদিক বিচারের পরে,
তাঁদের দেখলে বুঝি, অনেকেই জেগে আছেন ও থাকবেন ।
আলো খুঁজে নেবে ঠিক আগামী পৃথিবী,
কোনো যুদ্ধবাজ বা ধর্মান্ধ তাঁদের কিনতে পারবে না,
শিরোপা তকমারও অভিলাষী নন তাঁরা,
শাসক কোথাও তাঁরা নন কোনো দেশে, স্রেফ জনসাধারণ ।
অথচ তাঁদের ঘায়ে উল্টিয়ে যায় পোস্ট ট্রুথকারীদের অনেক হিসেবই।
যে বুদ্ধি দিয়ে তাঁরা প্রতিবাদে নিরপেক্ষ থাকেন,
সেই বিচারক্ষমতা সব যুগেই বিরল।
শুধু তাঁদেরই নামের পাশে ইতিহাস ব্র্যাকেট দিয়ে লেখে ‘বুদ্ধিজীবী’
ওখানে পায় না স্থান কোনোকালে মোসায়েবি মগজের ঢিবি।