দু’জন মানুষ। একজন আরেকজনের প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে জন্মেছিলেন। যিনি বয়সে বড় তিনি পরাধীন দেশের নাগরিক ছিলেন আজীবন,কোনো এক বিদেশি সম্রাটের অধীন দেশে আর যিনি ছোট, তিনি স্বাধীন দেশের, তবে সেখানেও সম্রাট (জার)।
একজন ধুতি চাদর আর অন্য জন কোট প্যান্ট পরেই কাটিয়েছেন। এগুলো সব অমিলের কথা। মিল খুব সামান্য। দুজনেই তাঁদের মতো করে মানুষের জন্য কিছু করার কথা ভেবেছিলেন, হাজার বাধা আসলেও নিজের পথ ছাড়েন নি, সস্তা জনপ্রিয়তার মোহ ছিল না দুজনেরই। একজন নিজে স্কুল পরিদর্শক ছিলেন আর অন্য জন নিজে উকিল কিন্তু বাবা স্কুল পরিদর্শক। ইংরেজি দুজনেরই মাতৃভাষা ছিল না। দুজনেই কষ্ট করেই বিশপ বার্কলের দর্শন পড়েছিলেন। এবং দুজনেই এই ভাববাদী দর্শনকে পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
ভাববাদ খন্ডন না করে বস্তুবাদ প্রতিষ্ঠা করা যায় না। একজন “বর্ণপরিচয়” এর লেখক আর আরেকজন “রাষ্ট্র ও বিপ্লব” নামের বইটার।
২৬শে সেপ্টেম্বর জন্মদিন গেল একজনের। আরেকজনের আসতে দেরি আছে। এই দু’জন মানুষকেই সারাটা জীবন ধরে জানা বোঝার চেষ্টা করে যাবো যদি কিছু শিখতে পারি, যদি একটু মানুষ হয়ে উঠতে পারি; বার্কলে, তাঁর দেশী বিদেশি অনুগামী, শিষ্যদের সাথে বংশ পরম্পরায় মতাদর্শগত লড়াইটা যাতে জারি রাখতে পারি।