মানুষ মারা লক ডাউনের তীব্র বিরোধিতা করি। রোগীরা টেস্টের জন্য, চিকিৎসার জন্য, ভর্তির জন্য হাসপাতালে আসতে পারছেন না, আর তাকে দেখানো হচ্ছে লক ডাউনের সাফল্য হিসাবে। কর্পোরেট ডাক্তার (যারা কেউ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন, হার্ট বা লিভারের ডাক্তার) ও শিল্প মালিকদের পরামর্শে সাধারণ ভাবে দিন গুজরান করা মানুষের গলায় পা তুলে দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা বাড়ছে ই কমার্সের, অন লাইন শপিং এর, আপ ক্যাব-এর , নেটফ্লেক্স-এর, পে টিএম ও অলিবাবার। গত এক বছরে একচেটিয়া পুঁজির লাভ বেড়েছে ৩৫%।
মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু ভোট পর্যায়ে বলেছিলেন লক ডাউন করবেন না। তাহলে হঠাৎ কি ঘটল?
দেশি বিদেশি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একবাক্যে বলেছেন লক ডাউন করে মহামারী ঠেকানো যায় না। টেস্ট-ট্রিট-ভ্যাক্সিনেট এই পদ্ধতিও শ্লথ হয়ে গেছে লক ডাউনে।
লক ডাউন একটি আদিম ও বর্বর প্রথা। সরকারের কাছে আবেদন ৩০ তারিখের পর এর সময়সীমা আর বাড়াবেন না। আর লক ডাউনের সময় , দিনে একবার/দুবার রাংতায় মোড়া ডাল ভাতের প্রতীকী সাহায্যের বদলে পেশাহীন পরিবারগুলিকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করা সরকারেরই দায়িত্ব।