নারীর কথা ভাবলে নিজের নাভির দিকে দেখো।
ওই নাড়ীতেই সবার শুরু, সত্য শিখে রেখো।
তার জীবনে হ্যাঁয়ের চেয়ে বেশি প্রভাব না’রই,
এইখানে বাঁধ, ওইটা বারণ, বলে মাথা নাড়ি,
সেসব তালা খোলার যদি চাবির দিকে দেখো,
জানবে তবে স্বর্ণালী এক ভাবীর দিকে দেখো।
জরায়ুহীন বাঁচে না ভ্রূন, সবাই সেটা মানে,
কিন্তু প্রথম নারীর কথা নেই রে কোনোখানে।
সবার বইয়ে পুরুষ প্রথম, আদম মনুই আদি
অলৌকিকের দোহাই দিয়ে জরায়ু যায় বাদই
সেই পুরুষই নাকি আবার প্রথম নারী আনে,
কোথা থেকে জন্ম দিলো, আল্লাহ হরিই জানে।
সৃষ্টি হবার শর্ত যে মূল সেই প্রজাতির জোড়ায়
সে তথ্যটা হারিয়ে গেছে ঘোড়ার ডিমের তোড়ায়।
ইন্দ্র কিংবা জিউস বলো, জেহোবা গড আল্লাহ
পুরুষ ভগবানেই ভারী সভ্যতাদের পাল্লা
দেবীদেরও স্বামী সেজে পুরুষ ছড়ি ঘোরায়,
ডগাতে জল দিয়ে কী হয়, গলদ যখন গোড়ায়?
বিষমতার এ বিষ থেকে মেয়ে বাঁচিয়ে রেখো,
স্রেফ আগামীর মানুষ বলেই কন্যাটিকে দেখো।
শিখিও ওকে, যুগান্ধদের প্রবল বাধার মুখে
যুগান্তরের স্বপ্ন বুকে যারা দাঁড়ায় রুখে,
পুরুষ নারী নির্বিশেষে তাদের সাথে থেকো,
ও পথ কঠিন, গর্ত অনেক, তবুও সেদিক বেঁকো।
হতাশ হলে মন ফেরাতে নাভির দিকে দেখো।