৯ এর পর ১৪ পেরোলো। আরজি কর ভাঙচুর হলো। শুনলাম ‘নির্যাতিতার ফাঁসি চাই’। উসকানি আর পাল্টা উসকানি হলো। পাড়ায় পাড়ায় ধর্ষকদের আড়াল করতে চাওয়া দলের ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ধর্ণামঞ্চ হলো। অনেক দামী উকিল দিয়ে অনেক দামী মানুষদের বাঁচানোর চেষ্টা হলো। পলিগ্রাফ হলো। নবান্ন অভিযান হলো। জলকামান হলো। চুড়ি নিয়ে বিতর্ক হলো।
এবার, আজ শুনলাম থ্রেট। একদম ডিরেক্ট থ্রেট। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের থ্রেট, ‘অ্যাকশন নিলে জীবন শেষ হয়ে যাবে’। বাহ্ বাহ্! এই তাহলে আপনার রাজনীতি! এই তাহলে প্রমাণ লোপাট করা, ধর্ষকদের আড়াল করা রাজনীতির মুখ! অবশ্য, এই মুখ আপনি প্রথম থেকেই দেখিয়ে আসছেন, সেই ৯ই আগস্ট থেকে! প্রথম দিন থেকে একটা দোষ স্বীকার করার বাক্য শোনা যায়নি সরকারের মুখ থেকে! একটাও ভুল ঠিক করে নেওয়া নেই!
সন্দীপ ঘোষকে কেন বাঁচাচ্ছেন? কে হয় সন্দীপ ঘোষ? সন্দীপের অপসারণ ছেড়ে দিন, সাসপেনশনও কেন হলো না?
প্রমাণ লোপাট করলেন কেন সবাই মিলে? প্রিন্সিপাল পুলিশ না ডেকে ‘লবির নেতা’ ডাকলেন কেন? পুলিশ এসে ক্রাইম সিন সিল না করে একগাদা মানুষের ভিড় ঢোকালো কেন? পুলিশ ওখানে কীভাবে ‘তথ্যপ্রমাণ’ সংগ্রহ করেছে, সবাই দেখেছে। আপনারা জানতেন না সে কথা?
ক্রাইম সিনের পাশেই রেনোভেশন শুরু হলো কেন? কার নির্দেশে? মৃতদেহ তড়িঘড়ি দাহ করা হলো কেন? কী লুকাতে চাইছিলেন আপনারা? দাহর পর FIR হলো কেন?
সন্দীপ ঘোষের অন্যান্য মাথা কারা? কোন রাবণের গুষ্টি বসে আছে স্বাস্থ্য ভবনে? সবার নাম বেরিয়ে গেছে। সবার নাম আগে লোকে গুজগুজ ফুসফুস করতো, এখন সর্বসমক্ষে বলা হয়, মিছিলে স্লোগান ওঠে। কাকে কাকে বাঁচানোর জন্য গোটা সরকার উঠে পড়ে লেগেছে? কারা এরা, এতো দরকারি কেন এরা?
সন্দীপ ঘোষ, সঞ্জয় রায় এবং এদের সঙ্গে যারা যারা এইভাবে এই ঘৃণ্য ন্যক্কারজনক অপরাধের সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেকটা অপরাধীকে শাস্তি দিন। শাস্তির ব্যবস্থা করুন। সরকারের তরফ থেকে এই অভিমুখে ‘অ্যাকশন’ নিন।
তাহলে আর আন্দোলনে থাকা ডাক্তারদের পেছনে হাত ধুয়ে পড়তে হবে না।
আমরা, ডাক্তাররা, আন্দোলন থেকে উঠে আসিনি। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছি। ন্যায়বিচারের দাবিতে।
রাজনীতির খেলা, তরজা আপনারা খেলুন। আমরা বিচার চাই।
বসে আছি। ২০ দিন…
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪