এক সময় মাস্ক পরা ছিল ‘নিউ নরমাল’ জীবনের অঙ্গ। কিন্তু এখন তা আর ‘নিউ’ নেই, পুরো ‘নরমাল’। তাই মাস্ক পরতেই হবে।
- আমি বা আমরা যখন সবার সামনে মাস্ক পরি অথবা কখনো কোনও নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বা কারও সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করতে অস্বীকার করি, তার মানে কিন্তু আমি অসামাজিক নই। এতে প্রমাণিত হয়, আমি একজন সচেতন নাগরিক। আমি আমার এই কাজের মাধ্যমে অন্যদের বোঝাতে চাই, আমি জানি এই ভাইরাস সংক্রমণ হলেও অনেক সময় কোনও উপসর্গ থাকে না। যদিও রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা যথেষ্ট থাকে। আর আমি যখন নিশ্চিত নই যে আমি কোভিড আক্রান্ত কিনা তখন অন্যদের সুরক্ষিত রাখার জন্যই নিজেকে সব কিছু থেকে সরিয়ে রাখা দরকার।
- ভাইরাসের ভয়ে কুঁকড়ে থাকা নয়। তবে অহেতুক রোগ যাতে আমার শরীরে বাসা না বাধে তাই মাস্ক পরাটা জরুরি মনে করি। কারণ এই রোগ আমার হলে তা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- সরকারি নিষেধাজ্ঞার জন্য নয়, সমাজের একজন দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি আমার মাস্ক পরা দরকার।
- সবসময় শুধু নিজের কথা ও নিজের আরামের কথা ভাবার কোনও যৌক্তিকতা নেই, আমি জানি। তাই আমি মাস্ক ব্যবহার করি। বাড়ির বাইরে তো অবশ্যই পরি।
- আমরা সবাই যদি অন্যের কথা ভাবি, আমার থেকে অন্যের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে একথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই তাহলে পৃথিবী থেকে করোনা তো দূর হবেই। আরও অনেক অসুখ থেকে আমরা বাঁচতে পারবো।
- মাস্ক পরলে আমাকে ভীতু, দুর্বল বা বোকা বা অধার্মিক নয়, বরং একজন বিবেচক হিসেবেই প্রমাণিত হবে।
- তা সত্বেও যখন মনে হয়, মাস্ক পরলে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া ছাড়াও মুখের অর্ধেক ঢেকে বাজে লাগে দেখতে, তখন মনে মনে কল্পনা করি আমার নিজের কোনও কাছের লোক যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শ্বাস নেওয়ার লড়াই চালায় তা আরও কত কঠিন। পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেওয়ারও উপায় থাকে না।
কাজেই আমি মাস্ক পরবোই। আপনিও পরুন।