কাল WBDF SSU আর রাসবিহারী শৈলূষিক মিলে প্রায় ৩২ জন গেছিলাম একসাথে।
ডাক্তার :
সুনন্দন, কৌশিক, পুণ্যব্রত, বিতান, স্মরঞ্জিত, সৌমিক, অর্জুন, চন্দ্রিমা, অমিতা, চান্দ্রেয়ী, সঞ্জয়, শিল্পী, রাজীব, সৌগত, অভিষেক।
স্বেচ্ছাসেবী:
চন্দ্রানী, গৌতম, সুদীপ্ত, চন্দন, চিত্রক, তনুশ্রী, কমলেশ্বর, জয়দীপ, জিয়া, মিলিয়া, শ্রমনা, দেবজিত, রোহিত, অর্ঘ্য, সুমিত, প্রজ্ঞা..(কেউ কি বাদ গেল)
১২ কোন ডাক্তার, ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক। দুটি টিম একটি রায়দীঘি, অন্যটি পাথরপ্রতিমার হেরম্বগোপালপুরে ।
দুটি ক্যাম্প মিলে প্রায় “১২০০” পেশেন্ট দেখা হয়েছে। ডাক্তার আর স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এই বিশাল জনসমুদ্রকে পরিচালনা করা নিয়ে ছিল প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ২টোর পরে প্রায় ৬০০ জন দেখার পর খবর পাওয়া যায় ১২ কিমি দূর জটা থেকে গাড়ি গাড়ি রুগী আসছে। সেই রুগীদেরও সবাই সময়মত দেখে শেষ করা হয়। ওষুধ পর্যাপ্ত ছিল।
স্থানীয় সংগঠকদের আতিথেয়তা ও দক্ষ ক্যাম্প পরিচালনা দেখার মতো। সব শেষ করে ৫ টা নাগাদ আমরা রওয়ানা হয়ে ৮ টা, ৯ টা নাগাদ ফেরত আসি কলকাতায়।
পাথরপ্রতিমা যাবার পথ বেহাল। গাড়ি বহুবার আটকে যায় ও ড্রাইভারদের কুশলী হাতে এগিয়ে চলা। স্থানীয় এলাকা জলমগ্ন ছিলো। জল নেমে গেছে। বাড়িঘর খুব ক্ষতিগ্রস্ত। অনেক রোগী এখনো ত্রিপলের অস্থায়ী ঘরে আছেন সেটা আমাদের জানান। ডায়রিয়া রোগী নেই বললেই চলে। বেশীর ভাগ রোগীর লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ডাক্তার দেখাতে না পেরে ক্যাম্পে আসা।
২০ মে আমফানের বিধ্বংসী আক্রমণের পর WBDF, SSU এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি যথা ডা. ভাস্কর রাও জনস্বাস্থ্য কমিটি, স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ, রাসবিহারী শৈলুষিক, অগ্নিভ ফাউন্ডেশন, রান্না বাহারের সাথে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, মেদিনীপুর , প্রত্যন্ত সুন্দরবনে এখন অবধি প্রায় ১০০ টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প সম্পন্ন হলো।
আপনাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া এই পর্বতপ্রমাণ কাজ আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিলো।
সাথে থাকবেন, যেমন ছিলেন।
জানাতে থাকবো
?
Surojit orofe kuchu bad geche