আম্পানের সময়ে মেডিকাল রিলিফের জন্য অর্থসংগ্রহ করেছিল শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সেই অর্থে আম্পান ও ইয়াসে চিকিৎসাত্রাণের পরেও মণিপুরের শরণার্থীদের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো চলছে। দুটি সংগঠন সিদ্ধান্ত নেয় বন্যা ও ধ্বস বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে মেডিকাল টীম পাঠানোর।
১৪ই অক্টোবর
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের চিকিৎসক দল কালিম্পং জেলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ২৯মাইলে। দেখা হল .৩৩ জন রোগী, দেখেন ডা রাহুল দেব বর্মন। সহযোগিতায় ছিল লালী গুরাস, জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন এবং ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি।
গেলখোলা (Geilkhola)-তে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও লালী গুরাসের দ্বিতীয় মেডিকেল ক্যাম্প ছিল দুপুরের পর।
এখানে যাবার রাস্তা এখনও বিদ্ধস্ত। পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। গাড়ি রেখে কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এখানে ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিলেন।
১৫ই অক্টোবর
তিস্তাপারের সবচেয়ে বিধ্বস্ত রংপো-তে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ – লালী গুরাস-এর মেডিক্যাল ক্যাম্প। চিকিৎসক শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের রাহুল দেব বর্মন, দেবাশিস হালদার ও স্নিগ্ধা হাজরা এবং মেডিকেল কলেজ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অনিকেত কর। ওষুধ বিতরণে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির অলকেশ মন্ডল। ৯২ জন পরিষেবা নেন।
১৬ই অক্টোবর
আজ বন্যা দুর্গতদের জন্য শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং লালী গুরাসে-এর মেডিকেল ক্যাম্প হয় দুই জায়গায় তিস্তা বাজারে ও টটগাঁও, এলেনবারি চা বাগানে।
তিস্তা বাজারে ৭৬ জন রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়, ডাক্তার হিসেবে ছিলেন দেবাশিস হালদার ও অনিকেত কর।
ওষুধ বিতরণে অলকেশ মন্ডল।
টটগাঁও, এলেনবারিতে মোট ৯৮ জন রোগীকে দেখেন রাহুল দেব বর্মন ও স্নিগ্ধা হাজরা।