কেন গেলি তোরা ইউক্রেনে?
যেতে হলে যাস ভীড় ট্রেনে।
কেন তোরা সব জেনেশুনে,
শুনিস না কথা আমাদের।
ঘরে খাই ঘি আলুসেদ্ধ
নিরামিষ-আমিষ করি যুদ্ধ
(যদিও লুকিয়ে আমিষ খাদ্য)
সোনা ঝরা দুধ দুই সের।
আমি খুবই দেশভক্ত
লড়াইটা লড়ি শক্ত
ঝরিয়েছি কত রক্ত
দেশোয়ালী ভাইদের।
লাল তারা চিনি লুব্ধক
খোলা আকাশটা দেয় শক্
চিন্তাভাবনা বন্ধক
রেজিমেন্টেড বিপ্লবীদের।
আমি তো প’রেই বারোহাতি শাড়ি
দিব্যি ঘরে-বারে কাজ করি
তুই কেন তবে সালোয়ারি
অথবা শার্ট-প্যান্টের?
জামাকাপড়ের রং আর ঝুলে
পড়াশুনো সব কবে গেছি ভুলে
বইখাতা সব তাকে রেখে তুলে
চাবুক চালাই শাসনের।
দু-হাতে আমার যত স্বার্থ
সুবিধা এবং মোটা অর্থ
চরিত্র খানা খুবই দ্ব্যর্থ
ক্ষমতা রাখার জের।
পান্তা ফুরায় কার কত নুন আনতে
ভারী বয়ে গেছে আমাদের সেটা জানতে
অন্যের বোঝা পারব না মোটে টানতে
শুনেছি যে এই ঢের।
ভাবলি -‘আকাশের চাঁদ ধরি
দূরদেশে গিয়ে পড়াশোনা করি
থাকব না পড়ে পিছনের সারি
দেশ থেকে হয়েছি বের।’
কেন দলে দলে দলে যাস ইউক্রেনে?
বেকারের ভীড় ছেড়ে পড়া জেনে
খরচের বহরটা কম শুনে
বিপদে ফেলিস আমাদের।