না, ইনি ডাক্তার নন। ডাক্তারদের ভোটে ‘ভোটাধিকার’ প্রয়োগ করতে এসেছিলেন আজ। আমাদের যথাসাধ্য প্রতিবাদ সত্ত্বেও কয়েকশো ব্যালট জমা করেই গিয়েছেন। ধরা পড়ার মুহূর্তে এমন করে আমাদের পানে চেয়েছিলেন। দেখে রাগ হওয়া উচিত, নাকি মায়া, নাকি হেসে ফেলা উচিত ছিল – এখনও শিওর নই।
ইনি গাড়ির স্পেয়ার পার্টসের ব্যবসা করেন। ফুলবাগান অঞ্চলে। নাম, দীনেশ সিং, ওরফে মুন্না। স্পেয়ার পার্টসের ব্যবসাটা পার্ট-টাইম, ফুল-টাইম জব বলতে তৃণমূল নেতা ডা সুদীপ্ত রায়ের হয়ে বিবিধপ্রকার ইয়ে কাজকম্ম…
সুদীপ্ত রায় আপাতদৃষ্টিতে ভদ্রলোক। কেতা ইত্যাদিও কম নয়। অভিজাত ক্যালকাটা ক্লাবের হোমরাচোমরাও বটেন, যেখানে, শুনেছি, অভিজাতজন বাদে সদস্যপদ পাওয়া যায় না।
তোলাবাজ গুণ্ডাদের অষ্টপ্রহর সঙ্গী করে ঘোরা আর অভিজাত ক্লাবের ফুটানি, দুটিকে মেলানো কিছু চাট্টিখানি ব্যাপার নয়।
তবে হ্যাঁ, তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপারটাই সেই পরশপাথর, যার সংস্পর্শে আসামাত্র, সবই ম্যাজিক, সবই সোনা।
ডা সুদীপ্ত রায় আর দীনেশ সিং (ওরফে মুন্না), স্রেফ মুখোশের ফারাক। বাকি পুরো এক।
সরকারপন্থী প্যানেলকে ভোট দেওয়ার অর্থ ডা সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বাধীন প্যানেলকে ভোট দেওয়া। অর্থাৎ দীনেশ সিং, ওরফে মুন্নাকে ভোট দেওয়া।
এটুকুই বলার। বাকি চয়েস আপনার।
পুনঃ- নাম-পরিচয় সহ ছবি ইত্যাদি দিলাম। কেননা, আমি নিশ্চিত, পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের নামপরিচয় কিছুতেই জানতে পারবে না, তাদের খুঁজেও পাবে না।
আর মেডিকেল কাউন্সিলের রিটার্নিং অফিসার? মানে, ডা মানস চক্রবর্তী?? তিনি তো আমরা অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের এবং মুন্নাদের একইসঙ্গে বের করে দিতে ব্যস্ত হয়ে যান!! কেননা, আমরা যারা প্রার্থী, গণ্ডগোলটা নাকি আমরাই করছিলাম। কাজেই…
১২ই অক্টোবর, ২০২২