নুনজলে বিষ কে মেশালো? কেউ জানে না , কেউ জানে না,
কাজীর বিচার ওই পেয়েছে নন্দ ঘোষের গন্ধ চেনা,
অন্ধ রোষে কি আক্রোশে দুষবে ওকেই সকল দোষে,
সব কাজীরাই হাতের কাছে এমন ক’জন নন্দ পোষে।
কদিন আগেই মেয়েটা মরে রাজ্য জুড়ে বাতাস ভারী,
রাত দখলের চেষ্টা চালায় দ্রোহের ভ্রমে কয় আনাড়ি,
নন্দ ঘোষও বোকার মতো বিচার চেয়ে মিছিল করে ,
ঈশান কোণে সিঁদুরে মেঘ, পোষ্য গরু ডরায় ঘরে,
কাজী বলেন হাম্বা শুনে, মাম্বা সাপের বিষ রে আমার,
এক ছোবলেই নন্দ ঘোষের হবেই হবে কম্মো কাবার,
প্যাখনা ছেড়ে দ্যাখ না কোথায় মরেছে কে হাসপাতালে,
রোজই ঘটে, কিন্তু সেটায় ফাঁসবে এবার নন্দ জালে,
রটিয়ে দে না আয়ুর দেনা ফুরানো ওর ফাঁকির গলদ
জাস্টিস না কী সব চেয়ে কাজ করেনি কলুর বলদ।
এসব খবর খুব পুরনো, সাল্টে গেছে সেটিং করে,
কাজীর আসন উচ্চে আরো, ভোট-মোতাবেক রেটিং ধরে,
নন্দঘোষের ঘানির পেষাই চলছে পুরো আগের মতো
একটু সবে জুড়িয়ে এলো সেই মেয়ে খুনের বিষের ক্ষত,
হঠাৎ একি, কাজীর দিকে আবার ওঠে আরোপ-আঙুল
নুনজলে কেউ বিষ দিয়েছে, নতুন মা দেয় জীবন মাসুল..
কে দিয়েছে যাচ্ছে বোঝা, বরাত নিলো যে কোম্পানি
কিন্তু সঠিক পদাম্বুজে ভেট দিয়েছে সে ‘চায়পানি’
কাজেই তাকে ধরলে পরেই সে কান টেনে আসবে মাথা,
সেই মাথাটি আয়না দেখে রোজই কাজীর নিজের ঘরে
আগলাতে গড় তাই তো কাজী দিলেন তুরন্ত বিচার করে..
‘নন্দঘোষের দোষ রে ওটা, কাজ করেছে ওই ব্যাটা সব,
নেই সিনিয়র, কে বলেছে তাও করাতে শিশুপ্রসব?’
মন্দলোকে এই বিচারে তাও সেটিংয়ের গন্ধ শোঁকে
বলছে নাহয় নন্দ দোষী, কিন্তু নুনে বিষ দিলো কে,
নন্দ ঘোষের কোম্পানি না, সে লাইনটা তো অন্য কারো,
তদন্ত কি নন্দতে শেষ, নাকি স্যালাইন পরখ তারও?
ফালতু এসব কাজিয়াতে কাজী করেন থোড়াই কেয়ার
জনগণের আসামী চাই, নন্দ ছাড়া হাজির কে আর
পুতুল-সুতো যাদের হাতে, তাদের গায়ে দাগ লাগে না,
নন্দঘোষের মন্দ কপাল, তদন্ত যায় আর আগে না,
পৌঁছবিহীন তুচ্ছ মানুষ, বদল কিছু তার ভোটে না,
তার জাস্টিস দাবীর করার কোথাও কোনো লোক জোটে না..
নুনজলে বিষ কে মেশালো? কেউ জানে না, কেউ জানে না..