আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে আচমকা পুলিশের অনুপ্রবেশের প্রেক্ষিত জেনে সিদ্ধান্ত নিলাম, ভবিষ্যতে আর কোথাও কোনো ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করব না, একদম পরিচিত সংস্থা বা প্রফেশনাল বডির উদ্যোগে না হলে কোনো পাব্লিক অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম বা ট্রেনিং সেশনও না। কে কোথায় কোন ব্যানারে আমার সম্বন্ধে কী লিখে দেবে, তার দায় নেবে কে? বিশেষত ক্ষমতাসীন দলের অনুগত কোনো ক্লাব হয়ত ইচ্ছে করে কোথাও কোনো পোস্টারে আমাকে কার্ডিওথোরাসিক সার্জেন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বা মহাকাশচারী লিখে দিল আর সেই অপরাধে লালবাজারের সব পুলিশ এসে আমার শয্যাশায়ী মাকে ধরে টানাটানি করবে! এত চাপ নেওয়া যাবে না। ভালো হল, কিছু পরিশ্রম কমবে।
আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা মেডিকেল কাউন্সিল এবং পুলিশের হাতে একগুচ্ছ প্রকৃত অর্থে ভুয়ো চিকিৎসকের নামের তালিকা তুলে দিতে পারব। না, এমডি / এমএস ডিগ্রি সম্পূর্ণ হবার আগে ডিগ্রিটা ভুলক্রমে কোনো ফ্রি ক্যাম্পের পোস্টারে লেখা হয়ে যাবার ঘটনার মতো ফালতু কেস জানাব না। প্রকৃত অর্থে ভুয়ো ডাক্তার, যারা কোনোরকম ডিগ্রি ছাড়া নিজেদের নামের আগে ডক্টর লিখে রীতিমতো পয়সা নিয়ে প্র্যাক্টিস করছে, সম্পূর্ণ নকল ডিগ্রি লিখছে, অন্যের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করছে নিজেদের প্যাডে… সেরকম সম্পূর্ণ অসৎ, জালি, দুনম্বরি ভুয়ো চিকিৎসকের তালিকা দেওয়া যাবে। তারপর যদি এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে অন্তত ত্রিশ জন করে পুলিশ না যায়, যদি ভোরবেলায় হানা না দেয়, তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী সেই inaction-এর ব্যাখ্যা দিতে নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। (মুখ্যমন্ত্রীকে বিব্রত করতে চাই না, তাঁকে অনেক দপ্তর দেখতে হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিলেই আমরা সন্তুষ্ট থাকব।)
বাস্তবে এরকম কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেও জানানো হয়েছে কিন্তু এমন পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়নি। এবার সেটা দেখতে চাই।