অবাক জলপানের একটা উদাহরণ দিই। একটা সমুদ্র শুকিয়ে ফেলতে চাই, তাই আমরা সবাই সমুদ্রের জল খেতে শুরু করলাম – কি দাঁড়াবে?
কোন লাভ আছে? গোদা বাংলায় নেই! শুধু একটা ছোট্ট লাভ আছে। সমুদ্রের জলের গুণাগুণ সম্পর্কে একটু ধারণা তৈরি করা যেতে পারে বড়জোর!!
তেমনই একখানা কাজ করতে চলেছি এই লেখায়। খুব সামান্য জ্ঞান নিয়ে, মহাসমুদ্রের মত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার একটা বড় দিক নিয়ে সামান্য কিছু কথা বলতে এই লেখা ।
নানা রকম সমস্যায় কোনঠাসা হয়ে পড়লেও , কিছু কথা যেমন বলতেই হয়, না বললেই বরং সমস্যাটা আরো জটিল হয়ে ওঠে, তেমনই কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো।
ওই যে, সমুদ্রের জল নোনতা , ফসফরাস আছে কিনা যদি না ও বলতে পারি, সোডিয়াম ক্লোরাইড মানে নুন যে আছেই, সেটুকুই বলার অপপ্রচেষ্টা!
বিষয়: মানুষ, রোগী,রোগ দেখার ব্যবস্থায় আধুনিক চিকিৎসক ।
প্রাথমিক কথাগুলো বলে রাখি: চিকিৎসা বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য সব শাখার মতই। কিভাবে? আসুন, দেখা যাক।
প্রচলিত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে নজর দিই। আশা করি, একটা বড় অংশের সাধারণ মানুষ এই বেসিক জায়গাটা জানার চেষ্টা করবেন। তাহলে, না জানার সমস্যাগুলো বুঝতে সুবিধা হবে অনেকটাই। সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করি। যদিও খুব সংক্ষিপ্ত বলাটাও যথেষ্ট দীর্ঘ হবে!
প্রথম বর্ষে:
বিষয়: অ্যানাটমি– মানে মানুষের ব্যবচ্ছেদ করা শরীর ও তার খুঁটিনাটি নর্মাল ও অ্যাবনর্মাল।
বিষয়: ফিজিওলজি– সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেগুলো অ্যানাটমিতে পড়ানো হয়, তাঁরা কিভাবে পরস্পর মিলে মিশে নানা রকম দেয়া নেয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুষম খাদ্যের মত যার যার কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করে, তার খুঁটিনাটি।
ভাবুন, আমরা নির্ভর করছি নর্মাল শরীরের জ্ঞানের উপর। যা জানার জন্য আপনাকে কম করে হলেও লাগতে পারে একটা স্টেথোস্কোপ, ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্র, শরীরের ভেতরে দেখার যন্ত্র যেমন এক্স-রে, ইউএসজি, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই! এগুলো কিন্ত ডায়াগনসিসেরই অংশ! ডাক্তারের কিন্ত দিব্য চোখ নেই!!
বিষয়: বায়োকেমিস্ট্রি– মানে শরীরের প্রতিটি অণুপরমাণু কিভাবে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যানাটমিতে এবং ফিজিওলজিতে পড়া সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজকর্মকে সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের অদল বদল ঘটলে কি রাসায়নিক পরিবর্তন হয়, তার শারীরিক প্রভাব কি, প্রভাব পড়লে কোন কোন রাসায়নিক পদার্থকে শরীরের কোন জায়গা থেকে (ধরা যাক, রক্তের একটা এনজাইম- তাকে রক্তেই পেতে পারি। প্রস্রাবে পেতে পারি। অন্য কোথাও পেতে পারি। এবার তাকে না আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন, না তার মাপ নিতে পারবেন! পরবর্তী চিকিৎসা নির্ভর করবে কিন্ত এর উপর!) খুঁজে এনে তাঁর পরিমাণ, জমার কারণ ইত্যাদির হদিস পাবো, তাঁর খুঁটিনাটি।
অতএব, এইসব জানার জন্য আপনার দরকার নির্দিষ্ট মেশিন! না, হাতের শিরা ধরে দেখার হাজার চেষ্টা করেও, চোখ বন্ধ করে অংবংচং মন্ত্র বলে কিংবা কোন কিছু না বলে আপনি এসব রাসায়নিক পদার্থের হদিস পাবেন না। পৃথিবীর কোথাও কেউ পায়নি এখনো, পাবে বলে ও আশা নেই। আমরাও পাইনি অতএব !
দ্বিতীয় বর্ষ:
বিষয়: প্যাথলজি– মানে এতদিনের দেখা ও শেখা নর্মাল শরীরের (চোখে দেখা অ্যানাটমির, কার্যকারণ বলা ফিজিওলজির, রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বায়োকেমিস্ট্রির) কোথায় কি ধরনের অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়, হবার কারণ এবং ক্রম বিবর্তন, পরিণতি, তাদের খালি চোখে দৃশ্যমান বা মাইক্রো-স্কোপিক অবস্থা অথবা অদৃশ্য শারীরিক প্রভাব এইসব খুঁটিনাটি।
এবার ভাবুন, যতটা চোখে দেখা যায় , তার থেকে আপনি সব অসুখ বিসুখ ধরতে পারবেন না!
আগেকার দিনে চোখে দেখে এই ওই করা হতো, এসব যাঁরা ভাবেন, তাদের দোষ নেই। কিন্ত বিশ্বাস করুন, আমরা ও তখন ওইটুকু জ্ঞান নিয়েই ছিলাম!
সে জ্ঞান ভুল প্রমাণ করেছি আমরা, সে জ্ঞান ভুল প্রমাণ করেছে বিজ্ঞান।
আপনি সেই বিজ্ঞান মানবেন কি না মানবেন আপনার ব্যাপার!
বিষয়: ফার্মাকোলজি– এই এখানে এসে আমাদের শিখতে হয়, শরীরের নর্মাল সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোথায় কোন কোন ড্রাগ মলিকিউল, যাঁরা সংখ্যায় কয়েকশো বা হাজার (ড্রাগ মানে কিন্ত দোকান থেকে নেওয়া মেডিসিন নয়!) কিভাবে কাজ করে, কেন কাজ করে, কাজ করলে কতটা করে, কতটা করলে কতটা প্রভাব পড়ে শরীরে, সেই প্রভাব মানব শরীরের জন্য উপকারী না অপকারী, তাদের কত পরিমাণ কিভাবে কখন কেন কোন অবস্থায় দেওয়া যেতে পারে, সেই মলিকিউল গুলো থেকে কিভাবে রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ায় মেডিসিন তৈরি হয়, তাদের মানব শরীরে ব্যবহারের উচিত অনুচিত দিক- এইসব একগাদা বিষয়।
এবার বলুন, প্রতিটি অণু পরমাণু যেখানে এক একটি অসুখ বিসুখের সময় এক এক রকম ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাকে কন্ট্রোল করার জন্য যখন প্রতিটি ব্যবহার্য ড্রাগের সামান্য অণু পরমাণু অব্দি কিভাবে কাজ করবে জানতে হয়, তখন সঠিকভাবে না জেনে আপনাকে একটি ওষুধ সেবন করতে বলা যায় কি?? উচিত কি?
কতটা পারা যায়, সে প্রশ্ন ভিন্ন। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
যদি বলেন- ও তো ওষুধের দোকানের কর্মচারী ও ওষুধ দেয়, পাড়ার মোড়ে ডিগ্রীধারী ডিগ্রী ছাড়া রাম শ্যাম যদু মধু যে কেউ ওষুধ দিতে পারে, আবার চিকিৎসক ও দেয়, এতো কিছুর দরকার কি?
এই ক্ষেত্রে আমি বা যে কোন ডাক্তার বা বিজ্ঞানমনস্ক মানুষই অসহায়। এর উত্তর দিতে না পারার অসহায়তা নতমস্তকে মেনে নিলাম।
বিষয়: মাইক্রোবায়োলজি– এই বিষয়টি অনেকেই সহজে বুঝতে পারবেন হয়তো। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রায়্ন, ছত্রাক, শৈবা্ল, প্রোটোজয়া, কৃমি, ইত্যাদি দৃশ্যমান এবং বেশিরভাগ অদৃশ্য, যাঁরা মিশে আছে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে- পুরো পঞ্চভূতে, যাঁরা সংখ্যায় হাজার হাজার বা লাখ লাখ – তাঁদের জীবন যাপনের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে তাঁরা কিভাবে কখন কোথায় কি মলিকিউলার লেভেলে কাজ করে আমাদের অসুখ বিসুখ বা সুস্থতার সাথে সম্পর্কিত, তাঁদের কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়- এইসব কথা আর কি!!
ব্যাপারটা কতটা জটিল হতে পারে, বোঝাতে গেলে একটা সামান্য মাইক্রোবায়োলজির কোর্স করা যেতে পারে। ওই বছর কয়েকের মামলা!!
ভাবুন তো, ডাক্তার আপনার শরীরের থেকে এইসব তথ্য কিভাবে পেতে পারেন?
অবশ্যই নির্ভর করবেন মেশিন তথা বিজ্ঞানের উপর!! না হলে এককথায় অসম্ভব সেটা!!
যাঁরা এমনি খালি চোখে সব দেখে ফেলেন বা না দেখেই না জেনেই আপনাকে ওষুধ দিতে পারেন, তিনি আর যাই হোক, ডাক্তার নন! তিনি ভগবান!! কোথায় যাবেন, আপনি ঠিক করুন।
বিষয়: ফরেনসিক এণ্ড স্টেট মেডিসিন: এই বিষয়ে আপনাদের জন্য বেশি কিছু বলতে যাওয়া ভুল। এটা হলো একটা খিচুড়ি! মেডিকেল নলেজ এবং আইন কানুন মিলিয়ে মিশিয়ে বানানো খিচুড়ি।
অসুখ বিসুখ থেকে শুরু করে হাতের ছাপ, জলে ডোবা, বিষাক্ত সাপ , বিষপান, গাছ-গাছালির রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন রকম শারীরিক মানসিক যৌনতা ও তার বিকৃতি, খুনোখুনি মারামারি কাটাকাটি করলে কি কি হয়, হতে পারে, তাতে ফৌজদারি এবং সিভিল কেসের আইন কানুন, ডাক্তারদের ওথ নেয়া, গাফিলতি টাইট দেয়ার ব্যবস্থা, ইত্যাদি নানান রকম বিষয় নিয়ে বানানো এ খিচুড়ির প্রতিটি পদে পদে আপনাকে এখন সাহায্য নিতে হবে কোন না কোন নির্ণায়ক ব্যবস্থার। মানে গোদা বাংলায় মেশিনের!!
আসুন তৃতীয় বর্ষে :
বিষয় : নাক কান গলা: এই বিষয়ে এসে আমাদের শিখতে হয় নাক কান গলার অসুখ বিসুখ। তাঁদের চিকিৎসার জন্য এতদিনের অর্জিত নলেজের প্রয়োগ করে অসুখ বিসুখ সারিয়ে তোলা। ভাবুন তো, আপনি নিজে একজন মানুষ, আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখুন তো নাক কান গলার কতটা আপনি দেখতে পান! আপনি যা দেখতে পান, আমরাও তাই। হতে পারে সেটুকুতে যে অসুখ বিসুখ দেখা যায়, আপনার সমস্যা মোটেই তা নয়! তাই তাতে অসুখ নির্ণয় হয় না । চিকিৎসাও না! অতএব, যেতে হবে মেশিনের কাছে।
বিষয়: চোখ – চোখকে আমরা বলি মিনি ব্রেন। এটি পুরোপুরি ব্রেনের থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসা একটা যন্ত্র! খালি চোখে যে সাদা কালো অংশ আপনি আমি দেখি, ওটা চোখের খুব সামান্য অংশ! এতটাই সামান্য যে, বাইরে থেকে দেখে চোখের জল পড়া আর লাল হয়ে যাওয়া ছাড়া বেশি কিছু বললে ডাক্তারের চোখের জল পড়তে সময় লাগবে না!! ভেতরে দেখতে চাওয়ার জন্য দরকারি প্রত্যেকটি জিনিস ডায়াগনস্টিক সায়েন্সের অংশ!! মানে সোজা বাংলায় ফের মেশিন!!
বিষয় : পিএসএম বা প্রিভেনটিভ এণ্ড স্যোশ্যাল মেডিসিন: এটি পুরোপুরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার বিষয়। ধরুন, আপনার বাড়ির টয়লেট জল থেকে শুরু করে ঘরের সাইজ, মশারির ছিদ্রের সাইজ এককথায় আপনাদের সাথে পঞ্চভূতের সম্পর্ক, আপনার বাড়ির গর্ভবতী মা থেকে শুরু করে সবাইকে স্বাস্থ্য পরিষেবা কি ভাবে কোথায় কখন কতটা দেয়া উচিত এইসব, অসুখ হলে কি করবেন না করবেন কেন করবেন করলে কি ফল পাবেনব, নানা রকমের সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইত্যাদি অফুরন্ত বিষয়ের পাঠ হলো এই বিষয়! মাথা খারাপ হয়ে গিয়ে ধপাস করে বসে পড়লেন?
দাঁড়ান, আপনার এই সব কিছু বাস্তবায়ন করতে, একটি সুষ্ঠু প্রকল্প গড়ে তুলতে, রোগ প্রতিরোধ ও নির্ণয় করা জরুরি! মানে গোটা সমাজের অসুখ জানতে হবে!! ধনী গরীব উঁচু নিচু কেউ বাদ যাবে না! ফাইনাল ইয়ার।
বিষয় : সার্জারি, মেডিসিন, পেডিয়াট্রিকস, গাইনিকোলজি এণ্ড অবসটেট্রিকস! আশা করি সবাই জানেন কোন বিষয়ে কি কি করা হয়। বিশদে গেলে দিন কাবার হয়ে যাবে। এরপর আছে এইসব বিষয়ের স্পেশালিস্ট বা সুপার স্পেশালিস্ট হবার জায়গা।
এতদিনের সঞ্চিত নলেজ এবার আমরা অ্যাপ্লাই করতে শুরু করবো। তার বিজ্ঞানসম্মত নিয়ম কি?
প্রথমে রোগী হিসেবে আপনি আসলেন!
প্রথম আপনি আপনার শারিরীক সমস্যা বলবেন। এটা সিম্পটম। আমি ডাক্তার শুনবো। সব নোট করবো।
তারপর আপনাকে পরীক্ষা করতে শুরু করবো। এটা শারীরিক সমস্যার পরীক্ষা। মেশিন নেই এখানে। ক্লিনিক্যাল নলেজ অ্যাপ্লাই করবো। সমস্যাটা নর্মাল না অ্যাবনর্মাল, হলে তাতে শরীরের কোথায় কি কি পাওয়া যেতে পারে সেটা দেখবো। একদম গায়ে হাত দিয়ে। দরকারে আপনাকে পুরোপুরি বিবস্ত্র করে!! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! দরকারে সব কিছু খুলে!
সেক্ষেত্রে আমার সায়েন্টিফিক প্রোটোকল আমি মানবো। আপনি সহযোগিতা করে যাবেন। না চাইলে, বলবেন, আমি এটা করতে দেব না!! খোলাখুলি। বিজ্ঞানের কাছে আপনার আমার সঙ্কোচের কোন জায়গা নেই!
ডাক্তার যা ভালো মনে করবে, সেটাই করবে!
আমরা যেটা খুঁজে বের করি : সেটা হলো সাইন। ফের সব নোট করবো!
তারপর মাথা খাটাবো! ধরা যাক, আমি এই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা দুটো অসুখ ভাবলাম। বা আরো অনেক রকম অসুখ। এটাকে বলি : প্রভিশনাল ডায়াগনসিস।
এরপর আসবে ইনভেস্টিগেশন মানে পরীক্ষা।
তারপর ফাইনাল ডায়াগনসিস। তারপর আপনাকে ওষুধ দেওয়া হবে।
এবার, একটা অসুখ ভাবলে, যদি সেটাতে আর কিছু ভাবার দরকার বোধ না করি, আমি সেটার জন্যও দরকারি কিছু পরীক্ষা করাতে বলবো বা বলতে পারি। নাও বলতে পারি। ওই অসুখের ওষুধ দেওয়ার আগে যা যা জানতে হবে তার জন্য।
তারপর ওই ওষুধে কাজ হলো কি না হলো, হলে কতটা হলো, না হলে কেন হলো না, পুরো প্রথম বর্ষের থেকে শুরু করে ফাইনাল ইয়ার অব্দি পাওয়া সমস্ত নলেজ অ্যাপ্লাই করবো। না হলে পরীক্ষা করাবো। মেশিনের কাছে যাবো বা আপনাকে পাঠাবো।
যদি ভিন্ন অসুখ হয়, সেটা নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করবো ও করাতে বলবো। ফের পুরো বিষয়টি রিপিট করবো। তারপর চিকিৎসা করবো। চিকিৎসার ফলাফল দেখবো।
তার কোন রকম উপকারিতা বা অপকারিতা সর্ম্পকে জানতে চাইলে পরীক্ষা করাবো। প্রতিটি জায়গায় দরকারি পরীক্ষা নিজে আপনার শরীর দেখে করবো না হলে মেশিনের সাহায্যে করবো।
…………………….
এবার বলুন তো, ডাক্তার এই জায়গায় কি কি করতে পারেন?
প্রতিটি পদক্ষেপে হয় আমি রোগ নির্ণয় ব্যবস্থার তথা বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে পারি , না হলে এড়িয়ে যেতে পারি!
একটাতে চিকিৎসা করার চেষ্টা হবে। অন্যটাতে করা আর না করা একই ব্যাপার হবে, হতে পারে!! আমার কাছে সব মেশিন নেই, থাকেও না। বলা ভালো, থাকা সম্ভব নয়।
কারণ, বিবিধ। পরিকাঠামো থেকে শুরু করে মেশিনের দাম, অন্যান্য দরকারি লোকজন – কোনটাই ডাক্তারের কাছে থাকে না বেশিরভাগ সময়!!
সরকারি হাসপাতালেও সব থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে।
তার উপর আপনার পছন্দ আছে। যেখানে পাঠানো হলো সেখানকার লিমিটেশন থাকতে পারে। সব জায়গায় সবকিছু একই রকম নাও হতে পারে। ডাক্তার সেটার রেজাল্টের উপর নির্ভর করতে পারেন, নাও পারেন ।
দরকারে ফের আপনার জন্যই অন্য জায়গায় পাঠাতে পারেন।
…………………………………..
গোলকধাঁধার এই অব্দি এসে থামবো আজ।
আশা করি, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগ এবং রোগ নির্ণয় ও তাতে ডাক্তার কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, তা বোঝানোর সামান্য চেষ্টা করতে পারলাম।
মানে ওই – সমুদ্রের জলে যে নুন থাকে, সেটা আশা করি বোঝা গেল।