কোন পুজো পেলো কখানা কোভিড জানা যাবে দশমীতে,
উৎসব ডাকে আয় রে জনতা, জ্বর দিই সেলে ফ্রীতে।
ভুল পরা মাস্ক ভ্যাক্সিন ভেবে কোভিডকে করে তুচ্ছ
এসো বাংলায় দুগগার নামে কার্ভ করে ফেলি উচ্চ।
কদিন আগেই ছিলো যে জাহির বেতন কমার চিৎকার
কোথা থেকে আজ পকেট গরম জবাবটা কেউ দিক তার।
আর যদি কেউ পরম ভাগ্যে পাচ্ছে আগের মাইনে
মেটাক না সখ ঘরের ভেতরে সব কিনে অনলাইনে।
ভিড়ের মাঝারে জাগবেই জানি তীক্ষ্ণ বিরোধী তরজা,
শোনা যাবে ভারী দরকার খোলা অর্থনীতির দরজা।
চৈনিক জ্বর উড়িয়ে যারা শপিং চালান দৈনিক
নিজের শহর সীমান্ত ভেবে সাজেন দেশের সৈনিক।
সমস্যা হলো সেনাদের থাকে বিষম ঘেন্না যুদ্ধে,
অস্ত্র ধরেন রাজার হুকুমে বাকি সব পথ রুদ্ধে।
মাইন থাকলে তাঁরাও সেখানে সাবধানে যান আস্তে
কোভিড ফাটাতে অধরা রোগীকে ভিড়ে শুধু হবে কাশতে।
রাজনীতিবিদ ভোট চাইবেন, ক্রেতা চাইবেন দোকানি
কোভিড ধরলে জীবনে কিন্তু একার নাকানি চোবানি।
পুজো পুজো করে মরিয়া যে বলো বাঙালি সেন্টি এটা রে,
হয়তো দেখোনি কখনো কাউকে নিভতে ভেন্টিলেটারে।
শুনবে না কেউ, আর্য যতই বিপদঘন্টি পেটা রে।