এটাও তো উৎসব, নতুন বছরকে স্বাগত জানানো,
এটাও তো উৎসব, গানবাজনার নামে দামামা বাজানো,
এটাও তো উৎসব, মাঝরাতে শহরের দুকান ফাটানো,
এটাও তো উৎসব , ভোলা বিচারের পথ আজও আটকানো..
তোমরা দেখোনি বোধহয়,
শহরের কুয়াশায় আবছায়া হয়ে এক মেয়ে হেঁটে যায়,
যার পরনে অ্যাপ্রন, দুকানে স্টেথোস্কোপ,
শহরের নানা জায়গায় সে চেপে ধরে যন্ত্রটা প্রাণপণে,
যদি প্রাণময় ধুকপুক কোথাও শুনতে পায়..
সে গিয়েছে পার্কস্ট্রিটে এই ক্রীসমাসে,
একটু দূরেই তো ডরিনা ক্রসিং..
অত ভিড়, অত লোকজন,
হার্টশেপে হাজার বেলুন, তবু লাব ডুপ যে মিসিং,
থতমত খেয়ে মেয়ে সেটা বুঝেছে।
নাচাগানা হওয়া প্রতি স্টেজে সে খুঁজেছে,
একজন, অন্তত একজন দর্শকও জাস্টিস চাই লেখা ব্যাজ পরা কিনা,
সে স্টেথো ধরেছে চেপে মদের দোকানে হওয়া উপচানো ভিড়ে,
তারপর..
তারপর মাথা নেড়ে সে গিয়েছে ফিরে,
বুঝেছে শহর চলে হার্টবিট বিনা।
আজ বছরশেষের দিনে যেখানেই যাবে,
জটলায় কোনো এক চেয়ারে বসে সে দেখছে তোমাকে,
পেটে ক’পেগ ঢেলে নাচবার ফাঁকে
যদি একবার দেখো ভালো করে..
ওই তো রয়েছে বসে অ্যাপ্রন পরে ,
কানে দেওয়া স্টেথোটাকে একহাতে ধরে
শুনছে সে প্রাণপণে
লাব ডুব লাব ডুব..
কোথাও কি শোনা যায়, শহরের কোনো এক কোণে?
আজ উৎসব নয়, বাংলার মেয়ে আজও পায়নি বিচার,
আজ উৎসব নয়, বাতাসে কান্না আজও তার বাপ মা’র
আজ উৎসব নয়, এ আলো আব্রু না সেই লজ্জার,
আজ উৎসব নয়, এখনো অনেক মাইল আছে হাঁটবার।
আজ উৎসব নয়,
যুদ্ধ ও নাশকতা অবিকল আছে চালু সেই আগেকার,
বদল তো হলো স্রেফ সাল-সংখ্যার।