ডিপি কালো করে দিলো যে, সে অবশ্যই প্রতিবাদী।
উল্টোটা কিন্তু নয়,
যে যে ডি পি’তে নিজের ছবি রেখেছে,
তাদের সবাইকেই অপরাধের পক্ষে অথবা নির্বাক নিরপেক্ষ ভেবো না,
হতে পারে,
এই হোমে সমিধ জোগাতে তারা অক্লান্ত শ্রমিক,
শুধু প্রতিবাদে ডি পি কালো ভাবেনি সঠিক।
মিছিলে যে আসেনি,
অমনি তাকে সুবিধাভোগী গৃহকোণে খুশি থাকা অমেরুদণ্ডী ভেবো না।
সব ক্রোধ রাস্তায় নামে বুকের ঘেন্না রাগ শ্লোগান-ট্রিগারে ছুঁড়ে দিতে,
তা কিন্তু নয়।
নিভৃত আগুন জ্বেলে পোড়াতেও পারে কেউ একাকী ঘৃণাকে,
ভিড়ে যার যাওয়া মানা নানান কারণে,
এটা ভাবা ভুল হবে, মিছিলের সর্বোচ্চ কণ্ঠের থেকে
কম লাভা জমে আছে সেই সব মনে।
রাজনীতি থেকে যে এসেছে, ‘অরাজনৈতিক’ জনসভা
তাকে দেখবেই ভীষণ সন্দেহ মেখে গণ-চোখে,
আন্দোলনের ফাঁকে প্রতীকের বেনোজল ঢুকে
লক্ষ্যের থেকে দূরে ভাসিয়ে নিয়েছে,
ইতিহাসে কম নেই সে উদাহরণ।
তাই বলে, তার প্রতিবাদ খুঁতো , সেটা ভেবো না,
চিরচেনা ঘেরাটোপ ছেড়ে সে কিন্তু মিলিয়েছে পা বাকিদের হাতে হাত রেখে,
রাজনীতি মত তার যাই হয়ে থাক ,
আবেগ আলাদা নয় বাকিদের থেকে।
যে ঘৃণ্য অপরাধ আমাদের শিরদাঁড়া জাগিয়ে তুলেছে,
যে প্রতিবাদ জ্বালিয়েছে
ফুরিয়ে গিয়েছে বলে ভুল করা অজস্র নির্জীব মশালের শিখা,
তাতে সবাই স্বাগত।
যে যেভাবে প্রতিবাদ করছে করুক,
আমাদের লক্ষ্য তো একটাই,
আমরা লড়বো ততদিন,
এ বীভৎস জিগ’স পাজল-এ
যতদিন খুঁজে পাওয়া না যায় অকাট্য প্রমাণের অধরা আড়াল করা সেই লাস্ট পিস,
দরকার নেই জানা কে সেখানে চিৎকারে আকাশ ফাটালো,
আর কার দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষোভে হিসহিসে ফিস।
তোমার তো জানা নেই,
ঊর্দি খোলার পরে পুলিশেরও কারা কারা আয়নায় বলে ওঠে কান্না লুকিয়ে,
‘ আই অলসো ওয়ান্ট জাস্টিস।’