আর্যতীর্থের কবিতা
মরলে যদি শহীদ না হই, যোদ্ধা বোলো না।
সৈনিকে তো গানস্যালুটের শ্রদ্ধা ভোলো না।
মৃত্যু চেনা শত্রু আমার
মারীর অনেক আগে থেকে,
নতুন শুধু রোজের খবর
আজকে ফটোর ভাগে কে কে
দুঃখ এটাই শহীদ-খাতায় সে নাম তোলো না,
স্টেথোস্কোপের ভাগ্যে স্যালুট আজও হলো না।
আটশো খানা স্টেথোর মালিক হারিয়ে গেছে জ্বরে
আটশো ফটোয় ফুলের মালা মলিন হলো ঘরে।
যাদের হয়ে লড়তে গিয়ে
ছোবল মারে স্পাইক প্রোটিন,
তাদের যদি না যায় আসে
যুদ্ধ করা দারুণ কঠিন,
তবুও যারা আছে বেঁচে রোজ পি পি ই পরে,
যমের সাথে লড়ার শপথ, সে অভ্যাসেই লড়ে।
রাষ্ট্র ভাবেন এই খেয়েছে, এত্ত শহীদ হলে
না জানি যায় কত কোটি আঙুল দিয়ে গলে।
ক্ষতির জন্য হতেই পারে
পরিজনকে সহায় দিতে,
জমাট বাঁধে যোদ্ধাগুলো
হঠাৎ যদি সেই দাবীতে
সামাল দেওয়া কঠিন হবে তখন হট্টগোলে।
যোদ্ধা নাহয় এমনি বলি, শহীদও তাই বলে?
পয়লা জুলাই ডাক্তারি দিন নেহাত ছলনা,
মার খেয়ে যাই আমরা যখন, রাগে জ্বলো না।
জ্বরের সাথে লড়াইটা স্রেফ
স্বভাববশেই জারি রাখি
পিপিই তে ঘাম শুকিয়ে
প্রচার থেকে দূরে থাকি
মারলে মারী আমার শোকে কেউ তো গলো না,
আমার হয়ে বলবে কথা একটি দলও না।
যোদ্ধা বলে মানলে কেন শহীদ বলো না?