Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু

Oplus_16908288
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • June 29, 2025
  • 8:47 am
  • One Comment

খুপরিজীবি ডাক্তারেরও মন খারাপ হয়। তবে সেই মন খারাপ নিয়ে বিলাসিতা করার সময় মেলেনা। মোবাইলের এলার্ম যখন বেজে ওঠে, শীতের দিনে তখনো আলো ফোটেনা। দাঁত ব্রাশ করতে করতে দু-চারটে ফোন করি। পাড়ার বন্ধুদের কাছে ফোন, উঠে পর, সাড়ে পাঁচটা বাজে। আজ মেডিকেল ক্যাম্প আছে।

কেউ ফোন তোলে, কেউ আবার লেপের মায়া কাটাতে পারে না। কনকনে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুতে ধুতে মন খারাপটা আরও তীব্র হয়ে ফিরে আসে। এ এক আশ্চর্য মন খারাপ। ভিতরটা পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেয়।

ক্লাবের সামনে রোগীদের লাইন দেখে ভেতরের কাঁপুনিটা কমে। এরপর আমার আর নিজস্ব ভালোলাগা, খারাপ লাগা নেই। আমার আর নিজস্ব বলে কিছু নেই। এই ভালো- ভোরের ঝকঝকে আলোয় আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে যায়, সাথে আমার মন খারাপও।

আমি রোগী দেখি, ওষুধ কাটি। পায়ের কাছে ওষুধের খালি বাক্স জমা হয়। ক্যালসিয়াম, ফ্যামোটিডিন, এম্লোডিপিন, টেলমিসারটেন, মেটফরমিন, গ্লিমেপেরাইডের হিসাব বুঝে নিয়ে, সেগুলো ব্যাগে ভরে কেউ কাজের বাড়ি ছোটেন, কেউ ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আবার দু-সপ্তাহ বাদে ওঁরা লাইনে দাঁড়াবেন। আপাতত নিশ্চিন্ত- তাড়াতাড়ি কাজ মিটে গেছে। শুধু আমার নয়, আমার রোগীদেরও সপ্তাহে একটা দিনও ছুটি নেই, মন খারাপ নিয়ে বিলাসিতা করার সময় নেই।

প্রণবদা রোগীদের নাম লেখে। সঞ্জীবদা লাইন ভাঙা নিয়ে ঝগড়া করে। লাইনের পুরনো লোক ওষুধ নিয়ে চলে যান। নতুন লোক এসে দাঁড়ান। লাইনের দৈর্ঘ্য ধ্রুবক থাকে।

এক খটখটে শুকনো, বেশ গোলাপি গোলাপি রঙের বুড়ি আমাকে দেখে হাসে। ওষুধ হাতে পেয়েও যেতে চায়না। বলে, তোরে একেবারে আমার সেই মরে যাওয়ার ওনার মতো দেখতে। উনিও তোর মতো লম্বা ছিলেন। তোর মতোই চাপা গায়ের রঙ।

বুড়ি আমার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে। গালে হাত দিয়ে চুমু খায়। বুড়ির সাথে যে পুতি এসেছিল, সেই ছোটো ছেলেটি লজ্জা পায়। তাড়া দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি করো বড়োমা। এখনও কতো লোক দাঁড়িয়ে আছে।

বুড়ি ধমক দিয়ে ওঠে, তুই বক বক করিস নে পুকা। আর একটু ওনারে দেখি, কতকাল দেখি না।

ছেলেটি বলে, কতবার বলেছি, আমাকে পোকা বলে ডাকবে না।

ওমা,ছোঁড়ার কথা শোনো। পুকারে নাকি পুকা বলা যাবে না। তোর বাপে যখন পুকা পুকা করে, তখন তো কিছু বলিস নে।

ছেলেটি রেগে বলে, আমি চললাম। তুমি যা ইচ্ছে করো।

বুড়ি চেঁচায়, পুকারে যাসনে… যাসনে। হাতটা ধরে টেনে তোল বাপ আমার।

বুড়ি যাওয়ার পর ভাবি এক বুড়ো যদি মহিলা ডাক্তারকে দেখে বলতো, তোকে দেখে আমার বউয়ের কথা মনে পড়ে। তারপর তাকে আদর টাদর করার চেষ্টা করতো, তাহলে সে সম্ভবত অক্ষত দেহে বাড়ি ফিরতে পারতো না। ছেলেদের বুড়ো হয়েও শান্তি নেই।

নটার পর থেকে লাইনটা তার ধ্রুবকতা হারায়- আস্তে আস্তে ছোটো হয়। একজন মহিলাকে জিগ্যেস করি, কী হয়েছে?

ডাক্তারবাবু, একটা সার্টিফিকেট দরকার?

সার্টিফিকেট? কীসের সার্টিফিকেট?

ডাক্তারবাবু, মেয়েটা সাইতে সুযোগ পেয়েছে। ও রাজ্যস্তরে সাঁতারে নামে। ওখানে হোস্টেলে থাকার জন্য একটা সার্টিফিকেট দরকার।

বছর এগারো বারোর মেয়েটির দিকে তাকাই। একমাথা ঝাঁকড়া চুল। রোগা লম্বা শরীর। আমার মতোই গায়ের রঙ। হেসে বলি, বাহ্ তুই এতো ভালো সাঁতার কাটিস। কোথায় বাড়ি তোর?

মেয়েটি মাথা নিচু করে থাকে। কিছু বলে না। ওর মা জবাব দেয়, এই তো কাছেই, খাল পাড়ে।

আমি বলি, এখানে তো আমার প্রেসক্রিপশন প্যাড নেই। এখানে কী করে লিখবো। আপনি মেয়েকে নিয়ে দশটার পর বাড়ির চেম্বারে চলে আসুন। লিখে দেব।

মহিলা মাথা নিচু করে, ছেড়া শাড়ির আঁচল আঙুলে জড়ায়। আমি বুঝতে পারি সে কেন ইতস্তত করছে। না না, ভিজিট লাগবে না। ও সাঁতারে এতো ভালো- পরে যখন বিখ্যাত হবে তখন আমিও গর্ব করে বলতে পারব আমি ওকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম।

মহিলা বলে, আসলে পাঁচ বাড়িতে কাজ করি তো। আপনার ওখানে খুব ভিড় হয়।

হেসে বলি, আপনি আসুন না। পার্থকে বলে রাখব। আপনাকে দাঁড়াতে হবে না।

মহিলা বলল, আপনি ওকে আশীর্বাদ করবেন। ওর বাবার ওর উপর এতো আশা ছিল, ওকে এতো ভালোবাসতো- ও যেন বাবার আশা পূরণ করতে পারে।

আমার আশীর্বাদ !!! আমি হাসলাম। বললাম, ওর বাবার কী হয়েছে?

মহিলা হঠাত কেঁদে ফেলল। বলল, ওর বাবা চলে গেছে মাত্র দু মাস আগে। টিবি হয়েছিল। এতো ওষুধ খেলো, কিছুতেই কিছু হলো না। আসলে শুধু ওষুধ খেয়ে কী হবে, পথ্যেরও তো দরকার। শেষ একবছর শরীরের যা অবস্থা হয়েছিল, কাজেই বেরোতে পারতো না। মাঝে মাঝেই রক্ত উঠতো। ওই অবস্থাতেও ওকে ডিম দুধ দিলে খেতে চাইতো না। বলতো কোনিকে দাও। কোনি খাক। সাঁতার কাটতে হলে এসবের দরকার।

আমি অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালাম। বললাম, তোর নাম কোনি?

ছোটো মেয়েটি এই প্রথম মুখ খুলল, না, আমার নাম শম্পা। কিন্তু বাবা কোনি বলে ডাকতো। এখনও ডাকে, জলে নামলেই ডাকে। মেয়েটির গলার স্বরে দৃঢ় প্রত্যয়।

এবং এই দৃঢ় প্রত্যয় আমাকে বুঝিয়ে দিল আমার এই মন খারাপ কতো তুচ্ছ। আমি কিচ্ছু হারাই নি। কাউকে হারাই নি। সবাই আছে আমার সাথে। ছোটো মেয়েটির তীব্র অনুভব ক্ষমতা আমাকেও আচ্ছন্ন করছিল।

তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু।

PrevPreviousকসবা থানায় WBJDF-এর ডেপুটেশন জমা, ধর্ষণ বিরোধী প্রতিরোধ ও নাগরিক চাপ জারি রাখার আহ্বান
Nextযুদ্ধধর্ম– আমেরিকা ও একটি গানNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
প্রণবেন্দু রায়
প্রণবেন্দু রায়
10 days ago

অসম্ভব ভালো লেখা, পড়তে পড়তে খুব হাসলাম, তারপর শেষ প্রান্তে এসে অজান্তে চোখের কোণে একটু জল ও এলো।
আপনি লিখুন এভাবেই, আপনার লেখা শ্রমজীবীদের জীবন আলেখ্য হয়ে উঠুক।👍

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

অভয়া মঞ্চের জুন মাসের দিনলিপি

July 9, 2025 No Comments

Memoirs of An Accidental Doctor: তৃতীয় পর্ব

July 9, 2025 No Comments

ন্যাশনাল মেডিক্যালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে জ্বর, খিঁচুনির রোগী ভর্তি হতো খুব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হতো তড়কা, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় febrile convulsions. জ্বর কমার

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 4: A Landscape of Burning Coal – Jharkhand stories

July 9, 2025 1 Comment

Jharkhand was a brief—but unforgettable—stop on my fellowship journey. Jan Chetna Manch, Bokaro (JCMB)  is a small nonprofit focused on women’s health and empowerment, and it wasn’t even

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

July 8, 2025 No Comments

For me Odisha is a land of contradictions, and the story starts from a rainy day when I came to Bhawanipatna, Kalahandi, Odisha from Chattisgarh.My

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

July 8, 2025 No Comments

৭ জুলাই, ২০২৫ ২০২৪ এর ৯ আগষ্ট, কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয় এই কলকাতায়,এই বাংলায়। মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পি জি

সাম্প্রতিক পোস্ট

অভয়া মঞ্চের জুন মাসের দিনলিপি

Abhaya Mancha July 9, 2025

Memoirs of An Accidental Doctor: তৃতীয় পর্ব

Dr. Sukanya Bandopadhyay July 9, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 4: A Landscape of Burning Coal – Jharkhand stories

Dr. Avani Unni July 9, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

Dr. Avani Unni July 8, 2025

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

Abhaya Mancha July 8, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

566297
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]