১ অক্টোবর, বিকেল পাঁচটার একটু আগেই যাত্রা শুরু হবে, কলেজ স্কোয়ার থেকে। শিক্ষার উৎকর্ষ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হবে এই যাত্রা। পথ শেষ হবে রবীন্দ্র সদনের সামনে। শিল্প-সাহিত্যের উৎকর্ষ, রবীন্দ্র সদনের সামনে শেষ হবে এই যাত্রার।
একটা ভুল হলো, না শেষ হবে না। বরং শুরু হবে। যে আন্দোলন চলছে, তার একটি মহাযাত্রার শেষ হবে রবীন্দ্র সদনের সামনে। তারপর তা আবার রবীন্দ্র সদনের সামনে থেকে ছড়িয়ে পড়বে। ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে। এই শহরের প্রতিটি কোনায় কোনায়। এই শহর ছাড়িয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গের অলিতে গলিতে মুখরিত হবে, জাস্টিস ফর অভয়া। অভয়ার ন্যায্য বিচার চাই। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবীতে আমরা সকলে গলার স্বরটা আরো একটু বেশী তুলবো। এর পর রাত দখল হবে। দখল হবে ভোর। তারপর আবার আমরা জমায়েত হবো পরদিন দুপুর একটার সময় কলেজ স্কোয়ার। সেই যাত্রা পথও শেষ হবে রবীন্দ্র সদনে। এক তারিখ বিকেলে যে যাত্রার শুরু হবে তা আদতে দুই তারিখ বিকেলে শেষ হবে। এই চব্বিশ ঘন্টা আমরা ক্রমাগত পথে হাঁটবো। পথে থাকবো। আন্দোলনের মাত্রা আরো বাড়বে।
রোজ রোজ রোজ। পথ। পথই আমাদের পথ দেখাবে। শাসক তোমার রক্ত চক্ষুকে আমরা ভয় পাই না। আমাদের যত বাঁধা দেবে আমরা সংখ্যায় ততই বাড়বো। আমাদের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের উৎসব। প্রতিবাদের উৎসব। আমরা আসছি।
আমাদের লক্ষ্য এক। লক্ষ লোকের জমায়েত। এক লক্ষ্যে এক লক্ষ।