সামাজিক-রাজনৈতিক জগতেও একটি “ইকোসিস্টেম” থাকে যেখানে ন্যায়, সুবিচার, সামাজিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ইত্যাদি সুনিশ্চিত থাকা একটি তথাকথিত কল্যাণকামী রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্ব-কর্তব্যকর্মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু “লিগালাইজড ললেসনেস (আইনসিদ্ধ আইনহীনতা)” এবং সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিকভাবে সিদ্ধ সীমাহীন চুরিচামারি-ঘুষ-দুর্নীতির শিকার আগামী প্রজন্ম গড়ার কারিগর চাকরিচ্যুত শিক্ষকেরা বিচার চাইতে গেলে সপাটে লাথি, লাঠি, ঘুষি জোটে পুলিশের তরফে, তখন বিলক্ষণ মনে হয় আমাদের চারপাশের ইকোসিস্টেমে গভীরতর, নিরাময়-আযোগ্য ক্ষত হয়ে গেছে। এর নিরাময় বা প্রশমন হতে কত প্রজন্ম লাগবে আমরা অনুমান করতে পারিনা।। এ প্রেক্ষিতে বর্তমান প্রবন্ধের পরিসর নিয়ে আমার নিজের মনেই সংশয় তৈরি হয়।
(সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা– ১০.০৪.২০২৫)
প্রায় ২৬০০০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিহারা – সুপ্রিম কোর্টের কলমের এক আঁচড়ে। তার আজ পথে, মিছিলে, অবস্থানে এবং মানুষের মাঝে বারংবার আর্তি জানাচ্ছেন – “যোগ্য অযোগ্য পৃথক হোক”। বলতে চাইছেন – মেধা এবং ঘুষ ও দুর্নীতিকে পৃথক করা হোক। সাধারণ মানুষও তো এটাই চান। বাঙালি সংস্কৃতির (বোধ করি অন্য সব সংস্কৃতির মতোই) একটি গুরুত্বপূর্ণ চারিত্র্যলক্ষণ ছিল মেধাকে সম্মান করা। তাদেরকে রাজা বা রাষ্ট্রের তরফে সম্মান জানানো। নৈয়ায়িক “বুনো রামনাথ”-এর সময় থেকেই তো (কিংবা তারও অনেক আগে থেকে) এ বিশেষ সামাজিক চারিত্র্যলক্ষণ সামাজিকভাবে মান্যতা পেয়েছে, পেয়েছে স্বীকৃতি। আমরা একে ধারণ করেছি একটি গ্রাহ্য ধারণা হিসেবে।
বর্তমান সময়ের পশ্চিমবঙ্গে এই সামাজিক, সাংকৃতিক, মানসিক এবং রাজনৈতিক কাঠামোটি ভেঙ্গে পড়েছে। আজ প্রবাদপ্রতিম শিক্ষকদের আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সামাজিকভাবে এ যে কী দুরপনেয় ক্ষত, তা বোঝার মেধা, সদিচ্ছা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী বর্তমান রাষ্ট্রপরিচালকদের আছে? শয়ে শয়ে কোটি টাকার বিনিময়ে মেধাকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দেওয়া হল। প্রকারান্তরে মেধা ও পরিশ্রমকে খেয়ে ফেলে তাকে প্রতিস্থাপিত করা হল শর্টকাট বা হ্রস্বতর পথে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছনোর সামাজিক পন্থা। এবং, সবচেয়ে মারাত্মক হল, একে রাষ্ট্রিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক বৈধতা দেওয়া হল।
তারপর? শিক্ষকেরা পথে নেমেছেন – ভাতের খোঁজে, সংসার প্রতিপালনের সামর্থ্যের খোঁজে এবং বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের ওষুধ ও চিকিৎসার খরচ মেটাবেন কিভাবে, তার উত্তর পাবার জন্য। এ শিক্ষকদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষ আছেন, হার্টের রোগী আছেন, আছেন আরও অনেক ধরনের রোগাক্রান্ত যৌবন বা যৌবন-উত্তর নর ও নারী। আমরা সামাজিকভাবে কী মজা দেখছি? উপভোগ করছি?
এখন সবই শান্ত সবই ভালো
সত্য এবার হয়েছে জমকালো
বজ্র থেকে পাঁজর গেছে খুলে
এ-দুই চোখে দেখতে দিন বা না দিন
আমরা সবাই ব্যক্তি এবং স্বাধীন
আকাশ থেকে ঝোলা গাছের মূলে।
(‘আপাতত শান্তিকল্যাণ’ – শঙ্খঘোষ)
(সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা – ১০.০৫.২০২৫)
আমরা দর্শক মাত্র – আমাদের টুকরো টাকরা বিভিন্ন মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া ছাড়া। ফিজিক্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া মেয়েটির কান্না চোখের সামনে ভাসছে। কতদিন ভাসবে? উত্তর জানিনা। তবে কবি তো বলেছেন – বিংশ শতাব্দীতে শোকের আয়ু বড়োজোর একবছর।
২৬০০০ হাজার চাকরি বাতিল শুধুমাত্র ২৬০০০-এর চাকরি শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এর অর্থ লক্ষাধিক শিশু, কিশোর, স্ত্রী, নির্ভরশীল মা-বাবারও জীবন এবং নিশ্চয়তা বিপন্ন হওয়া। ওদের কী হবে? আমরা তো “তুই হিন্দু না মুই হিন্দু”র ন্যারেটিভে মজে উঠেছি। দায়-দায়িত্বহীণ মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছি। নিজেদের মধ্যে খোশ গপ্পোও করছি। শিক্ষকদের আন্দোলনের খবর ধীরে ধীরে সামাজিক বিস্মরণে চলে যাবে। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ১ লক্ষ বা তার বেশি মানুষের ভোটের ওপরে ২০২৬-এর ভোটে জিতে আসা আদৌ নির্ভর করবে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে, “অভয়া”র ধর্ষণ ও খুনে ডাক্তার সমাজ একযোগে রাস্তায় নেমেছিল বলে কিছুদিনের জন্য বিপুল জনরোল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজ যাদের চাকরি খতম হয়ে গেল, তাঁরাও এর আগে দিনের পর দিন ধর্মতলায় অবস্থান, অনশন করেছেন – জলে ভিজে রোদে পুড়ে। আমাদের তরফে কেবল তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া ছিলনা। সামাজিক মানুষ এবং বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এই সন্তানদের জন্য এগিয়ে আসেনি।
এই দূরত্বগুলো থাকার অর্থই হচ্ছে সামাজিক তথা নাগরিক পরিসরে দুর্লঙ্ঘ্য ফাঁক থেকে যাচ্ছে। এখানে তৃতীয় পরিসর গড়ে উঠবে কীভাবে? দক্ষিণপন্থী সক্তি তাদের বাহুবল ও পেছনের রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে সহজেই এ জায়গা দখল করবে, করছেও।
এখানে অনিবার্যভাবে আর জি কর-কেন্দ্রিক ডাক্তার সমাজের যে বিপুল, নিরস্ত্র, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থিত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আন্দোলন হয়েছিল, এবং যে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নারীদের ঐতিহাসিক “রাত দখল”-এর আন্দোলন এবং যার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ (শহর এবং গ্রামাঞ্চল নির্বিশেষে), সে আন্দোলনের সাথে এর ফারাকটি শাসক এবং রাষ্ট্রশক্তি বোঝে। ডাক্তারদের আন্দোলনে ভোটব্যাংক সাধারণ মানুষের তাৎক্ষণিক প্রক্ষোভ তৈরি হয়। এর তাৎক্ষণিক এবং সুদূপ্রসারী পরিণতিতে যে ভোটব্যাংক দ্বসে যেতে পারে, সেকথাও বিলক্ষণ মাথায় রাখতে হয়।
কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনে তাৎক্ষণিক ক্ষতি কিছু নেই। সুদূপ্রসারী যে নিরাময়-অযোগ্য ক্ষত তৈরি হবে তা নিয়ে কোনদিনই কোন স্বৈরতন্ত্রী ক্ষমতাকেন্দ্র বিচলিত হয়নি। যারা ইতিহাস স্মরণ করতে পারবেন তারা স্ম্রণ – আইনস্টাইন যখন জার্মানি ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমালেন, তখন জার্মান বিজ্ঞানীদের এক বড়ো অংশ হিটলারকে বলেছিলেন, বিজ্ঞানের এত বড়ো ক্ষতি হতে দেবেন না। হিটলারের উত্তর ছিল – এক আইনস্টাইনের পরিবর্তে হাজারটা বড়ো বিজ্ঞানী এনে দেব। আর কিছু বলার থাকতে পারে?
সুদূরপ্রসারী ক্ষত
(সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ – ১২.০৪.২০২৫)
(১) রাজ্য জুড়ে প্রায় সমস্ত স্কুলে শিক্ষকদের যে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতো, তাদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ফলে মেধাবী ছাত্রদের আসার সংখ্যা কমে যাবে।
(২) এর ফলে কলেজ এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা ও ঔৎকর্ষের চর্চা ক্রমাগত নিম্নমুখী হবে। এখনই এমনকি নামী কলেজগুলোতে স্নাতকস্তরে ভর্তি হবার সংখ্যা কমে গেছে। বহু সিট ফাঁকা পড়ে থাকছে।
(৩) তাহলে এই ছেলেমেয়েরা যাবে কোথায়? সহজ গন্তব্য হল – যাদের সামর্থ্য আছে তার হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বহু অর্থ ব্যয় করে পড়বে বা পরিযায়ী শিক্ষার্থী হবে।
(৪) যাদের সামর্থ্য নেই তার শিক্ষার জগৎ থেকে হারিয়ে যাবে। দিন গুজরানের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত হবে। এদের জন্য অনুদান-নির্ভর এবং অনুদান-পরিচালিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসনের রয়েছে বিভিন্ন “শ্রী” প্রকল্প। ভোটের সময়ে এই “শ্রী”রা নিতান্তই সুশ্রী চেহারা নেয়।
(৫) উচ্চ মেধা রাজ্য থেকে ধীরে ধীরে অপসৃত হলে সে জায়গা নে মধ্য- ও নিম্ন-মেধা। এর সমস্ত লক্ষণ তো এখনই পরিস্ফুট। এরাই ভোটের সময় বা প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে “পৌরুষ”-এর জোগানদার।
(৬) সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের বরখাস্ত হওয়া হল বাস্তব প্রোজ্জ্বলন্ত যন্ত্রণা। পরবর্তীতে একে সামাল দেবার জন্য নেতাজি ইনডোরের বৈঠক কিংবা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সময় ব্যয় করা বুঝিয়ে দিচ্ছে – কার্যত অবাস্তব একটি “ঝোলা গাছের মূলে’ গাজর ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। সবাই বোঝে, আইনী লড়াইয়ের সঙ্গে “আমি” সমাধান করে দেব – এই দ্বৈততার সমাধান একটি অবাস্তব বা পরাবাস্তব একটি আখ্যান।
শেষ কথা
এসবের মাঝে সবার অলক্ষ্যে, আমাদের চোখের আড়ালে, নিঃসারে সামাজিকভাবে গণ পরিসরের যতটুকু স্থান রয়েছে, তার রাজনৈতিক চরিত্রের masculinization তথা পৌরুষীকরণ ঘটেছে। নৈতিকতার গোড়ার প্রশ্নগুলোকে অল্প অল্প করে দিনের শেষে ঘুমের দেশের মতো ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে (ethical tranquilization)।
আরো একধাপ এগিয়ে আবার আমার আপনার মতো কোন অর্বাচীন, অকালপক্ক, অর্ধশিক্ষিত দেখে এর মাঝে hegemony তথা মান্যতা নিয়ে টিঁকে থাকবার নানা রকমের কৃৎ-কৌশল রয়েছে। কৃৎ-কৌশল রয়েছে রাষ্ট্রের অতিরাষ্ট্রের হয়ে ওঠার চারিত্র্যলক্ষণের মধ্যে আছে ক্রমশ ঘৃণাকে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া – শব্দে, চিত্রকল্পে, প্রাত্যহিক সংলাপে। হিংসাকে আকর্ষণীয় প্রদর্শনী করে তুলতে হবে (spectacularized violence)। ধীরে ধীরে এগুলোকে সহনীয় করে তোলা। নিজের নিয়মেই সহনীয় হয়েও যায়। যাকে পছন্দ করিনা তাকে ‘দানব’ বানিয়ে দাও (demonization)।
শিক্ষা থেকে থেকে সরিয়ে দাও প্রশ্ন করার সাহস, উৎসাহ এবং পরিসর। শিক্ষকেরা হয়ে যাক educational managers, ছাত্রের মাঝে “কেন?”-র প্রবাহ তৈরি করার কোন জ্ঞানভিক্ষু নয়। একটি সংস্কৃতির জন্ম হবে যার ভিত্তি হবে কেবল তাৎক্ষণিকতা-নির্ভর, শুধুমাত্র বর্তমানকে চিনি বুঝি যাপন করি, অন্য কিছু নয়। অতীতের এবং ইতিহাসের পুনর্নিমাণ হবে। সমাজের অন্ধকার জগৎ, যাদেরকে চালু ভাষায় লুম্পেন বলা হয়) আলোয় আসার, রাজপথের দখল নেবার, ক্ষমতার বৃত্তের সাথে সংস্থাপিত থাকার গৌরব অর্জন করবে।
এখানেই মেধার বদলে নিম্নমেধার প্রয়োজন হয় শাসকের। লুম্পেনরাজ ঘোষিতভাবে সমাজের চলন, নীতি, নৈতিকতা, ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি পরিসর – সবকিছু নির্ধারণ করবে। আমরা তো শুনেইছি “শীতলকুচি করে দেবো” বা “আর জি কর” মতো প্রবল প্রত্যয় এবং অমৃত ও স্বস্তিবচন। আমরা ধীরে ধীরে সইয়ে নিয়েছি নিজেদের। এরকম এক সুবোধ, সুশীল “ফ্যাতাড়ু”বাহিনী পেলে আর কারা অন্তর্ঘাত ঘটাবে? এদেরকেইতো নবনির্মিত রাষ্ট্রের প্রয়োজন বা এভাবেই গড়ে নেবে। কিছু নির্মিত চিহ্ন বা শ্লোগানের প্রতি বশ্যতা ও আনুগত্য বোঝাবে পছন্দমতো।
অঁরি জিরো (Giroux) তাঁর একটি লেখায় আবেগঘন আবেদন রেখেছেন – “The current fight against a nascent fascism across the globe is not only a struggle over economic structures or the commanding heights of corporate power. It is also a struggle over visions, ideas, consciousness, and the power to shift the culture itself.”
আমেরিকার প্রতিবাদী সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ১৯২৭ সালে প্রথম প্রকাশিত তাঁর দ্য ফ্যান্টম পাবলিক পুস্তকের শুরুতেই সেসময়ের আমেরিকার জন মানসিকতার বিচার করে বলছেন – “আজ প্রতিটি ব্যক্তি নাগরিক পেছনের সারিতে বসে থাকা একজন বোবা দর্শকের অনুভূতিতে পৌঁছেছে, যারা নিজেদের মনকে বলবে সামনের দিকে কি রহস্য চলছে তাতে দৃকপাত না করাই ভালো। নিজেকে জাগিয়ে রাখতে সে পারেনা। সে বোঝে চারপাশে যা ঘটছে সেসবের আঁচ তার গায়েও লাগছে … কিন্তু এ বিষয়গুলো কে সে নিজের বিষয় বলে ভাবতে পারেনা। এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অদৃশ্যে থাকে।”
(ঋণ স্বীকারঃ ডঃ কৌশিক লাহিড়ী)
খুব ভালো লিখেছো কাকু ❤️🙏
ডাক্তার জয়ন্ত ভট্টাচার্য মহাশয়ের লেখাটি বর্তমান সময়ের জন্য অবশ্যই অর্থবহ।” পজিটিভলি”ভাবার মতো বিষয় ।
ডাক্তার বাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সমাজ-সময়, পরিবেশ-পরিস্থিতি সমস্ত কিছুই বড়ই জটিল অবস্থার সম্মুখীন। নীতি নৈতিকতার কোন রকম বাধা নিষেধই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা মানে না। বোবা দর্শক আজ চোখ বন্ধ করে বা চোখে কালো কাপড় বেঁধে নিজেকে অন্ধ করে রাখতেও ভালবাসে। জানিনা ভবিষ্যৎ সময়ে আরো কত অন্ধকারময় দিন দিক দেখতে হবে। শুভ বার্তা আসুক এটাই কামনা করি। তোমার লেখনীর খোঁচায় একটু আগুন জ্বলে উঠুক মানুষের ভাবনায়।