৬ই জুন, ২০২০
আজ আমরা স্বাস্থ্য শিবির করলাম হুগলীর পারুল আশ্রমে। হুগলীর ধনেখালির কাছে পারুল গ্রাম, সেখানেই পারুল আশ্রম। আমরা দলে ছিলাম ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ, ডাঃ স্নিগ্ধা হাজরা, ডাঃ হিমাদ্রি শেখর বেরা এবং সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী পিয়ালী দে বিশ্বাস।
আম্ফানে ওই এলাকায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, বেশ কিছু বাসস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম্ফান ও তার আগে লকডাউনের জন্য এলাকার মূলত কৃষিনির্ভর মানুষের জীবিকায় টান পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে পারুল আশ্রম এগিয়ে এসেছে এলাকাবাসীর সাহায্যে। আশ্রমের ‘এক পরিবার এক হাঁড়ি’ র নীতি নিয়ে গ্রামবাসীরা গড়ে তুলেছেন কমিউনিটি কিচেন। সেখানে নিজের নিজের সামর্থ্য মত কোন গ্রামবাসী দিচ্ছেন ক্ষেতের ফসল, কেউ সাহায্য করছেন শ্রম দিয়ে। শুধু পারুল গ্রাম নয়, আশেপাশে ধনেখালির বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়েছে এই ‘এক পরিবার এক হাঁড়ি’র নীতি। বিপদের সময় একসাথে থেকে জীবনযুদ্ধে লড়াই করছেন গ্রামবাসীরা।
এই পারুল আশ্রমে আজ ৫৭ জন গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলাম আমরা। মূলতঃ দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যা নিয়েই দেখাতে আসেন বেশিরভাগ মানুষ। লকডাউনের কারনে অনেকে গত কয়েকমাস চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে পারেননি, ওষুধ বন্ধ করেছিলেন কেউ কেউ। এদিনের শিবিরে তাঁদের কিছু সুরাহা হয়। আশ্রমের ‘এক পরিবার এক হাঁড়ি’ নীতির সাফল্য কামনা করে সেই হাঁড়িতে তৈরি খাবারে দ্বিপ্রাহরিক ভোজন সেরে রওনা দিলাম আমরা।
এই রিপোর্ট ডাঃ হিমাদ্রি শেখর বেরার লেখা
এক পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এবং শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এর চেষ্টায় পারুল আশ্রম এ আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে বহু আর্ত পীড়িত মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সমস্ত ডাক্তারবাবুদের এবং এর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে জানাই অজস্র ধন্যবাদ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আগামী দিনেও আপনাদের এই পরিবারের মানুষের পাশে আপনাদের পেতে চাই আমরা।
বড় ভালো লাগল।এই মনুষ্যত্বই আজকের দিনে সবচেয়ে জরুরী।এমন মানুষেরা আছে বলেই বিশ্বাস করতে পারি সবকিছু শেষ হয়ে যায় নি।বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাই।