“কবার তুমি অন্ধ সেজে
থাকার অনুরাগে
বলবে তুমি দেখছিলে না
তেমন ভালো করে….”
পশ্চিমবঙ্গের বুকে ৯ই আগস্ট ঘটে যাওয়া অভয়ার নৃশংস হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও বিচার পদ্ধতির বিলম্বের প্রেক্ষাপটে “অভয়া মঞ্চের” জন্ম গত ২৯শে অক্টোবর। সুবিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বুকে যে অভূতপূর্ব জন জাগরণ ঘটেছে তাকে এক সমষ্টিগত সামাজিক আন্দোলনের রূপ দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে এই অভয়া মঞ্চের গঠন ৮০ টা সংগঠনের মেলবন্ধনে। আজ সে সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
“দ্রোহের আলো” র পর ৯ই নভেম্বরের ‘জনতার চার্জশিট’ অভয়া মঞ্চের দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল ধর্মতলার রানী রাসমণি এভিনিউ এ। WBJDF এর ডাকা মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে এসে মিলিত হয় ওই একই জায়গায়।
অভয়া মঞ্চের এই মৌলিক কর্মসূচির মূল উদ্যেশ্য ছিল যে বিলম্বিত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে জনগণ কাদের এই বর্বরোচিত অপরাধের জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে দোষী সাব্যস্ত করছে সেটা চার্জ শিটের আকারে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। এর জন্য একটি বিরাট ফ্লেক্সের বোর্ডে জনতার চার্জ শিট পেশ করা হয়েছিল যাতে প্রত্যেকে নিজের মতামত লিখে জানান। এছাড়াও পরবর্তীতে পত্রিকা প্রকাশ এবং মঞ্চে সেই চার্জ শিট সবিস্তারে পাঠ করা হয়। এমনকি নাটকে, নাচে, গানে, কবিতায়, বক্তৃতায় জনতার ক্ষোভ ও অভিমত প্রতিভাত হয়।
অভয়া মঞ্চের তিন আহ্বায়ক শ্রীমতি মনীষা আদক, ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ এবং ডাঃ তমোনাশ চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সবাইকে অবগত করেন যে এই কর্মসূচি অচিকিৎসক, চিকিৎসক, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও পেশার মানুষের সম্মিলিত অনুষ্ঠান। কর্মসূচির বিপ্লবী সুরটি বেঁধে দেন সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সমবেত গান ” পথেই এবার নামো সাথী” র মাধ্যমে।
এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং এই সমাজের বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের সুচিন্তিত বক্তব্যের সমাহারে অনুষ্ঠানটি পূর্ণতা অর্জন করে।
“স্পন্দন পিপলস থিয়েটারের” শ্রুতি নাটক, “মানবজমিন” ব্যান্ডের কোরাস গান, “জন গণ মন” গোষ্টির নাটক, রামানুজ চ্যাটার্জির ভায়োলিন বাদন, স্নেহা সূত্রধরের নাচ ও কবিতা, মীরা চতুর্বেদির গান, শুভদীপ মন্ডল ও সিদওয়াত ইরাজের শ্রুতিনাটক, গান এবং পাঠ, প্রত্যেকটি নিবেদনই মৌলিক, আন্তরিক ও মর্মভেদী।
বিশিষ্টজনদের বক্তব্যের সারাংশ তুলে ধরছি।
বলিষ্ঠতম বক্তব্যটি রাখেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের এই নির্মম, বর্বরোচিত, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের আড়াল করার প্রবল প্রয়াসকে তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন যে হাইকোর্ট তৎপরতার সাথে সিবিআই এর হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে, অথচ সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে মামলাটি হাতে নিয়ে সেটি কোল্ড স্টোরেজে পাঠিয়েছে। ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়া, হাসপাতালের পরিকাঠামো, সিভিক পুলিশের নিয়োগ, ইত্যাদি এসব বিষয়েই সুপ্রিম কোর্ট তিন মাস কাটিয়ে দিয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে বলেও সে ব্যাপারে আর বিশেষ এগোয়নি। সুপ্রিম কোর্টে যে বিচারপতি জানালেন যে তিনি ৩০ বছরে এমন নজির দেখেননি, তাঁর কণ্ঠও অচিরে স্তিমিত হয়ে গেলো।
জাস্টিস গাঙ্গুলী সংবিধান প্রদত্ত বিচারপতিদের ক্ষমতা, কর্তব্য ও তার বিচ্যুতির কথা সর্ব সমক্ষে তুলে ধরেন। রক্তক্ষয়ী গণআন্দোলন, আত্মত্যাগ, রাজপথের লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত যে ন্যায় বিচারের সাংবিধানিক ক্ষমতার বলে বিচারপতিরা বলীয়ান, সেই ক্ষমতা সরকার তুষ্টির জন্য প্রয়োগযোগ্য নয়। সে ক্ষমতা “We the people” কে ন্যায় বিচার প্রদানের জন্য। এমতাবস্থায় যদি বিচারপতিরা ন্যায় বিচারের ভার না নেন তবে জনগণকেই সেই ভার নিতে হবে।
তিনি পাটিগণিতের সিঁড়ি ভাঙ্গা অংকের মতন এগোতে থাকেন বিচার প্রক্রিয়ায়। বলেন যে সিবিআই সঞ্জয় রাই কে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করেছে, যে এখন জানাচ্ছে যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি কে যোগসাজশের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে অথচ ওসি এ কাজ শুধু নগরপালের নির্দেশেই করতে পারে। তাহলে সেই নগরপালকে কেন সিবিআই সওয়াল করবে না? কেন পুলিশ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হবে না? একই ভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এতো বড় দুর্নীতির জন্য কেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না? তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান যে মন্ত্রী আইনের ঊর্ধ্বে নন।
তিনি এই চরম দুর্নীতি পরায়ন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তীব্রতর করে, গ্রামে গঞ্জে অনুষ্ঠান নাটকের মাধ্যমে এই প্রতিবাদের ও অধিকারের উৎসবকে ছড়িয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার বদল করার আহ্বান জানান।
ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক শ্রী সায়ন সরকার প্রাঞ্জল ভাবে ব্যাখ্যা করেন তিন প্রধানের খেলার মাঠের নির্মল প্রতিদ্বন্দ্বিতার এবং সমর্থকদের এক হয়ে অভয়ার বিচার চাওয়ার। তিনি তীব্র ধিক্কার জানান তিন প্রধানের কর্মকর্তাদের নির্লজ্জ ভাবে প্রকাশ্যে শাসক পক্ষ সমর্থনের। বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদতে ক্রীড়া জগতে ঘটে চলা ঘৃণ্য রাজনীতি কি ভাবে এই সুস্থ্য পরিবেশকে কলুষিত করে চলেছে সমস্ত বিষয়ে, এমনকি স্পন্সর নির্বাচন পর্যন্ত, সেসবও তিনি সোচ্চারে ব্যক্ত করেন। তিনি আরো জানান যে ক্রীড়া জগতে ১৭ টি অর্গানাইজেশন আজ শাসক দলের নেতাদের অধীনে।
অভয়া মঞ্চের সার্থকতা এখানেই যে দুর্নীতি মুক্ত ময়দান গড়ার ডাক এখানেই ঘোষিত হোলো ১২ই নভেম্বর গোষ্ঠ পালের স্ট্যাচুর নীচে ” ময়দান চলো” কর্মসূচিতে।
AIIMS Delhi র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডাঃ আশিস মিত্তাল ঋতচেতা অভয়ার অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজের প্রাণ বলিদানকে কুর্নিশ জানান। উনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই ফ্যাসিষ্ট TMC সরকার কৃত প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ আপোষহীন যুদ্ধকে সংগ্রামী অভিবাদন জানান। ডাক্তার রুগী এক হয়ে সংগঠিত এই নজিরবিহীন আন্দোলনে সারা দেশের যোগদানকে সুনিশ্চিত করেন।
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি সংহতির তরফ থেকে এক্টিভিস্ট শ্রীমতি স্বাতী চক্রবর্তী সেই ১৪ই আগস্টের ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ক্রমাগত হয়ে চলা প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে এই প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা, প্রমাণ লোপাট, সরকারী ছলচাতুরি এবং পুলিশের হুমকিই পরবর্তীকালে জয়নগর থেকে জয়গাঁয় ঘটে যাওয়া একের পর এক যৌন হিংসাকে উৎসাহিত করেছে। মেয়ে, শিশু, প্রান্তিক মানুষ সবাই এর শিকার। এসবের বিচার আর অভয়ার বিচার আজ সমার্থক। রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সর্বত্র নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের অথচ রক্ষকই আজ ভক্ষক। আশ্চর্যজনক ভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কমিটি, মহিলা কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন আজ নিশ্চুপ, নিশ্চেষ্ট। তাই বিদ্রোহের স্বর চড়ানো আবশ্যক।
সামিনা রসুল মেয়েদের নাইট ডিউটি না দেওয়ার সরকারী পরোয়ানার প্রতিবাদ করে বলেন যে মেয়েরা কি পোশাক পরবে, কোথায় কখন যাবে, কি করবে সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সরকারের সেটা ঠিক করার কোনো অধিকার নেই। ১৪ই আগস্টের রাতের আর জি কর হাসপাতালে গুন্ডাদের আক্রমণ প্রতিহত করার ব্যাপারে পুলিশের অপদার্থতা এবং অভয়ার বাবা মাকে মৃতদেহ সৎকারের আগেই ১০ লাখ টাকার টোপ দেওয়ার কদর্য রুচিকে তিনি ধিক্কার জানান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন।
নারীবাদী বক্তা শ্রীমতি রত্নাবলী রায় রেপ ও থ্রেট কালচারের সাথে সাথেই ভিকটিম কে দায়ী করার প্রবণতাকে তীব্রভাবে ধিক্কার জানান। দুর্বৃত্তদের সাথে নেতা, মন্ত্রীদের যোগ এবং মহিলা ও মানবাধিকার কমিশনের “radio silence” নিয়ে কটাক্ষ করেন। এর সাথে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে নিয়োগ এবং যথাযথ কম্পেনসেশনের নীতির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর মতে এই নাগরিক আন্দোলন দলীয় রাজনীতির বাইরে থাকার কারণে ডাক্তার ও মহিলা সংক্রান্ত সব ইস্যুগুলি এক সুতোয় গেঁথে নিতে সক্ষম হয়েছে।
WBJDF এর তরফ থেকে ডাঃ দেবাশীষ হালদার জানান যে এই আন্দোলনের এই মুহুর্তের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হোলো এই যে মানুষ এখন আরো অনেক সাহস পেয়েছে যে কোনো ব্যাপারে রুখে দাঁড়িয়ে নিজেদের মত প্রকাশের। আর অপ্রাপ্তি অবশ্যই এখনো ন্যায় বিচার না পাওয়া। এতো আন্দোলন সত্বেও সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্টের কালক্ষেপ দেখে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে একজন একাকী সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রশাসন বা আদালতের কাছ থেকে সুবিচার আদায় করা কতো কঠিন।
তাঁরা সবাই আজ অঙ্গীকার বদ্ধ যে অভয়ার ন্যায় বিচার পাওয়া, এবং আর কোনো অভয়া যাতে না হয় তার সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষক সমাজের প্রতিভূ গার্গী রায় সাবলীল ভাবে তাঁর অভিজ্ঞতার দ্বারা তুলে ধরেন সর্বব্যাপী ধৈর্যহীনতা, উদগ্রতার কথা। বুনিয়াদি শিক্ষার জন্য আবশ্যক জীবনশৈলী পাঠ সিলেবাস থেকে ক্রমশঃ অপসারণ, যার ফলে ধর্ষকাম মানসিকতার নিয়ন্ত্রণ আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদীপের র্যাগিং ও মৃত্যুর আজও সুরাহা হয়নি। একের পর এক ধর্ষণ খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে এবং তিনি মনে করেন যে বর্তমান শাসক তার জন্য লজ্জিত না হয়ে উল্টে এরকম ঘৃণ্য ঘটনাগুলোকে “এন্টারটেইনমেন্ট” পর্যায় নিয়ে গেছে। তারা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করছে। অভয়া হত্যার মতন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটে যাওয়া অপরাধ ভারতবর্ষের ইতিহাসে কখনো হয়নি। তাই রাত দখল এবং দিন বদলের মাধ্যমে প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, সর্বত্র নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হবে ( Reclaim of our own rights)।
সব শেষে জানাই জনতার চার্জশিটে কারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে –
১) মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের সাথে এই অপরাধে তার প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগীরা, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রী ও পারিষদবর্গ দোষী।
প্রমাণ লোপ, ভুল তথ্য পেশ, হাসপাতালে ভাঙচুর ইত্যাদির জন্য দায়ী সন্দীপ ঘোষ, স্থানীয় পুলিশ, পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব ও মন্ত্রী।
২) স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে ঘটে চলা দুর্নীতির যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে তার কান্ডারী শাসক ঘনিষ্ট সন্দীপ ঘোষ, সুহৃতা পাল ও তাদের সহযোগীরা অভিযুক্ত।
৩) নারী, প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের ওপর ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানো অপরাধীদের প্রশ্রয়দানের জন্য অভিযুক্ত মহামান্য শাসক।
৪) তদন্ত ও বিচারের ভার যাদের ওপর ন্যস্ত সেই CBI, মহামান্য আদালতের স্বচ্ছতার অভাব, কালক্ষেপ, ক্ষমতাশালীর পক্ষ অবলম্বনের জন্য তারাও পরোক্ষ ভাবে অভিযুক্ত।
৫) তদন্ত ও বিচার অপরাধীদের শাস্তি দেবে এই প্রত্যাশা রাখলেও, সারা রাজ্যের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, হাসপাতালে, সর্বত্র চলমান দুর্নীতির নিরিখে স্বাস্থ্য সচিব, সমগ্র স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মন্ত্রী অভিযুক্ত।
অভয়া মঞ্চের এই দিনের সভার সমাপ্তি ঘটে ভবিষ্যতে আরো কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতিতে, যা শীগ্রই ঘোষিত হতে চলেছে। আপাতত আগামী ১২ই নভেম্বর “ময়দান চলো” কর্মসূচিতে অভয়া মঞ্চ যোগদান করবে।
এই রিপোর্ট এক সরকারী আধিকারিকের লেখা। সহজবোধ্য কারণে তাঁর নাম প্রকাশ করা গেল না।