পুরনো খবরের কাগজ দিয়ে ঠিক কি হয় সে নিয়ে হার্ভার্ড বা প্রিন্সটন নিদেন পক্ষে আমাদের জেএনইউ বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো গবেষণার খবর না রাখলেও আমাদের সকলেরই কিঞ্চিৎ ধারণা আছে। আমরা বিক্রি করে দেয়ার পরে সেগুলোর কিছুটা ঠোঙ্গা বানানোর কাজে লাগে, কিছুটা আবার সস্তার যে কোনো মোড়ক বানানোর জন্য ছোট ছোট পিস করা হয়। বাড়িতে ছোট বাচ্ছা থাকলে তার ওপরে পটি করানো হয় ইত্যাদি।
এখন হয়েছে কি তালেব মহম্মদ যার দীর্ঘদিনের খাবারের দোকান, উত্তরপ্রদেশে সে প্লাস্টিকের প্যাকেট বন্ধ হওয়ার কারণে খবরের কাগজে মুড়ে ইদানীং খাবার দিচ্ছিলেন ক্রেতাদের। মূলত, মাংসের তৈরি খাবারই বানাতেন, তালেব। পুরনো খবরের কাগজ কিনেছিলেন, একটি দোকান থেকে। তার কোনও একটির মধ্যে, হিন্দু দেবতাদের ছবি ছিল। কোনও একজন ক্রেতা সেইরকম একটি কাগজ পেয়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের লোকজনকে খবর দেওয়ার পরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। তাঁরা পুলিশকে জানান, এর ফলে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে, তাই তাঁরা এসে তালেব মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
কি কান্ড বলুন দেখি। ভারী দুষ্টু লোক ওই তালেবর। আমারতো মনে হয় খবরের কাগজের সম্পাদকদের দায়িত্ত্ব নিয়ে তাদের নিজ নিজ কাগজে অবিলম্বে দেব দেবীর ছবি ছাপা বন্ধ করা উচিত। কারণ পুরোনো কাগজের ব্যবহার আইন করে বন্ধ করা যাবে না। আর ছাপলে পরে সেই বিপদ, কে বা কারা আবার বাচ্চাকে পটি … আরে ছি ছি।
কী অনাসৃষ্টি কান্ড বলুন দেখুন, ধম্মে সইবে? আপনারাই বলুন। আর ছবি ছাপার দরকারই বা কি বুঝি না বাপু, ওনারা তো আমাদের সবার হৃদয়েই বাস করেন জানি, চাইলে দারা সিং এর কায়দায় বুক চিরে দেখিয়েও দিতে পারি। তার চেয়ে বরং ছবি ছাপা বন্ধ, না রহে গা বাঁশ, না বাজে গা বাঁশরী। তাই আগামী লোকসভা অধিবেশনে এমন একটা বিল যাতে ওই ধরনের ছবি ছাপা বন্ধ করা যায় তার জন্য হবে না কি আন্দোলন? করবো না আন্দোলন আমরা?