মাতালদের নিয়ে অনেকরকম আজেবাজে লেখার মতো এটাও একটা….
পাকা মাতাল লক্ষ্য করলো, কাঁচা মাতাল বেশ মনমরা সেদিন!
– কিরে, কি হল তোর? ঐরকম প্যাঁচার মতন গোমড়া মুখে বসে আছিস কেন?
– আর বলো না, দাদা! ভরসন্ধ্যায় বাজী হেরে এক বোতল পেট্রোল গচ্চা দিলাম…
– কার কাছে দিলি?
– আরে ওই ঘুঘু মাতালের কাছে… বলে কিনা, কি দিনকাল পড়লো, বিয়ারের থেকে পেট্রোল দামী হয়ে গেল… ফস করে যেই বলেছি, হতেই পারে না, বলে কিনা বাজী ধর… যে হারবে, দামী জিনিষ এক বোতল দেবে… রাজী হয়ে গেলাম!
– তা হারলি কিভাবে?
– গেলাম বিয়ারের দোকানে, এক বোতল দাম চাইল একশো টাকা। আর পেট্রোলের দোকানে গেলাম, এক বোতল (ব্ল্যাকের বাড়তিটা বাদ দিয়ে) বললো, একশো আট টাকা।
– ধুস! পেট্রোল কি বিয়ারের বোতলে বেচছিল?
– না, না, বিসলেরির বোতলে!!
– আরে সেতো এক লিটারের বোতল! বিয়ারের বোতলে তো থাকে ৬৫০ এম.এল… তাহলে ওইটুকু পেট্রোলের তো অনেক কম দাম আছে!!… তুই বেটা বুদ্ধুর মত করেছিস!!…
এইবারে কাঁচার মুখে দরাজ হাসি ফুটলো। লাফ দিয়ে উঠে, বললো… – তাহলে ঘুঘু শুধু আমাকে ঠকায়নি, আমিও ওকে ঠকিয়েছি!!
– কিভাবে?
– দেওয়ার কথা ছিল দামীর এক বোতল, আমি ওকে সস্তা জিনিসের এক বোতল ধরিয়েছি, এক বোতল পেট্রোল মাত্র!!…
পাকা এবারে একটা পাক্কা “হাইক্লাস” হাসি দিয়ে বললো…
– এই নে, একশো টাকা… ঘুঘুকে ভালো করে বুঝিয়ে ওকে দামী এক বোতল বিয়ার দিয়ে, আমার জন্য সস্তার পেট্রোল এক বোতল নিয়ে আয়! বাইকটা রিজার্ভে পড়েছে!!… বলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে, “জ্যায় মা” বলে শিবনেত্র হলো!
আর কাঁচা, একশো টাকা হাতে, কিরকম ভ্যবলাকান্তের মতো দাঁড়িয়ে থাকল!!…
(এই বিশ্রী গল্পে কোনো মৌলিক প্রশ্ন নেই, মস্তিষ্ক-বিকৃতির লক্ষণ থাকলেও থাকতে পারে!!…)