কাগজ বাঘের হালুম হুলুম,
সয়না রাজার ওসব জুলুম,
মাঝে মাঝেই ঘুম ছুটে যায় ফালতু বিরুদ্ধতায়,
টুলকিটকে এডিট করে,
ফাৎনা কারা নাড়ায় জোরে
বঁড়শি ধরে টান দেবেনা তার স্থিরতা কোথায়।
একেই তো এই ঘোলাজলে,
কোটি লেখার কোলাহলে,
কোনটা গালি, কোনটা তালি বুঝতে এলেম লাগে,
যদিও পোষা আই টি সেলে,
আছেন কিছু বাধ্য ছেলে,
এড়িয়ে তাদের নজর মাথায় তবুও কাকে হাগে।
যতই মোছো, দাগ থেকে যায়,
তার ওপরে হাজার কা কা’য়
কোন বায়সে করলো কুকাজ যায় না মোটে বোঝা,
এনক্রিপ্টেড ওসব নাকি,
ডিজিটালের খুব চালাকি,
এমন ভাবে খড়ের গাদায় যায় নাকি সূঁচ খোঁজা?
হোক না সেটা ভারচ্যুয়ালে,
চুনকালি যে লাগায় গালে,
ধরতে হবে সেই ব্যাটাকে উৎস থেকে খুঁড়ে,
ফ্রী স্পিচের ওই ছাতার মাথা,
কোনো রাজার পক্ষে না তা,
চীনের মতন শুধুই শাসক থাকুক না স্ক্রিন জুড়ে।
কাজেই রাজা হুকুম শোনান,
বিরুদ্ধে কেউ তুললে শ্লোগান,
দেড়খানা দিন সময় পাবে মুছতে বাজে কথা,
এনক্রিপশন আবার কি হে,
অ্যালগরিদম বদলে দিয়ে,
বলতে হবে কোন সে প্রজা করছে অবাধ্যতা।
রাজা মানে দেশই বোঝায়,
যারা সেটা বুঝতে না চায়,
সেই অবুঝের তকমা এখন চর বা দেশদ্রোহী,
বস্তুত সে অ্যান্টিসোশ্যাল,
সোশ্যাল যদি করছে আড়াল,
তবে তো সে নিজের ভালোয় নেহাত অনাগ্রহী।
রাজার বিরোধ বড্ড হ্যাপা,
কামড়েছে কি কুকুর খ্যাপা,
করবে সেটা টুইটার বা ফেসবুক ইনস্টা’রা,
কয়েকটা দিন খিটিমিটি,
চাপান উতোর চলবে চিঠি,
তারপরে ঠিক মানে মানে মেনেই নেবে তারা।
আসল কথা বেওসা সোনা,
ভরলে পকেট না বলবো না,
বিরোধকথা বন্ধ হলে কি হবে ছাই বেশি,
সবাই জানে মূল্য পেলে,
এথিকস টেথিকস গিলে ফেলে,
মিডিয়ারা বিক্রী করেন ইউজার প্রাইভেসি।
করলে গুগল বিমান রেলে,
হোটেল আসে ঠিক ই-মেলে,
অ্যালগরিদম সব মিডিয়ার তেমন ভাবেই লেখা,
রাজা বলো বা মিডিয়াই,
প্রাইভেসিতে কেয়ার থোড়াই,
শিরদাঁড়ারা চক্রব্যুহে লড়াই চালায় একা।
এ মন্দতেও একটা ভালো,
নেভেই যদি স্ক্রিনের আলো,
লড়াকুদের ময়দানে ফের যেতেও পারে দেখা।