কোভিডের সময় ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য এবং ঘরে বসে বসে বাড়তি ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করছি। অত কিছু না করে চিনি খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেই অনেক সুস্থ থাকা সম্ভব। আর আমরা যে শুধু চা বা কফিতে দু- চার চামচ চিনি খাই মানে সারাদিনে ওইটুকু চিনি শরীরে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়। সারাদিনে খাওয়া সরবত, ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম, কেক বা গোলাপজাম ছাড়াও অজস্র খাবারের সঙ্গে চিনি মিশে থাকে। এমনকী বিস্কুট থেকে শুরু করে নানারকম প্যাকেটবন্দি খাবারেও যথেষ্ট পরিমাণে চিনি থাকে। আর সে সব শরীরে যাওয়ার পর তা ভেঙে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে আরো মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতির পরিমাণও।
সমীক্ষা বলছে, চিনির বিষক্রিয়া অনেক বেশি। তাই বেশি পরিমাণে চিনি খাওয়ার জন্য নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক মারা যায়।
আপাত নিরীহ সাদা রঙের চার কোণা মিষ্টি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। চিনি খাওয়ার পর বিপাকীয় ক্রিয়ায় তা ফ্রুকটোজে পরিণত হয় আর তা গিয়ে লিভারে জমে। ফলে ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা বাড়ে। রক্তেও ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে।
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়তে থাকলে হার্টের অসুখের আশংকাও বাড়তে থাকে। বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ।
চিনি খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে নানারকম ক্যানসার যেমন, রেকটাম, প্যাংক্রিয়াস, লাংস এমনকী ব্রেস্ট ক্যানসারের আশংকাও বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত চিনি নারী-পুরুষের যৌনজীবনের মিষ্টত্বও p করে দিতে পারে। শিশুদেরও বেশি চিনি দেওয়া উচিত নয়। বেশি চিনি খেলে মনোযোগ নষ্ট হয়, লেখাপড়া ঠিকমতো করতে পারে না। বাড়ে দুশ্চিন্তা। এমনকী একজিমা বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। কাজেই চিনি কম।