কথাটা বলেছিলেন স্কুলে বায়োলজির টীচার অহিবাবু। খুব সম্ভবত ক্লাসে বায়োলজির ক্লাস টেস্টে ভালো নম্বর পেয়ে জিজ্ঞেস করে ফেলেছিলাম, –তাহলে স্যার কে ফার্স্ট হলো?আমি?
ব্যাস বোমাটা ফাটল-,ক্লাস টেস্টের নম্বর! তার আবার ফার্স্ট। কল্মিশাকের আবার ক্যাশমেমো! প্রসেনজিত, সমর, সৌমেশের মতো মেডিকেলে চান্স পেয়েছিস,- তো বুঝতাম।
উপরোক্ত তিন সিনিয়র দাদা তখন স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করে মেডিকেল কলেজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আর অহিবাবু সলতে পাকিয়ে আমাদের বুকে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যস্ত।
ইন্দ্রনীলের (ডা ইন্দ্রনীল সাহা) ফোনটা এসেছিল এগারোটা নাগাদ,–দাদা আমরা ‘ডক্টরস ডায়ালগ’ এর একটা প্রিন্টেড ভার্সান বই বার করছি। তোমার একটা লেখা সিলেক্ট করেছি। একটা লেখক পরিচিতি লাগবে।
প্রায় পরক্ষণেই পুণ্যব্রতর (ডা পুণ্যব্রত গুণ, অনুজ হলেও কর্মকাণ্ডের গুণে শ্রদ্ধেয়) ফোন একই বিষয়ে। আর তখনই অহিবাবুর কথাটা মনে পড়ে গেল, আমি হেন লেখক তার আবার পরিচিতি, –সত্যিই এ যেন ‘কল্মিশাকের ক্যাশমেমো’।
তবে অবাক কান্ড স্যার। রোববার নিউ টাউনের সুফলা বাজারে বাজার করার পর ছেলেটা কম্পিউটার থেকে ফরফর করে ক্যাশমেমো বার করে দিল। আলু, পেঁয়াজ ফুলকপির ওপরে দু-আঁটি কল্মিশাকও ছিল।
***বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত খবর, আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা দিবসে’ সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে এক ভূরিভোজের আয়োজন– ‘ডক্টরস ডায়ালগ’ -এর প্রকাশ। শোনা যাচ্ছে পোলাও কালিয়ার সাথে অল্প কল্মিশাকও মেনুতে জায়গা পেয়েছে। সঙ্গে থাকছে আমার প্রিয় ঐন্দ্রিলের এক সম্পূর্ণ ভেজ প্ল্যাটার। চুপি চুপি বলি, আপনাদের সাথে এই অধমও আমন্ত্রিত।