ফোনের ও প্রান্ত থেকে আর কেউ বলবে না “সৌম্য তোমার ক্লাসগুনো কিন্তু আমাকে পাঠাতে ভুলো না; আমি ঠিক সময় করে দেখে নেবো!”
আর ফোনের ও প্রান্ত থেকে অমন প্রশান্ত মুগ্ধ গলায় কেউ আর বলবে না “তোমাদের বইগুনোতে এতো সুন্দর করে অঙ্ক শেখার কথা আছে! খুব ভালো লাগছে সৌম্য!”
কারণ আমাদের সকলের মনের মনিকোঠায় থাকা ওই মানুষটির সাথে আর আমরা কেউ কথা বলতে পারব না! তিনি আমাদের সবার প্রিয় সমর বাগচী স্যার! বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম এর প্রাক্তন অধিকর্তা, কোয়েস্ট নামের টিভি অনুষ্ঠানের প্রযোজক পরিচালক!
ওনার সাথে প্রথম আলাপ হয় আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে বাঁকুড়ার বসুধায় শাল জঙ্গলের মধ্যে হওয়া বিজ্ঞানের ওয়ার্কশপে! চাঁদের অন্য পিঠ যে কেন আমরা দেখতে পাই না তা যে এতো সহজ করে আমাদেরই মডেল বানিয়ে বুঝিয়েছিলেন তা এখনো চোখের সামনে ভাসে। তারপর থেকেই একজন বিজ্ঞান কর্মী হিসেবে একজন শিক্ষক হিসেবে একজন ছাত্র হিসাবে এই মানুষটির সাথে সুগভীর যোগাযোগ।
আজীবন বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন ওনার জীবন! কীভাবে বিজ্ঞান শেখা উচিৎ আর সেই বিজ্ঞান শিখেই বা আমরা করব কী তার আলোকময় পথ আমাদের দেখিয়ে গিয়েছেন আজীবন!
আজ আমরা হারালাম এই মহান মানুষটিকে!
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি কথায়, প্রতিটি বলায়, প্রতিটি কাজে তিনি আমাদের কতো কী যে শিখিয়ে গেছেন তা যে কতো অমূল্য, সময় তার বিচার করবে!
ওনার কাজ ওনার দেখানো পথ আমাদের পাথেয় হয়ে রইল!! সেই পথে আমরা যেন চলতে পারি।
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿
ওনার কিছু কাজ আমরা রেকর্ড করি বাঁকুড়ায়! ওনার ৯০ বছর বয়সে বাঁকুড়া এসে এই কাজগুলি উনি আমাদের উপহার দেন। এই উপহার আমাদের আগামী প্রজন্ম কে পথ দেখাবে! এক আলোময় পথ!
https://bit.ly/SamarBagchi