এক
সালেমার সাথে একটা অভিযানে নেমেছি। সেকথায় পরে আসছি। তার আগে সালেমা র একটু পরিচয় করিয়ে দেই। সালেহা আর সালেমা দুই বোন। সালেমা সালেহার মত ডানা কাটা পরী না হলেও খুবই সুন্দরী। দীর্ঘ দোহারা চেহারায় অলিভ গাত্র বর্ণের মধ্যে তার টানাটানা দীঘল দুটি চোখ, চোখা নাক আর পূর্ণাঙ্গ উজ্জ্বল এক মুখশ্রী। রূপের চাইতেও মনটা তার আরও ভালো। বড্ড নরম। বড় মরমী। যা অপরের দুঃখে কাঁদে, অপরের সেবায় নিবেদিত। পোষা খরগোশের ছানা থেকে বাড়ির, গাঁ য়ের আর পাঁচ জন, দুনিয়ার সবাইকে সে ভালবাসায় মুড়ে মাথায় করে রেখেছিল।
আমাদের গাঁ য়ের শেষে ভুট্টা আর তুলোর ক্ষেতে বাপ দাদাদের জন্যে যখন যত্নে মুড়ে সোয়ারমা, বরঘুল, সব্জি, অন্যান্য খাবার আর জল নিয়ে যেতো আমার জন্যে লুকিয়ে কাপড়ে মুড়ে কিছু একটা নিয়ে আসতো। যখন অন্য মেয়েদের সাথে আপেল, নাশপাতি, লেবু আর অলিভ বাগানে কাজ করতে যেতো কিংবা আঙুর লতায় জল দিত আমার সাথে দেখা হলেই নিজের বানানো একটা সুস্বাদু মাংসের কিব্বে উপহার দিত। খুব সহবত জানতো, আর কথাবার্তা ছিল অত্যন্ত মধুর।
দক্ষিণ লেবাননের এই গ্রাম দেশে আমরা কি সুখেই না ছিলাম। উত্তরে সবুজ মখমলের মত বেকা উপত্যকা, তার পশ্চিমে সমুদ্র সমীপে বর্ণময় জমজমাট বেইরুট। একটু তফাতে সাজানো গোছানো ত্রিপোলি, জৌনি, সিডন, টায়ার, জাজিনা। পূবে গোলান অধিত্যকা আর দক্ষিণে হরমন পাহাড়। লেওন্তে সহ বরফ গলা নদী গুলো সেখান থেকে খলখলিয়ে নেমে আসতো। গরমের সময় আমরা মজাসে স্নান করতাম। অবশ্য আমাদের এখানে তেমন গরম কখনই ছিলনা। কাছে ভূমধ্য সাগর থাকায় আবহাওয়া ছিল মনোরম নাতিশীতোষ্ণ। শীত কালটাও ছিল মজার। ভোর বেলা বাড়ির ছাদ ও রাস্তায় বরফের স্তর পড়তো। আমরা বরফ কুচি নিয়ে খেলতাম। সালেমা আর আমি ছিলাম প্রায় একই বয়সী। বিকেল শেষে গোধূলির আলো মেখে ও যখন পোষা ভেড়াদের নিয়ে দ্রাক্ষা বাগিচার মধ্যে দিয়ে গান গাইতে গাইতে পাহাড়ি ঝর্নার মত ফিরতো, আমি হয়তো কাজের শেষে ক্ষেতের আলে বসে সমুদ্র থেকে আসা উথাল বাতাসে মন আর শরীর জুরোচ্ছি অথবা রেবাব হাতে তুলে সুর তোলার চেষ্টা করছি, ও একটু দাঁড়িয়ে দু একটা প্রশংসাসূচক কথা বলে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে আবার ছুট লাগাতো। একবার পথ আগলে দাঁড়িয়েছিলাম। হেসে বললে, ” খুব দুষ্টু হয়ে গেছো জোহেল। এবার কিন্তু বকুনি দেবো বলে দিলাম। ” পরক্ষনেই হরিণীর মত ছুট।
দুই
পিতামহের কাছে শুনেছিলাম নীল গভীর টলটলে জলের ভূমধ্য সাগর সমীপে এই পবিত্র লেভান্তে অঞ্চল বহু সভ্যতার আতুর ঘর। বহু ধর্মের বহু জাতির মানুষ এখানে প্রাচীন কাল থেকে রয়েছেন। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলেও ইহুদী, খ্রিস্টান আর মুসলমান কিংবা এখানকার আদি বাসিন্দা ছাড়াও আরব, সিরিয়ান, কুর্দ, আর্মেনিয়ান, পালেস্টিনিয়ান, ইরাকি সবাই মিলেমিশে থেকেছেন। মুসলমানদের মধ্যে যেমন শিয়া সুন্নীরা রয়েছেন, খ্রিস্টানদের মধ্যে আছেন ম্যারোনাইট, মেলকিট আর দ্রুজ। আরবী, ইরাণী আর তুর্কী মাতব্বর রা এসে, তারপর লাল মুখো ব্রিটিশ, ফরাসী, আমেরিকান , রাশিয়ান রা এসেই যাবতীয় গোলমাল পাকালেন। সেই থেকে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ গ্রাস করেছে দেশটাকে আর ক্রমশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ, সিরিয়ান দখলদারি, ইসরায়েল এর দখলদারি, হেজবোল্লা র অধিগ্রহণ। বিস্ফোরণ, গোলাগুলি অন্তহীন হিংসা দেশটির ঐক্যের সূত্র, কৃষি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ভেঙ্গে দিয়েছে। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকে প্রাণ নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। ইদানিং বিদেশী প্রভাবিত ভাড়াটে সেনা, অস্ত্রের কারবারি আর ড্রাগ মাফিয়াদের বোলবোলা।
সালেমারা শিয়া লেবানিজ মুসলমান আর আমরা দ্রুজ লেবানিজ খ্রিস্টান হলেও এক গ্রামে একসাথেই থাকতাম। দুই বাড়ির মধ্যে ছিল অবাধ যাতায়াত, খাবার – দাবার, উপহার বিনিময় চলত সারা বছর। সিডর গাছের মাথা ছাড়িয়ে ঈদের চাঁদ দেখা দিলে আমরা একসাথে উৎসবে মাততাম। আবার বড় দিনের সময় ওরাও আনন্দে অংশ নিত। আমার ছুন্নত উৎসবে ওদের বাড়ির লোকেরা এসেছিল, ওর রজশীলা হওয়ার অনুষ্ঠানে আমাদের বাড়ির মেয়েরা গিয়েছিল।
কিন্তু পরিস্হিতি এক রকম থাকলো না। ভাড়াটে সৈন্য দের সাথে সাথে মোল্লা আর পাদ্রীরা এসে উপদ্রব সৃষ্টি করলো। এমনিতেই গৃহ যুদ্ধ, তারপর ইজরায়েল – সিরিয়া এবং ইজরায়েল – হেজবোল্লাহ যুদ্ধে আমাদের শান্তির নীড় গাছপালা ভরা উর্বর সমতল আর রুক্ষ মালভূমির এই ভূখণ্ড ছারখার হয়ে গেল। যুদ্ধের মধ্যে আমার বাবা আর বড় দাদা প্রাণ হারালেন। আমাকেও সেনাবাহিনীতে নাম লিখিয়ে শেবা শহরে শিবিরে চলে যেতে হল। পরে গাঁয়ে এসে শুনলাম ভাড়াটে সৈন্য রা বাড়ি বাড়ি লুঠ ও অত্যাচার করেছে। যাবার সময় গ্রামের কিছু যুবতী মেয়ের সঙ্গে সালেহা কেও তুলে নিয়ে গেছে। সেই থেকে সালেমা এক প্রকার গৃহ অন্তরীণ। স্কুল ও ক্ষেতে যাওয়া বন্ধ। একদিনই খুব অল্প সময়ের জন্যে ওদের বাড়ির অলিন্দে দেখতে পেয়েছিলাম। হিজাব আর সম্পূর্ণ বোরখার আড়ালে আমার প্রিয়তমা তখন পুরোদস্তুর বন্দিনী। শুধু সেই টানা টানা দীঘল দুটি চোখ দেখা দিয়েছিল। বড় করুণ সে চাহনি। বুকের ভিতরটা খানখান করে দেয়। যুদ্ধের মধ্যে ওর বিয়ের কথা শুনে অনেককষ্টে গ্রামে আসতে পেরেছিলাম। সন্ধ্যায় গ্রামে ঢোকার পথে মিরওইজ, আওদ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের কলতানে এক ছোটো শোভাযাত্রা নতুন বর বধূকে বিদায় জানাচ্ছে। তাড়াতাড়ি একটা বড় বাদাম গাছের আড়ালে চলে গেলাম। হৃদয় বিদীর্ণ অবস্থায় অন্ধকারে গাছের আড়াল থেকে দেখলাম ও চলে যাচ্ছে, হয়তো চিরজীবনের জন্য।
তিন
সৈনিকের জীবন খুব কঠিন, তাও যদি কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত গরীব দেশের কোন গোষ্ঠীর রং রুট সৈনিক হয়। বিমান প্রতিরোধী কামানের ভারী গোলা এনে ভরা, ট্যাঙ্ক প্রতিরোধী মাইন বিছানো, ক্যাম্পের সাফসুতরো, রসদ জ্বালানি জোগাড় থেকে রান্নাবান্না জল তোলা যাবতীয় কাজ, কমান্ডারের ফাই ফরমাস খাটা। অথবা ওয়ার ফ্রন্টের মাটি কেটে নালা করা বাঙ্কারে একটানা দিনের পর দিন বসে শত্রু হানার প্রতীক্ষা। মাঝেমাঝে সাইরেনের আর্তনাদ। তারপর শত্রু সেনার বিধ্বংসী বোমা বর্ষণ।
এই কষ্টকর জীবনে একটাই ছিল আনন্দ আর বিনোদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সালেমার কথা ভাবা। প্রজাপতির মত ভেড়ার পাল নিয়ে কিশোরী সালেমার অলিভ আর কলা বাগানের মধ্যে দিয়ে উড়ে উড়ে চলার স্মৃতিছবি দেখতে পাওয়া। ঘুঙুর পরে আঙ্গুর বাগিচায় ওর জল সিঞ্চন, তার সাথে গুনগুনিয়ে গান আর নিক্কনের মৃদু কলধ্বনি আমায় উন্মাদ করে দিতো। একবার আমরা কয়েকটি পরিবার মিলে ভূমধ্যসাগরের সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কি সুন্দর নীল সমুদ্র আর তার ফেনিল শান্ত নিরন্তর ঢেউ। মাছ মারাদের নৌকা। বন্দরের দিকে চলা কয়েকটি বড় জাহাজ। আর কিছুটা গেলেই সাইপ্রাস। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমাদের গাঁ য়ের কেউ কেউ সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপের অজানা পথে ভেসে গেছেন। আমাদের আর যাওয়া হয়নি। জল কেলি, সমুদ্র স্নানের পর মায়েদের বানিয়ে আনা মেজ্জে, সোয়ারমা, তাব্যলে সালাদ, নানা রকমের পিঠে, কফি আর নিজেদের ক্ষেত বাগানের ফুটি তরমুজ খেজুর আর বাগিচার রসালো ফল দিয়ে দারুণ ভোজ হয়েছিলো।
অবশেষে অনেক বছরের অনেক অনেক চেষ্টার পর সালেমার সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হই। ও বললো ওও নাকি সারাদিন ঘর সংসারের খাটনির কাজের শেষে আমার কথা কেবলি ভাবতো। বলা হয়নি ইতিমধ্যে রণাঙ্গনে শত্রুর ভারী গোলা বর্ষণের মধ্যে আমার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছিল। নবাতিয়ার কাছে এক অজানা প্রান্তরে সহ যোদ্ধারা কবর দিয়েছিলেন। ওদিকে অপরূপ বেকা উপত্যকাও শত্রুর বিমান থেকে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে ঝলসে যায়। সালেমার শ্বশুর বাড়ি র ছবির মত গ্রামটিও শেষ হয়ে যায়। ওদের গণ কবর দেওয়া হয়েছিল। নিশুতি রাতে সিডর জঙ্গলের মাথা ছাড়িয়ে রুপোলি চাঁদ যখন মাথার উপর ওঠে, স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় চরাচর সিক্ত হয়, আশপাশের কবরের অন্যরা যখন গভীর ঘুমে, তখন আমরা মিলিত হতাম। এত বছর পর দেখা হওয়ার পর সালেমা প্রথম দিন আমাকে জড়িয়ে ধরে শুধু কেঁদে গেলো। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললো ” জোহেদ … এটা তো সত্য পরবর্তী যুগ …. সাহেলা অর্থ পবিত্র। সাহেলা ছিল পবিত্র নিষ্পাপ, অথচ ওকে ঘাতকেরা ছিঁড়ে খুঁড়ে শেষ করে দিলো। … আর আমার নামের অর্থ শান্তি। আমি আকাশের তারাদের মত স্থির ও সাগরের মত প্রশান্ত ছিলাম। যুদ্ধের অশান্তি আমাকেও ছিনিয়ে নিলো। ” সবার জন্য খুব দুঃখ করছিল। সবচাইতে দুঃখ করছিল ওর ফুটফুটে এক রত্তি কন্যা নাজুরার জন্য। পরে একদিন ও ই বললো, ” জোহেদ এভাবে তো চলতে পারেনা। আমাদের মধ্যে এখনও যারা কায় ক্লেশে কোন মতে বেঁচে আছেন তাঁদের জন্যে কিছু করা দরকার। ”
চার
তারপর থেকে আমরা আমাদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত মাতৃভূমি লেবানন, সিরিয়া, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, ইরাক, ইরানের কুর্দ অঞ্চল, ইয়েমেন পশ্চিম এশিয়ার অশান্ত রণাঙ্গনে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের সাথে মিশে ত্রাণের ও চিকিৎসার কাজ, অত্যাচারিত নারী ও শিশুদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে করে গেছি। বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক ও ইরানের কুর্দ ও ইয়েজিদি অঞ্চলে যেখানে ইরানী, ইরাকী, সিরিয়ান ও তুর্কী সমর শাসকরা ক্রমাগত রক্ত বন্যা বইয়ে চলেছেন, আই এস সন্ত্রাসী ঘাতকরা নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়ে গেছেন। তারপর পুতিনের পরিকল্পনায়, চীনের সাহায্যে আর ইরানের প্রশিক্ষণ ও প্ররোচনায় হামাস যখন ইহুদীদের পবিত্র উৎসবের দিনে ইজরায়েল আক্রমণ করলো অনেকে উল্লসিত হলেও আমরা শিউরে উঠলাম কারণ ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো গাজাকে মাটিতে মিশিয়ে দেবে। এটি ঠিক প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের অত্যাচার ছিল, তবে ইদানিং হিংসা ও অশান্তি অনেকটা কমেছিল। যা ভেবেছিলাম, তাই হল। ছয় মাস ধরে ইজরায়েল গাজাতে বোমা ও গোলা বর্ষণ করে একেবারে ধ্বংস স্তুপে পরিণত করলো। ত্রিশ হাজারের বেশি গাজা বাসী নিহত হলেন। এখানে একটা গোপন কথা বলি। আরও অনেক বেশি মানুষ মারা যেতেন। আমরা মার্কিন উপগ্রহ এবং ইসরায়েলের শক্তিশালী রাডার ও অন্তর্জাল কে ভেদ করে যুদ্ধের সময় সারা রাত গাজার আকাশে টহল দিতাম। যখনই ইসরাইলি বোমারু বিমানের উদয় হত তখনই রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীর পোশাক পরে আবাসিকদের সামনে উদয় হতাম আর চিৎকার করে বলতাম, ” তাড়াতাড়ি মাটির নীচে বাঙ্কারে ঢুকে পড়, বোমা পড়বে।”
এবার আমরা একটি অন্য ধরনের অভিযান শুরু করেছি। এটাও সালেমার ভাবনা। আমরা এবার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আর আলি খামেইনি, ইজরায়েল ও ইরানের দুই যুদ্ধবাজ শাসকের ব্রেইন হ্যাক করবো স্থির করেছি। ওদের মস্তিষ্কের হিংসা, ক্ষমতালিপ্সা, যুদ্ধেচ্ছা, খুনেচ্ছা র কেন্দ্র গুলি নিস্ক্রিয় করে দেবো। ঢুকিয়ে দেবো সক্রেটিস ও আভোরোসের দর্শন, গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও শান্তির বাণী, কনফুসিয়াস ও লওজের তিতিক্ষা, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেম ও ভক্তি। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মৈত্রী আর নেলসন ম্যান্ডেলার ঐক্যের ধারণা। শোনাবো বিতভেন, মোতজার্ট এর মধুর সঙ্গীত, লালন – হাসন রাজা – রবীন্দ্রনাথের মানবতার গান। অবশ্যই ভরিয়ে দেবো পারস্যের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গাণিতিক ওমর খাইয়ামের ভালবাসার কাব্যরস। এর সাথে দেখাবো মুস্তাফা ফারুক আর ফালিদ রাদের চিত্রকলা, আবৃত্তি করিয়ে নেবো খলিল গিব্রন ও আমিন রিহাদির কাব্য চাবুকগুলি, কর্ণ কুহরে মধু ভরাবো ফাউজি, মজিদা এল রুমিদের সাঙ্গীতিক ঝংকার দিয়ে।
এর পরে আমাদের তালিকায় আছেন ট্রাম্প, পুতিন, শি জিনপিং, কিম, বাইডেন, মাকর, এরদোগান প্রমুখরা। আপনারাও আসুন আমাদের সাথে। সারা বিশ্বকে যুদ্ধ ও স্বৈর শাসন থেকে মুক্ত করতে হবে। আপনাদের দেশ ও রাজ্যেও স্বৈরাচারী জনবিরোধী দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের জন্যে এগুলি খুব প্রয়োজন।
২৪.০৪.২০২৪
খুব ভালো লাগলো। প্রাণিত হলাম। অসাধারণ।